Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

নিভৃতে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বিজ্ঞান কলেজ

Icon

মো. মারুফ শাহ ধানমন্ডি ও মো. আরিফুল ইসলাম তেজগাঁও (ঢাকা)

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটে অবস্থিত বিজ্ঞান শিক্ষার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। কারিগরি শিক্ষার জন্য স্কুল হিসাবে ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। এটি ১৯৬২ সালে কারিগরি কলেজে রূপান্তরিত করা হয় ও ১৯৮৫ সালে বিএসসি কোর্স চালু করা হয়।

কলেজ প্রশাসন জানায়, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯৯.৮৪%, ২০২৩ সালের পাশের হার ৯৯.৩৫% ২০২৪ সালে ৯৯.৮%। প্রতিষ্ঠানটিতে ২২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে ও অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ মিলে শিক্ষক সংখ্যা ৪৭ জন।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রতিষ্ঠানটির পূর্ব পাশের দেওয়াল নিচু হওয়ার কারণে প্রায়ই বহিরাগতরা ভেতরের মাঠে প্রবেশ করে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তাদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এসব মাদকাসক্ত, ভবঘুরে, টোকাই, ছিনতাইকারীদের কলেজের ভেতরে প্রবেশে বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের প্রতি তারা চড়াও হয় ও হুমকি দেয়। কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত কুদরত-ই-খুদা ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান ও নাজমুল বলেন, এখানকার হোস্টেলের মান ফার্মগেট এলাকায় যেসব হোস্টেল আছে তার চেয়ে অনেক ভালো। বেসরকারি কলেজের মতো চাপ দিয়ে এখানে পড়াশোনা করানো হয় না। নিজের ইচ্ছায় পড়তে হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক ছাত্র ও এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত সাকিব বলেন, এখানে পড়াশোনা সম্পূর্ণ নিজের তাগিদে পড়তে হয়। বিকালের দিকে খেলার মাঠে বহিরাগতরা নিয়মিত আসে ও আড্ডা দেয়। একাধিক শিক্ষক জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটিতে মূল গেট ছিল না। এ জন্য রাতে চোর, ছিনতাইকারী, মাতাল ব্যক্তিরা অবাধে প্রবেশ করত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এসব বিপথগামী ব্যক্তিরা বেপরোয়া হয়ে ভেতরে ঢুকে যেত। প্রতিষ্ঠানটিতে পর্যাপ্ত পাহারাদার নেই। জুলাই অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বর্তমান কলেজ প্রশাসন মূল গেট তৈরি করে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যার পরে নিয়মিত পুলিশ টহলের ব্যবস্থা থাকলে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকত।

কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানটির অডিটোরিয়াম গুদামঘরের মতো অন্ধকারে ছিল, ছাদ দিয়ে পানি পড়ে, টয়লেট অকেজো ছিল, বর্তমানে এগুলোর সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। ছাত্রদের জন্য কলেজ ক্যান্টিন নেই বললেই চলে। টিনশেড বিল্ডিংগুলো বিলুপ্তির পথে। ভেতরের ড্রেনগুলো নিচু ও পুরোনো হওয়ার কারণে মাঝারি বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। তিনি আরও বলেন, এখানে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে দেশ ও প্রবাসে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র দুটি ছাত্রাবাস। চাহিদা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ১০ তলা একাডেমিক ভবন ও একটি ১০ তলা ছাত্রাবাস সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হলেও এখনো তা অনুমোদন হয়নি। এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের এডিসি আলমগীর কবীর বলেন, পুলিশ টহলের বিষয়ে ওসিকে বলে দিচ্ছি। মাদকাসক্ত, ভবঘুরে ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে সব সময় জিরো টলারেন্স। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হয়, তাহলে দ্রুত ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম