Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

বিএমবিএ’র আলোচনা সভা

৬ মাসের কম সময়ে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করা হবে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে নানা জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) দীর্ঘসূত্রতা। এছাড়াও কোম্পানিগুলো সঠিক মূল্য পায় না। বাজারের ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের ধারণাও পরিপক্ব নয়। তবে পরিস্থিতির উন্নয়নে আইপিওর সময়সীমা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনার বিষয় ছিল : ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের সম্প্রসারণ : টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি কাঠামো’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী নেতা এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।

মমিনুল ইসলাম বলেন, বিএসইসি লিস্টিংয়ের কাজ স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে আইপিও প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার সমস্যার সমাধান হবে। গত ১ বছরে কোনো আইপিও আসেনি। আইপিও আনা বিএসইসির কাজ নয়। এ দায়িত্ব মার্চেন্ট ব্যাংকারদের। ৬৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক গত ১৫ বছরে ১৩৮টি কোম্পানি শেয়ারবাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাদের পারফরমেন্স কোথায়? গত কয়েক বছরে আইপিওতে আসা কিছু কোম্পানির গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, পুঁজিবাদের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার শেয়ারবাজার। গত ১৫ বছরে আমাদের শেয়ারবাজারে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখন সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

নাসিম মঞ্জুর বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কেউ পুঁজিবাজারে আসে না। আসে তখন, যখন বাজারে প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের অনুপাত সঠিক থাকে। তার মতে, শেয়ারবাজারে কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ার অন্যতম কারণ সঠিক মূল্যায়ন হয় না। তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান ১৫-২০ শতাংশ হলে উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবে। এই ব্যবধান ৫ শতাংশ রাখলে কোনো কোম্পানিই আসতে চাইবে না। ক্যাপিট্যাল মার্কেটে না আসার আরেকটি কারণ হচ্ছে ভয়। অনেকে মনে করে এখানে এলে বিএসইসি ধরবে। যাকে ইচ্ছা চিঠি দেবে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সবসময় লাভই চায়। লোকসান মানতে চায় না। সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের আরেকটা ভুল ধারণা আছে। তারা মনে করে কোম্পানি লভ্যাংশ কম দিলে বিএসইসি ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বাস্তবে এটা বিএসইসির কাজ নয়। তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সারা পৃথিবীতে এটা আছে। বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদন পেতে ২-৩ বছর সময় লাগে। কিন্তু ভারতে লাগে ছয় মাস। তাই আমাদের আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করে সময় কমিয়ে আনতে হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম