Logo
Logo
×

রাজধানীর খবর

মালিটোলা পার্কের ভেতর দোকানপাট

রাতে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা

Icon

মো. মোস্তাকিম আহমেদ, পুরান ঢাকা

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পুরান ঢাকার ইংলিশ রোডের মালিটোলা পার্কের মধ্যে আবর্জনা জমা হয়ে আছে। পার্কের দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ট্রাক-পিকআপ স্ট্যান্ড। পার্কের ভেতরেই সিগারেট ও খাবারের হোটেলের রমরমা ব্যবসা চলছে। দিন-রাত সেখানে সিগারেট খাওয়া, মোবাইলে লুডুর মাধ্যমে জুয়া ও মাদকসেবীদের আড্ডা চলে।

২৪ কাঠা আয়তনের মালিটোলা পার্ক একসময় আবর্জনার ভাগাড় ছিল। ২০২১ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জল সবুজে ঢাকা প্রকল্পের আওতায় তিন কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্কটি আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু ৪ বছরের ব্যবধানে সেই পার্ক আবারও দখলদারদের কবলে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রাহাত হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও পার্কে নাগরিকদের জন্য পানির ফোয়ারা, হাঁটাচলার পথ, গ্রিন জোন (ফুলের বাগান), এলইডি লাইটিং, শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা, লেডিস কর্নার, পানি নিষ্কাশনে আরসিসি ড্রেনেজ সিস্টেম, মিনি এসটিএসের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে এখানের সব লাইটিং খুলে নিয়েছে। পার্কের ভেতরে এখন শুধু দোকানদারিই চলে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. রাকিব জানান, পুরান ঢাকা খুবই ঘিঞ্জি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নেওয়ার তেমন সুযোগ নেই। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার জন্যও নেই তেমন কোনো মাঠ-পার্ক। মালিটোলা পার্কটি আধুনিকায়ন করার ফলে আমরা একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর সেখানে পরিবার, বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ নেই। নেশাখোরদের আনাগোনাই সেখানে বেশি। পার্কের ভেতরের টয়লেট ও খাবার দোকান যেন ট্রাক ড্রাইভারদের বসতবাড়ি।

পার্কের ভেতরের সিগারেটের দোকানদার জানান, আমরা এখানে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছি। পার্ক নতুন করে সাজার আগেও আমি ছিলাম, এখনো আছি। আমরা এখানকার স্থানীয়। তাই কাউকে চাঁদা দিয়ে অথবা লিজ নিয়ে ব্যবসা করতে হয় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য এক দোকানদার বলেন, আমরা এখানে সিটি করপোরেশন থেকে লিজ নিয়েই দোকান চালাচ্ছি। কোনো কিছু জানার থাকলে সেখানে যান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, একটি আধুনিক পার্কে যেসব বিষয় থাকা দরকার, তার সবটুকুই রাখা হয়েছিল মালিটোলা পার্কে। বর্তমানে কেউ যদি সেটি দখল করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বানায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। লাইটিং ও অন্যান্য বিষয়ের ত্রুটি থাকলে সেসব বিষয় সমাধানের চেষ্টা করব। ময়লা পরিষ্কারের জন্য আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছেন, তাদের কাজের গাফিলতির জন্য যদি পার্ক ময়লার ভাগাড় হয়, সেই বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এখন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। শিগগিরই ঢাকা শহরের সব পার্কের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ডিএসসিসি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম