Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ

৩০ শতাংশ রোগমুক্তি হাত ধোয়ার অভ্যাসে

টাইফয়েড, নিউমোনিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ও কৃমির মতো ৫টি সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস কাজ করে

Icon

জাহিদ হাসান

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৩০ শতাংশ রোগমুক্তি হাত ধোয়ার অভ্যাসে

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। এমন একটি হাদিস মানুষের জানা। বিজ্ঞানও তাই বলছে। পরিচ্ছন্নতা মানুষকে সুস্থ রাখে। উৎফুল্ল রাখে। রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখে। মানবদেহের মধ্যে হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা হলো জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার ব্যাপারে বেশি সজাগ হয় করোনাকালে। তখন বলা হতো বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মানুষ তখন বাধ্য হয়ে হলেও তা করেছে। কিন্তু যেই না করোনা চলে গেল, মানুষ ফিরে গেল পুরোনো অভ্যাসে। অথচ এটি জারি রাখা খুবই আবশ্যক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু হাত ধোয়ার অভ্যাসের কারণে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পাঁচ সময়ে হাত পরিষ্কারের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছে। এই পাঁচ সময় হলো-রোগীকে স্পর্শ করা ও কোনো কিছু পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতির আগে, শরীরে তরলের সংস্পর্শে আসা বা ঝুঁকির ও রোগী এবং তার আশপাশের পরিবেশ স্পর্শ করার পর। এছাড়া জনস্বাস্থ্যবিদরা খাওয়া বা মুখ স্পর্শ করার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর হাত সাবান এবং পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

হাত ধোয়ার উপকারিতা জানান দিতে প্রতিবারের মতো এবারও আজ (১৫ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৫। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য-‘পরিষ্কার হাত, নিরাপদ জীবন’, ‘সংক্রমণ রোধে নিয়মিত হাত ধোয়া একটি শক্তিশালী অভ্যাস।’ দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পাশাপাশি ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক উপায়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস নিউমোনিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, কৃমির মতো ৫টি সংক্রমণ রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করে। শিশুদের বিদ্যালয়ে টয়লেট ব্যবহারের পর ও খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার সাবান ব্যবহারের সুবিধা থাকলে তাদের বিকাশ দ্রুত হয়। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক উপায়ে হাত ধোয়ার বিষয়টি অপরিহার্য। প্রতিটি শিশুকে পরিবার ও বিদ্যালয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যাপারে সচেতন রাখতে হবে। করোনা মহামারি ছোট-বড় সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাসটি তৈরি করলেও মানুষ এখন সেটি ভুলতে বসছে।

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে উন্নত টয়লেট সুবিধা রয়েছে দেশে এমন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা ২০২২ সালে ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৯৩ দশমিক ৬৩ শতাংশে উন্নীত হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম