ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কুমিল্লা-৩
বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী
আলোচনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদীয় আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হাকিম সোহেলকে প্রার্থী মনোনীত করেছে। তিনিও গণসংযোগ করছেন। এ আসনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাড়ি। তিনি কি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন, নাকি অন্য কোনো আসনে যাবেন-তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে তাকে নিয়ে উপজেলার সর্বত্র আলোচনা চলছে।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নির্বাচিত হন। সে সময়ই আসনটিতে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো সুদৃঢ় হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে কায়কোবাদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র এবং ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জাহাঙ্গীর আলম সরকার নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কায়কোবাদ বিদেশে অবস্থান করায় তার ছোট ভাই কূটনীতিক কেএম মুজিবুল হক ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় কায়কোবাদ পরিবারই এগিয়ে রয়েছে। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলার সর্বত্রই তার পরিচিতি এবং নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ আসনে বিশেষ আলোচনায় রয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা নিজ উপজেলা মুরাদনগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। তাকে ঘিরে উপজেলায় এনসিপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। এনসিপি নেতাকর্মীদের দাবি-আগামী নির্বাচনে আসিফ মাহমুদ এ আসন থেকেই নির্বাচন করতে পারেন।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, মুরাদনগর আসনে বিএনপির একক প্রার্থী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। তার সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সুবিধা করার মতো প্রার্থী আমাদের চোখে পড়ছে না। আমরা জনগণের রায় ও সমর্থনে বিশ্বাসী।
জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই জনগণের সঙ্গে আছি। নানান প্রতিকূল পরিবেশে তাদের ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। মানুষ রাজনীতির একটা আমূল পরিবর্তন চাচ্ছে। জনগণের ওপর আমার আস্থা রয়েছে।
এনসিপির মুরাদনগর উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী মিনহাজুল হক বলেন, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে আমাদের দলীয় প্রার্থী থাকবে। আমরা হেভিওয়েট প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামব। ইতঃপূর্বে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সামনের দিকে আরও চমক আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও বিএনপির প্রার্থীকে জামায়াত ও এনসিপির প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

