কুমিল্লায় বিদ্রোহীরাই বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি সংসদীয় আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। এসব প্রার্থীর কারণে ধানের শীষের প্রার্থীরা বেকায়দায় পড়তে পারেন। জেলার অন্তত ৫টি আসনে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এসব আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। শুধু কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনটি মিত্র দল এলডিপিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্থানীয় বিএনপি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।
১০টি আসনের মধ্যে ৫টিতে দলীয় প্রার্থী মেনে নেননি মনোনয়নবঞ্চিতরা। ধানের শীষের প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী পরিবর্তন করা না হলে এই ৫টি আসনে বিদ্রোহীরা প্রার্থী হতে পারেন। ইতোমধ্যে অনেকে প্রার্থী হতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণও করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরাই বিএনপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিদ্রোহীদের কারণে ধানের শীষ প্রার্থীরা ধরাশায়ী হতে পারেন।
কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী হিসাবে লড়বেন মনোনয়নবঞ্চিত এমএ মতিন খাঁন। তিনি খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস। কুমিল্লা-৫ আসনে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান, কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা-৭ আসনে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আতিকুল আলম শাওন, কুমিল্লা-১০ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া প্রার্থী (বিদ্রোহী) হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব আসনে জামায়াতের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘৫টি আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের আমরা প্রার্থী না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কারণ এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করি, তারা ধানের শীষের বাইরে যাবেন না।’
কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতদের নিয়ে আমরা বৈঠক করব। তারা যেন ধানের শীষের বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী না হন, সেই চেষ্টা চলছে। তাদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

