Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

গণভোটের জন্য ৪টি প্রশ্নে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে: বদিউল আলম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গণভোটের জন্য চারটি প্রশ্ন নির্ধারণ করার কারণে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবনতি থেকে উত্তরণের জন্য গভীর সংস্কার প্রয়োজন। এজন্যই গণভোট। এর মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক উত্তরণ। এর মানে হলো প্রতিবারই সুষ্ঠু ভোট হবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার লাগাম টানা হবে, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ গঠন করে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিরপেক্ষভাবে গড়তে হবে। এই সংস্কারগুলো গণভোটে যাবে। সংস্কারগুলোর জন্য আমরা যদিও একটা প্যাকেজ (প্রশ্ন) দিয়েছিলাম, সরকার দিয়েছিল চারটি প্যাকেজ। এতে একটা ‘কনফিউশন’ (বিভ্রান্তি) সৃষ্টি হয়েছে। এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে না বিপক্ষে। এই গণভোট পাশের ওপর নির্ভর করবে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে দায়িত্বে থাকাকালীন সংস্কার বাস্তবায়নে হতাশার কথা উল্লেখ করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমি এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে কিছু কিছু বলেছি এবং সব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে গিয়েছি। কিন্তু কিছু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হবে কি না-এই আশঙ্কা বহুলাংশে দূর হলেও পুরোপুরি হয়নি। আমিসহ অনেকের মনে দুটো প্রশ্ন রয়েছে। একটা হলো-নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সংস্কার করাসহ নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের সদাচরণের ওপর। নির্বাচন কমিশনের ওপরেও সুষ্ঠু নির্বাচন নির্ভর করবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এই প্রশ্ন ওঠার বড় কারণ হলো-আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুরুতর অবনতি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি দায়িত্ব না নেয়, সদাচরণের জন্য যদি অঙ্গীকারবদ্ধ না হয়, তাহলে পুলিশ, আর্মি এবং নির্বাচন কমিশন সবকিছু করতে পারবে না। দলকে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আগামী সোমবারের ভেতরে নিবন্ধন না দেওয়া হলে মঙ্গলবারে আমরা নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে জবাবদিহিতা চাইতে যাব। আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম