ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলা মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন নদীর ব্রিজের নিচ থেকে এক বস্তাবন্দি মাদ্রাসাছাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তার নাম মাহফুজা খাতুন। তার হাত-পা বাঁধা ছিল। সে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের ক্বারি মোস্তফার মেয়ে। ঠাকুরগাঁও শহরের ডিসি বস্তি মহল্লার খাতুনে জান্নাত কামরুননেছা কওমি মহিলা মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (মুহতামীম) হযরত আলী বলেন, মাহফজা ৬ জুন তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। মাহফুজাকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারের পর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই এমদাদুল হক জানান, বছরখানেক আগে একই এলাকার আমিরের ছেলে ইয়ামিন আলীর সঙ্গে মাহফুজার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করে। ইয়ামিন বীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী। কিন্তু ছেলের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। উলটো যৌতুক দাবি করে। তবে ইয়ামিনের মা নূপুর আক্তার এই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মেয়ে-ছেলে সম্পর্কে খালা-ভাগ্নে। কীভাবে এটি মানা যায়
এদিকে মাহফুজা খাতুন জানায়, তাদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটে গুলজান বেগম তার অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে মাদ্রাসার মেয়ে চায়। এতে আমি রাজি হইনি। আমি লেখাপড়া শেষ করে মাদ্রাসার ছাত্রীনিবাসে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৩টার দিকে ঘরের বাইরে থেকে আমাকে কে বা কারা ডাক দেয়। আমি ঘুম থেকে জেগে ঘরের জানালার কাছে গেলে কয়েক যুবক আমাকে কিছু ছবি দেখায়। আমি ছবিগুলো নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা শক্তি প্রয়োগ করে আমাকে ঘরের বেড়া ভেঙে টেনে বের করে। সন্ত্রাসীরা তাৎক্ষণিক আমার মুখে ওড়না পেঁচিয়ে ধরে। এরপর হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে। আমি অচেতন হয়ে পড়ি। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, মাহফুজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অজ্ঞান করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলা হয়েছে কি না, তদন্ত চলছে। মেয়েটির ট্রাংকে কিছু প্রেমপত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
