Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

মেলা উদ্বোধন আজ

সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা

আজ মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী

Icon

ইন্দ্রজিৎ রায় ও আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসাবেও অভিহিত করা হয়। মহাকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জন্মভূমি যশোরের সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বিকালে মেলা উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। দুই বছর পর মেলা ঘিরে মধুপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও মধুসূদন দত্তের নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে যশোরবাসী।

জানা যায়, ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রাজনারায়ণ দত্ত এবং মায়ের নাম জাহ্নবী দেবী। বাবা কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল ছিলেন। আর তাই তাকে বেশির ভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকতে হতো। মায়ের তত্ত্বাবধানে মধুসূদনের শিক্ষারম্ভ হয়। মধুসূদন দত্ত প্রথমে সাগরদাঁড়ির পাঠশালায় পড়াশোনা করেন। সাত বছর বয়সে মধুসূদন দত্ত কলকাতা যান এবং সেখানে খিদিরপুর স্কুলে দুই বছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজে বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন। হিন্দু কলেজে অধ্যয়নকালেই মধুসূদনের প্রতিভার বিকাশ ঘটে। সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে মধুসূদন দত্তের জন্ম হলেও তিনি যৌবনে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন নাম গ্রহণ করেন। পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে মধুসূদন নিজ মাতৃভাষার প্রতি মনোযোগ দেন। এ পর্বে তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করেন। মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। মহাকবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর মেলা বন্ধ ছিল।

সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীর কাস্টডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাত দিনব্যাপী মধুমেলা হচ্ছে। তাই আমরা সবাই দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি মধুপল্লীর শোভাবর্ধনের জন্য।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম