Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

আওয়ামী লীগের এবারের স্লোগান স্মার্ট বাংলাদেশ: ড. আব্দুর রাজ্জাক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলবে। সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাদের এবারের নির্বাচনি ইশতেহারের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। শনিবার আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ড. রাজ্জাক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘গ্রাম হবে শহর’। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মূল স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ইশতেহার দিয়ে আসছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। অতীতে আমরা কী কী করেছি, আমাদের কী কী অর্জন রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হয়। তার আলোকে নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করি।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর বিরাট আঘাত এসেছে। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। অর্থনীতি টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এত কিছুর পরও ৬ ভাগের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট ভাগ, সেটি সম্ভব হয়নি। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে আরও কিছু সময় লাগবে।

এবারের নির্বাচনি স্লোগানের মূল প্রতিপাদ্যে যুবসমাজের কর্মসংস্থান থাকবে বলে জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সবাই বলত অবকাঠামো নেই, রাস্তাঘাট নেই, এ দেশে শিল্প হবে না। বিদেশিরা আসবে না, বিনিয়োগ করবে না। আমরা আগে অবকাঠামো করেছি, রাস্তাঘাট করেছি। শিল্পায়নের পথে সব বাধা দূর করা হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দেশে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।

স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল উন্নত জীবনযাপন। উন্নত জীবনযাপনের জন্য উৎপাদন খাত বাড়ানো, শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। এর জন্য যা করার সবই হয়েছে। শিল্পায়নের মাধ্যমে শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে। দেশের অর্থনীতি চাঙা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। রাস্তা পাকা হয়েছে। সব গ্রাম উপজেলা শহরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে গেছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে আলু-পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় জনগণের ক্ষোভ রয়েছে। এ দামটা থাকবে না। আমরা চেষ্টা করছি। বিশেষ করে, গরিবদের বিষয় বিবেচনা করে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে চালের দাম নিম্নগামী। চাল-গম অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে আমাদের গুদামে এখন বেশি রয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম