Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ঘাঘটের তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ বসানোয় অনিয়ম

ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরের পীরগাছায় ভাঙন রোধে ঘাঘট নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিও ব্যাগ বসানোর স্থানের ১০ ফিটের মধ্যেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

নদী থেকে উত্তোলন করা বালু দিয়েই জিও ব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে। এভাবে ওই তীর সংরক্ষণ করা হলেও বাঁধ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদারকে বাধা দিলে তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রবি এন্টারপ্রাইজ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষায় পীরগাছার পশ্চিম তালুক ইশাদ খামার এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। এতে শত শত ঘরবাড়ি ও জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙন ঠেকাতে ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই টাকায় পশ্চিম তালুক ইশাদ খামার গ্রামে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থে ঘাঘট নদীর বাম তীররক্ষণ কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য নদীর তীরে ১৭৫ কেজির ধারণ ক্ষমতার দুই হাজার ৭০৯টি জিও ব্যাগ এবং ৬৫ কেজি ওজনের পাঁচ হাজার ৯০০টি স্যান্ড (বালু) সিমেন্ট গানি ব্যাগ স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের কার্যাদেশ পেয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রবি এন্টারপ্রাইজ। সরেজমিন দেখা গেছে, যেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে, তার সাত-আট ফিটের মধ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু উত্তোলন হয়েছে। আবার ওই বালু দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে জিও ব্যাগ। জিও ব্যাগে মোটা বালু দেওয়ার নিয়ম থাকলেও চিকন বালু দেওয়া হচ্ছে। জিও ব্যাগ ভর্তির বালু প্রায় ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৫০ কেজি ও গানি ব্যাগ ভর্তির জন্য ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৩ কেজি বালুর মধ্যে শুধুমাত্র দুই ট্রলি বাইরে থেকে ক্রয় করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বাকি সব বালু নদী থেকে উত্তোলন করে তা বস্তা ভর্তি করে সেখানে স্থাপন করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা নিয়ম মেনে কাজের দাবি জানালে ঠিকাদারের লোকজন তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে রবি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার প্রকৌশলী অপু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুপস্থিতিতে রাতে একদিন মাত্র কাজ করেছি। ২০ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে ২০০ গানি ব্যাগ তৈরি করিনি। তবে সিমেন্টের পরিমাণ কিছু কম হয়েছে। যে অভিযোগগুলো বলা হয়েছে তা সঠিক নয়।

সার্বিক বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মাহমুদ জানিয়েছেন, জিও ব্যাগ ফেলার স্পটের কাছে বালু উঠানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। নদীর তীর রক্ষা করা আমাদের কাজ আর বালু উঠানো বন্ধ করা ইউএনওর কাজ। তিনি আরও বলেন, নদীর তীরসংলগ্ন এলাকা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও সমস্যা নেই। তবে কাজের বিষয়ে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম