দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম। সারা দেশে দলের অঙ্গসংগঠনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সংগঠিত করতে চায় দলটি। জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনএমের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ সময় তিনি দলের নতুন মহাসচিব অধ্যাপক ড. আবদুর রহমানের দায়িত্ব গ্রহণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়টি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনএমের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম ওয়ালিউল রহমান খান, অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার (রাজা), কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ, ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, এইচএম গোলাম রেজা, অ্যাডভোকেট হোসেন আরা চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আজিজুন নাহার, ফাতেমা আক্তার, যুগ্ম-মহাসচিব জাকির হোসেন লিটু প্রমুখ। আবু জাফর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএনএমের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন ড. মো. শাহজাহান। এখন ব্যক্তিগত কারণে তিনি দলকে সময় দিতে পারছেন না। তিনি ১৩ জুন দলের মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গণতান্ত্রিকভাবে এখন থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুর রহমান দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা নতুন দল হিসাবে প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করেছি। সে ধারাবাহিকতায় এখন দলকে সংগঠিত করতে জোর দিয়েছি। ভিশন ২০৩৫ সালকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করি এই সময়ে দলকে সংগঠিত করে এ দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছাকাছি আসতে পারব।

বিএনএম চেয়ারম্যান বলেন, বিরোধী দলহীন সরকার দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারে না। যার কারণে আমরা মনে করেছি নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে একটি দল গঠন করব। যে দলে কৃষক শ্রমিক সাধারণ মেহনতি মানুষ সবাই আসবে ও সম্মিলিতভাবে আমরা এ দেশের জনগণের দাবি এবং অধিকার নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

ড. আবদুর রহমান বলেন, শিগগিরই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী আন্দোলনের ব্যানারে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫ বছরের জন্য আমরা একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছি। চলতি বছরের মধ্যে আমাদের অঙ্গসংগঠন কমিটিগুলো করা হবে। মূল দলের মহানগর আহ্বায়ক কমিটি গঠন হবে। আগামী বছর আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের।