দুটি বাড়ি এখন কেবলই স্মৃতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি। দুই বাড়ি ঘিরে আবর্তিত হয়েছে জাতীয় ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ। বাড়ি দুটি এখন কেবলই স্মৃতি। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত শহিদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বের করে দেওয়া হয়। ১৪ বছর পর গত বুধবার রাতে পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের সরব হতে দেখা গেছে। দুই বাড়ির ধ্বংসের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে দায়ী করছেন। ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাকে এক কাপড়ে জোর করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে অপমান করা হয়েছে।’ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছয় মাস পর বুধবার তিনি ভারত থেকে সামাজিকমাধ্যমে বক্তব্য দেন। যা নিয়ে আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর ও গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এ নিয়ে বুধবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে। রাফিউল আলম নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রকৃতির বিচার। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ছাড়তে হয়। এই ঘটনার ১৪ বছর পর শেখ হাসিনার দম্ভ ও অহমিকার কারণে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’ আরেক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, এক রাবণের অপকর্মের কারণে ধ্বংস হয়েছিল স্বর্ণলঙ্কা। আর এক হাসিনার জন্য আমাদের জাতীয় ইতিহাস থেকে মুছে গেল দুটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।
