Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

বরিশালে খাদ্য গুদামের ৩৫ টন চাল-গম উধাও

Icon

এস এন পলাশ, বরিশাল

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল সরকারি খাদ্য গুদামের ৩৫ টন চাল-গম উধাও হয়ে গেছে। কয়েক মাস ধরে এসব চাল-গম বেহাত হয়েছে। গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মনিরুজ্জামানের দায়িত্ব পালনকালে এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি বরিশাল খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বদলি হলে চাল-গম আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত চলছে। রাইস মিলে সরকারি চাল-গম বিক্রি করে তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। জানা গেছে, এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মনিরুজ্জামানকে ভোলা জেলায় বদলি করা হয়। বদলির পর পিরোজপুর জেলা থেকে বরিশাল খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা পদে যোগ দিতে আসেন জলিল সিকদার। গুদামে গিয়ে জলিল দেখতে পান ৩৫ টন চাল-গম মজুত কম রয়েছে। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ খবর জানতে পেরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বরিশাল জেলা আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা মামুনুর রশীদের সঙ্গে গোপনে সভা করেন মনিরুজ্জামান। গোপন মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- পুলিশের ফেব্রুয়ারি মাসের রেশন বাবদ চাল নেওয়ার পরিবর্তে নগদ টাকা দেওয়া হয়। পুলিশের রেশনের চাল দিয়ে গুদামের ঘাটতি কিছুটা পূরণ করেন মনিরুজ্জামান। এরপর ৩৫ টন চাল-গমের সমপরিমাণ টাকা জলিলকে দেন মনিরুজ্জামান।

জানা গেছে, মনিরুজ্জামান ও মামুনুর রশীদের বিক্রি করা চাল পুলিশ জব্দ করে। তবে তারা আটক হননি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপরও মনিরুজ্জামান বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল খাদ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, শুধু ৩৫ টন চাল-গমই নয়, ১০০ টন মজুতের ঘাটতি রয়েছে। যা এ দপ্তরের সবাই জানেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে তিনি বছরের পর বছর অপকর্ম করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে কল দিলে তিনি তা বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিক খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

নবাগত বরিশাল জেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জলিল সিকদার বলেন, ৩৫ টন মজুদ খরচ দেখিয়েছেন মনিরুজ্জামান। আমি যোগদানের সময় ঘাটতি থাকা চাল-গমের বাজার মূল্য অনুযায়ী টাকা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন। চাল-গমের পরিবর্তে নগদ টাকা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার বিধান আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।

বরিশাল জেলা খাদ্য কর্মকর্তা তাহসিনুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মনিরুজ্জামানের আগের একটি ঘটনার তদন্ত আমার কাছে আছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম