Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

কূটনৈতিক টানাপোড়েন

উদ্বোধন হলেও অলস পড়ে আছে আখাউড়া আগরতলা রেলপথ

Icon

মহিউদ্দিন মিশু, আখাউড়া

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার সঙ্গে যুক্ত করা বহু কাঙ্ক্ষিত রেলপথ এখন ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ট্রায়াল রানও হয়েছে কয়েক দফা। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ রেলপথের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু উদ্বোধনের ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও অলস পড়ে আছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, সহসা শুরু হচ্ছে না আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্র্রসারণে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলপথ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের নির্মাণ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। আন্তঃদেশীয় এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলসেকশনের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন ও সিগন্যাল বাতির কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন, প্ল্যাটফর্ম এবং সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজও পুরোপুরি শেষ হয়েছে। স্টেশন ও মূল্যবান আসবাবপত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের প্রকৌশলী প্রভাকর ও রিপন শেখ যুগান্তরকে জানান, এখন প্রকল্পটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও একাধিকবার দেওয়া হয়েছে। তারা জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ মার্চ বাংলাদেশ সরকারকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দেওয়ার আশা করা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ সংশ্লিষ্টরা। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে কলকাতা বা অন্য রাজ্যগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। এতে পণ্য পরিবহণে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি খরচও হয় বেশি। আখাউড়া-আগরতলায় ট্রেন চলাচল শুরু হলে সময় এবং অর্থ দুই-ই কম লাগবে। দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বাড়বে।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ও আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে দীর্ঘ ১৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ট্রেন চলাচল না করায় ইমিগ্রেশন বা কাস্টমসের কারও ডাক পড়েনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম