প্রগতিশীল ছাত্র ও গণ-সংগঠনের সমাবেশ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ সাত দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রগতিশীল ছাত্র ও গণ-সংগঠনগুলোর এক সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণসহ সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ সমাবেশ হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কা এবং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা বিবেচনায় পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-মাগুরার শিশুটিসহ সকল হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার করতে হবে। ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলাকারী মব সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা, যৌথ বাহিনী দ্বারা শ্রমিক হত্যার বিচার করতে হবে। সাগর-রুনি, তনু, আফসানা, মুনিয়াসহ পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ আমলে সংগঠিত হত্যার বিচার করতে হবে। হিন্দু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাটের বিচার করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা। এতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন। তিনি বলেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। অভ্যুত্থানের পর পরই বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। মব সন্ত্রাসের নামে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা, পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের হত্যা, রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা, চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী হত্যাসহ কোনো অপরাধের বিচার করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থ হয় নাই।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রেীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, আমরা দেখেছি দেশে তনুকে কিভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার বিচার হয়নি। ধনাঢ্যের ছেলের দ্বারা মুনিয়াকে কিভাবে ভুক্তভোগী করে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি। আমাদের বোন নুশরাতকে কিভাবে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার আমরা পাইনি। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, আমাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। শুক্রবার গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, আমরা যেন এই কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করি, পালন না করি। আমলার ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশ জাসদ-এর ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম শীল, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু প্রমুখ।