খুলনা জেলা কারাগার
সুবিধা পেতে আ.লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ
নূর ইসলাম রকি, খুলনা
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খুলনায় ৫ই আগস্টের পর বিভিন্ন মামলায় আটক আওয়ামী লীগ নেতাদের স্থান এখন জেলা কারাগারে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক কেসিসির কাউন্সিলর, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ একাধিক সাবেক সংসদ সদস্য। কারাগারের ভিতর থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা নিতে তারা সবাই এখন দৌড়ঝাঁপ করছেন। জেলা কারাগারে ৬৭৮ জন বন্দি থাকার ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে দ্বিগুণ বন্দি। ফলে কারাগারের হাসপাতালে বিশেষভাবে থাকার জন্য জোর তদবির করেন প্রভাবশালীরা।
খুলনা কারাগারে ডিভিশনের অসুবিধা না থাকলেও সেলকে বিশেষভাবে ডিভিশনে রূপ দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন খুলনা ৫ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ। সেলের ভিতর খাট, টেবিল, মশারি, কমোড, পেপার পড়ার সুযোগ, প্রতিদিন দুটো ডিম, রুটি, চিকন চালের ভাত, পর্যাপ্ত মাছ-মাংস সবই তিনি পাচ্ছেন। সম্প্রতি খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ রশিদুজ্জামান ডিভিশন সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ হোসেন আটক হওয়ার পর অসুস্থ ছিলেন বলে কারাগারের সুবিধা নিয়েছিলেন। এর আগে বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক নেতাও অসুস্থতার কারণে হাসপাতালের সুবিধা নিয়েছিলেন। এছাড়া কারাগারের ভেতর থেকে মোবাইলে কথা বলার ঘটনায় মোবাইল উদ্ধার ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। এদিকে খুলনার ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদী কারাগারে থাকলেও ডিভিশনের মতো কোনো সুবিধা না পেয়ে ঢাকায় চলে গেছেন। খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন যুগান্তরকে জানান, আওয়ামী লীগকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব নেতাকর্মী রাতের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল, তারা যদি এখন কারাগারে ডিভিশনের সুবিধা পায় সেটা হতাশাজনক। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব নির্বাচনি অবৈধ। সেই নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোনো সুবিধা দেওয়া উচিত না। খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান যুগান্তরকে জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। এ কারাগারে ডিভিশনের কোনো সুবিধা নাই। সেলকে ডিভিশনের রূপ দিয়ে কিছুটা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে নারায়ণ চন্দ চন্দকে। তার ডিভিশনের অনুমোদন ঢাকা থেকেই ছিল। সম্প্রতি সাবেক সংসদ সদস্য রশিদুজ্জামান ডিভিশনের জন্য আবেদন করেছেন তবে এখনো সেটা অনুমোদন হয়নি। যারা প্রকৃতপক্ষে অসুস্থ থাকে তাদেরই হাসপাতালে সুবিধা দেওয়া হয়।
