Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

পার্বত্য জেলা পরিষদ

খাগড়াছড়িতে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ ৪ জনের বিরুদ্ধে

Icon

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। ঘুস না দেওয়ায় হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ-প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের বিপরীতে বরাদ্দের ১০ শতাংশ পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, ৫ শতাংশ নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, ৫ শতাংশ নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান এবং ২ শতাংশ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আশীষ চাকমা ঘুস দাবি করেন। দুদকে পাঠানো আবেদনে খাগড়াছড়ির মাস্টারদা সূর্য সেন গণপাঠাগারের সাধারণ সদস্য আরাফাত হোসেন রিজভী এ অভিযোগ করেন। অভিযোগের পক্ষে তথ্যপ্রমাণ ৬ জুলাই ডাকযোগে তিনি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছেন।

রিজভী আরও বলেন, ১৫৫নং প্রকল্পে ৫০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ২০ লাখ টাকা। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের কাগজপত্র নিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ানের কাছে গেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কাজ হবে না।’ ১৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা অর্থ ছাড়ের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ১৩ মে শেফালিকা ত্রিপুরা আবেদন করেন। শেফালিকা জানান, এজন্য চেয়ারম্যান এক লাখ টাকা নিয়েছেন। এ সময় তিনি (চেয়ারম্যান) বলেন-‘মন্ত্রণালয় থেকে এমনি এমনি টাকা আসে না, সেখানেও টাকা দিয়ে বরাদ্দ আনতে হয়।’

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান জানান, আমি কোনো ঘুস চাইনি এবং এ প্রকল্পের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হোক। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আশীষ চাকমা বলেন, এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে যা শাস্তি মাথা পেতে নেব। এ বিষয়ে জানতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে ফোন দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে ৭ জুলাই নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম