Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

স্মরণসভায় এক মঞ্চে পাঁচ অংশের নেতারা

ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ার ঘোষণা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে অনেক প্রভাবশালী নেতা বিভিন্ন সময়ে নতুন দল তৈরি করেছেন। বর্তমানে জাতীয় পার্টির নামে ছয়টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে এরশাদের জাতীয় পার্টির পাশাপাশি, জাতীয় পার্টি (রওশন), জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এবং জাতীয় পার্টি (মতিন)-এর নেতারা এক মঞ্চে এসে আবারও ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ার ঘোষণা দিলেন।

সোমবার গুলশানের একটি মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু এরশাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভায় তারা এ ঘোষণা দেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে মূলত জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যার এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে দলটির বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টি (রওশন) নির্বাহী সভাপতি কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ-জেপিবির প্রধান উপদেষ্টা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন, জাতীয় পার্টি (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমাকে বলা হয় আমি জাতীয় পার্টি ভেঙেছি। কিন্তু আমি দল ভাঙিনি। দল আমাকে বের করে দিয়েছে। আমার নেতৃত্বে আন্দোলন করে আমি এরশাদকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলাম। আমি সব সময় বলে এসেছি ঐক্যের কথা। আজ বৃহত্তর ঐক্যের যে কথা শুনছি, তা যদি বাস্তবে কার্যকর করা যায় তাহলে দেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হবে। তিনি আরও বলেন, এরশাদকে স্বৈরাচার বলা হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচার বলা হচ্ছে। সময়ের পরিবর্তনে আরও অনেককে স্বৈরাচার বলা হবে।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে জন্য জীবন দিয়েছেন, সে স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। দেশে আজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। সাধারণ মানুষ চরমভাবে নিরাপত্তহীনতার মধ্যে রয়েছে। দেশের এই অস্থির সময়ে দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। শেষজীবনে আমাদের উচিত দেশকে কিছু দেওয়া।

এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আসুন আমরা শেষজীবনে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করি। দেশে আবারও পরিবর্তন আসবে। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করে যাব। তিনি বলেন, এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার সময় বিচারব্যবস্থা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় ৬টি হাইকোর্টের বেঞ্চ সম্প্রসারণ করেন। এছাড়া বিচারব্যবস্থাকে আরও বেগবান করতে প্রতিটি উপজেলায় মুনসেফ কোর্ট স্থাপন করেন তিনি। ৩৫ বছর পর এসে আজকের অন্তর্বর্তী সরকার যুগান্তকারী সেই কাজটি করার জন্য আবারও উদ্যোগ নিয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম