Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ৩০ জুলাই

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিন ধাপে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। প্রথম ধাপে অনলাইন আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই। এ ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।

প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টায়। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে। প্রকাশিত নীতিমালায় এ বছর ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। গত শিক্ষাবর্ষে আবেদন ফি ছিল ১৫০ টাকা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুল কদ্দুস।

নীতিমালায় বলা হয়, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদন নেওয়া হবে ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ আগস্ট আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি-নিষ্পত্তি করা হবে। ১৩ ও ১৪ আগস্ট শুধুমাত্র খাতা চ্যালেঞ্জে ফলাফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন। প্রথম ধাপে আবেদনকারীদের ১৫ আগস্ট কলেজ পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় দেওয়া হবে। এরপর ২০ আগস্ট রাত ৮টায় ফল প্রকাশ করা হবে। ২২ আগস্ট প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। যারা প্রথম ধাপে নির্বাচিত হয়েও নিশ্চায়ন করবেন না তাদের দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের কলেজ পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। একইদিনে (২৮ আগস্ট) রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। ২৯ ও ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। একইদিন রাতে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিশ্চায়ন করতে পারবেন। এ ধাপেও কোনো শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে তার আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। ৫ সেপ্টেম্বর সবশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর তিন ধাপে নির্বাচিতদের চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভর্তি চলবে ৭-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । এর একদিন পরে ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা বা লটারি হবে না। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম অনুযায়ী কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে ঢাকার নটরডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ফি জমা দিয়ে সর্বনিু পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আবেদন ফি ৭০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি সহায়তায় এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এ ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, এবারও কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। যা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম