বুড়িচংয়ে জমি দখল করে কেটে নিচ্ছে মাটি
ইকবাল হোসেন সুমন, বুড়িচং (কুমিল্লা)
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ও শঙ্কুচাইল এলাকায় বেসামাল মাটিখেকোরা। অন্য মানুষের জমি দখল করে ড্রেজার দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি। মাটিখেকো জসীমউদ্দীন ও বাসু মিয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসি ল্যান্ডের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো কাজ হয়নি। প্রতিদিন কাটা হচ্ছে জমির মাটি।
যাদের জমি দখল করেছে তারা হলেন-শঙ্কুচাইল গ্রামের ইকবাল হোসেনের এক দাগে ৪৮, আরেকটি দাগে ৩৬ ও অন্য আরেকটি দাগে ২৭, জয়নাল উদ্দিনের ৪৫, মজলু চৌধুরীর ১৫, আব্দুল হান্নানের ২৪, শাহাদাত হোসেনের ১৪, হাশেম মোল্লার ১৫ এবং রাজাপুর গ্রামের হারুনুর রশিদ মেম্বারের ৪৫ ও লিটন ডাক্তারের ২৫ শতক।
শঙ্কুচাইল গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের জমিগুলো জোর করে দখল করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাধা দিলে আমাদের বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেয়।
একই গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
রাজাপুরের হারুনুর রশিদ বলেন, মাটিখেকোরা ক্ষমতাবান হাওয়ায় এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচার ও জুলুম করে আসছে দীর্ঘদিন। কেউ প্রতিবাদ করলে তারা মারধর করে। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। আমরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছি। ইউএনও এসি ল্যান্ডকে পাঠালে তিনি এসে ঘটনার সত্যতা পান। এসি ল্যান্ড ফসলি জমি থেকে মাটি না কাটার নির্দেশ দিলেও তিনি চলে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা আবারও মাটি কাটা শুরু করে।
বুড়িচংয়ের এসি ল্যান্ড সোনিয়া হক বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি। নির্দেশ অমান্য করে তারা যদি মাটি কাটে, তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, আমি চেষ্টা করছি ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য; কিন্তু কিছুতেই বন্ধ করতে পারছি না। আমরা বা এসি ল্যান্ড যখন ঘটনাস্থলে যাই, তারা আগেই খবর পেয়ে মাটি কাটা বন্ধ রাখে। আমরা চলে আসার পর আবার তারা মাটি কাটা করা শুরু করে। এ অবস্থায় আমি জমির মালিকদের আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দিয়েছি।
