Logo
Logo
×

ওয়ানডে বিশ্বকাপ

যেখানে শেষ সেখানেই শুরু

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ মুখোমুখি গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড

Icon

ইশতিয়াক সজীব

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্নায়ু বিকল করা মূল ম্যাচের পর সুপার ওভারও টাই। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার পর বাউন্ডারি বেশি মারার এক অদ্ভুত নিয়মে শেষ দৃশ্যে ইংল্যান্ডের হাসি, নিউজিল্যান্ডের কান্না। চার বছর আগে লর্ডসে যে অবিস্মরণীয় ফাইনালের সাক্ষী হয়ে পর্দা নেমেছিল ২০১৯ বিশ্বকাপের, দুই ল্যান্ডের সেই রোমাঞ্চকর লড়াই দিয়েই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের। ভারতের নতুন ক্রিকেট তীর্থ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

চার বছর আগে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড হয়ে উঠেছে বাকি দলগুলোর জন্য রোল মডেল। এইউন মরগানের অবসরের পর নেতৃত্বের ব্যাটন পাওয়া জস বাটলারের অধিনায়কত্বে গত বছর টি ২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ইংলিশরা। ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের আটজন স্কোয়াডে থাকায় এবারও ইংল্যান্ডকে শিরোপার বড় দাবিদার মনে করছেন অনেকে। বাটলার অবশ্য অতীতে আচ্ছন্ন নন, ‘আমরা নিজেদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মনে করছি না। এটা নতুন টুর্নামেন্ট, নতুন করেই সব শুরু করতে হবে। খুব ভালো কয়েকটি দল থাকায় চ্যালেঞ্জিং হবে এবারের বিশ্বকাপ। জানি, আমরা খুব ভালো ও বিপজ্জনক দল। অভিজ্ঞতার কোনো ঘাটতি নেই। আত্মবিশ্বাস নিয়েই তাই নামব।’

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের সোনালি প্রজন্মের জন্য বিশ্বকাপ জেতার এটাই হয়তো শেষ সুযোগ। আগের ১২ বিশ্বকাপের আটটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে কিউইরা। শেষ দুই আসরে খেলেছে ফাইনালে। কিন্তু মেলেনি শিরোপার দেখা। এবার সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে বিশ্বকাপে এলেও আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও পেসার টিম সাউদিকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। অস্ত্রোপচারের পর এখনো শতভাগ ফিট না হওয়ায় ঝুঁকি এড়াতে প্রথম ম্যাচে তাদের খেলানো হচ্ছে না। উদ্বোধনী ম্যাচে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড়কে না পাওয়া বড় ধাক্কা হলেও এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম লাথাম, ‘কেইন ও টিমকে ছাড়াও আমরা জিততে পারি। জানি, মানুষ আমাদের আন্ডারডগ ভাবে। কিন্তু তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা কী করতে পারি, সেদিকেই পুরো মনোযোগ আমাদের। নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি।’

এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দশবারের দেখায় দুদলই জিতেছে পাঁচবার করে। তবে গত পাঁচ বছরে দুদলের শেষ ১০ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র দুটি। আজ সবার চোখ থাকবে দুদলের দুই তুরুপের তাস বেন স্টোকস ও ট্রেন্ট বোল্টের ওপর। ইংল্যান্ডের ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক স্টোকস আরেকটি বিশ্বকাপে খেলতেই অবসর ভেঙে ফিরেছেন ওয়ানডেতে। নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণের নেতা বোল্টও শুধু বিশ্বকাপ মাতাতে এক বছর পর ফিরেছেন ওয়ানডেতে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেড-টু-হেড

ম্যাচ ইংল্যান্ড জয়ী নিউজিল্যান্ড জয়ী

১০ ৫ ৫

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম