সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করবেন যেভাবে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয়ের উপকরণ হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে বেশ কিছু সরকারি বন্ড। এগুলোকে ট্রেজারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলও বলা হয়। এসব বিল ও বন্ডের বিপরীতে রয়েছে আকর্ষণীয় মুনাফা। এগুলোতে বিনিয়োগ করে সঞ্চয়কারীরা যেমন ভালো মুনাফা পেতে পারেন, তেমনি বিনিয়োগও নিরাপদ। কিন্তু এগুলোর বিনিয়োগ প্রক্রিয়া একটু জটিল বলে এবং প্রচার নেই বলে বিনিয়োগকারীদের নজরে এগুলো নেই।
সরকারি খাতের বর্তমানে পুঁজিবাজারে ২২১টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটে রয়েছে। তেমন বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ নেই বলে এগুলোর লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে। তবে যে কেউ এগুলো তার শেয়ারবাজারের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কিনতে পারেন। আবার যে কোনো সময় শেয়ারবাজারেই এগুলো বিক্রি করা যায়। ফলে শেয়ারবাজারের যে কোনো ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে যেমন এসব বন্ড কেনা যায়, তেমনি বিক্রিও করা যায় অনেক শেয়ারের মতো করেই। তবে মুনাফা পাওয়া যায় প্রতি ছয় মাস পর পর। প্রতিটি বন্ডের অভিহিত মূল্য ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সর্বনিম্ম ১ লাখ টাকার বন্ড কিনতে হবে। কেউ চাইলে এর বেশি ২ লাখ, ৩ লাখ বা ৫ লাখ টাকা বা আরও বেশি অঙ্কের বন্ড কিনতে পারেন। পুঁজি বাজারে বর্তমানে ৫, ১০, ১৫ এবং ২০ বছর মেয়াদি বন্ড রয়েছে। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করলে সরকার ঘোষিত হিসেবে মেয়াদ মেষে মুনাফা পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত এসব বন্ডের নিলাম হয়। এর মাধ্যমে এগুলোর সুদের হার নির্ধারিত হয়। বর্তমানে বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার ৫ দশমকি ১০ থেকে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার ৭ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ, ১৫ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার ১০ থেকে সাড়ে ১৩ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার ৯ থেকে ১৪ শতাংশ।
এছাড়াও যে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমেও এসব বন্ডে বিনিয়োগ করা যায়। এর মধ্যে যে ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের হিসাব রয়েছে ওই ব্যাংকেই বন্ড কেনার অর্ডার দিতে হবে। ওই শাখা পাঠাবে তা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কার্যালয়ে। ওই কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি হিসাব পরিচালনা করা হয়।
