|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিগত হাসিনা সরকারের প্রধানতম অর্থদস্যু এস আলম বিপুল অঙ্কের টাকা লুট করেছেন।
এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। দেশের প্রধান ক্ষমতাধর ব্যাক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে চালানো হয়েছে নজিরবিহীন লুটতরাজ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সেই টাকায় এখন বিদেশে বসে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যে এস আলম কত টাকা চুরি করেছেন তার সঠিক হিসাব জানা নেই। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি একাই কমপক্ষে দেড় লাখ কোটি টাকা চুরি করেছেন।
সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই তদন্ত শুরু করেছে।
সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এস আলম গ্রুপের মালিক এস আলম ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরদ্ধে সংঘবদ্ধ অপরাধ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। এস আলমসহ তার সহযোগী ব্যক্তিরা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারে জড়িত সন্দেহে অনুসন্ধান শুর করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সিআইডি বলছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে একদিনের ব্যবধানে আবার বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের (পিআর) অনুমতি গ্রহণ করেছেন। তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাস ও ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নিজের ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ করেছেন।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এস আলমের পাচার করা অর্থে সিঙ্গাপুরে ২ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান করেছেন এস আলম ও তার সহযোগী ব্যক্তিরা। তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের নামে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে এস আলম অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি বলছে, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং অপরাধ করেছেন তারা।
