বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা: নিয়ম মেনেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশনা এসেছে। এতে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপত্তা দেয়া না যায়, ততদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং এ জন্য ভালোভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়মও বেঁধে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বলা হয়েছে, মাস্ক পরা বা খোলার সময় অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। কথা বলার সময় বা অন্য কোনো কারণে মাস্ক কখনও চিবুকের কাছে নামিয়ে রাখা যাবে না। পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাস্কটি পলিব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ৫ বছরের নিচের শিশুদের মাস্ক পরানোর দরকার হবে না। যেসব জায়গায় ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করছে, সেসব জায়গায় থাকাবস্থায় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং মাস্ক পরার পরও অন্যের থেকে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
মাস্ক ব্যবহারের নিয়মাবলি সম্পর্কিত যেসব নির্দেশনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে, তার সবকটিই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত সবার। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণ ও মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার স্বাস্থ্য বিধিগুলোর অন্যতম হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার।
লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনীহা অথবা উদাসীনতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণে অনেককে জরিমানা করা হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। এ অবস্থা উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, নাগরিক সমাজের প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ বিধিবিধান মেনেই।
বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে বলা চলে পূর্ণোদ্যমে। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব সেভাবে মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জনসাধারণ যদি মাস্ক ব্যবহার থেকে দূরে থাকে, তাহলে বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। করোনাভাইরাসের ব্যাপারে যাদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব কাজ করছে, তাদের প্রতি আমাদের আবেদন থাকবে-তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রশ্নে সচেতন হন। প্রত্যেকের সচেতনতা ছাড়া করোনা সংকট থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই।
