Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

মেয়াদোত্তীর্ণ ৬১ জেলা পরিষদ: যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করুন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মেয়াদোত্তীর্ণ ৬১ জেলা পরিষদ: যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করুন

জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে এর দায়িত্ব প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে ন্যস্ত করার বিষয়টি হতাশাজনক। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ‘জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ধারা ৫ অনুযায়ী [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০২২ অনুযায়ী সংশোধিত] দেশের ৬১ জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ হতে ৫ (পাঁচ) বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদসমূহ বিলুপ্ত হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ‘জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ধারা ৮২ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত উক্ত আইনের ধারা ৭৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব অর্পণ করা হলো।’ অর্থাৎ প্রশাসক নিয়োগের আগপর্যন্ত এক্ষেত্রে কার্যক্রম চালাবেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশের ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচিতরা ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন এবং ওই বছরের জানুয়ারিতেই জেলা পরিষদগুলোর প্রথম বৈঠক হয়েছিল। এ হিসাবে পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদ গত জানুয়ারিতে শেষ হয়েছে।

জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। যথাসময়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। অথচ এ ব্যাপারে সরকার তো নয়ই, নির্বাচন কমিশনের মধ্যেও কোনো বিকার পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিষয়টি দুঃখজনক। জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া সংশোধিত আইন অনুযায়ী দেশের জেলা পরিষদগুলোয় প্রশাসক নিয়োগে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই-এ কথা সত্য; তবে আইনই শেষ কথা নয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হওয়াটাই সমীচীন।

ইতঃপূর্বে বিভাজিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, জনপ্রতিনিধিদের কাজ আমলার হাতে ন্যস্ত হওয়ায় নগরবাসীর ভোগান্তির মাত্রা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। একটা সার্টিফিকের জন্য দিনের পর দিন মানুষকে আমলাদের কাছে ধরনা দিতে হয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছিল যে, নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে সেসময় কেউ সিটি করপোরেশনের ধারেকাছে যাওয়ার চিন্তাও করত না। বস্তুত জনপ্রতিনিধিশূন্য হওয়ার পর নগরীর ওয়ার্ডগুলোয় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ দিনদিন যেন বেড়েই চলেছিল। জেলা পরিষদগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মোটেই কাম্য নয়। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা উচিত।

 

জেলা পরিষদ নির্বাচন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম