কেমন যুগান্তর চাই
যুগান্তর হোক ভিন্নধর্মী পত্রিকা
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এমন যুগান্তর চাই, যা সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সৃষ্টি করবে। যুগের প্রয়োজনে যার আবির্ভাব। এমন যুগান্তর চাই, যা হবে ‘প্রেসের ভূতের’ ভুল ছাড়া সবদিক দিয়ে সর্র্বাঙ্গীণ সুন্দর। ২৩ ডিসেম্বর যুগান্তরের সাহিত্য পাতায় ‘সাহিত্যের আধুনিকতম ধারা’ অনুগল্পের কয়েকটি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ রকম ব্যতিক্রমী আয়োজন চাই। কিন্তু একই দিনের অন্য পাতায় ‘বাংলা কবিতায় নব্বই দশক প্রেক্ষিত যশোর’ শিরোনামের লেখায় বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত সাহিত্যিক মনোজ বসুকে বলা হয়েছে মনোজ ভট্টাচার্য। একই অনুচ্ছেদে প্রত্যেক সাহিত্যিকের নামের পাশে প্রথম বন্ধনী দিয়ে জন্ম ও মৃত্যুতারিখ লেখা থাকলেও তার ক্ষেত্রে এটি নেই।
(১৯০১-১৯৮৭)-এরকম একটি বন্ধনী থাকলে লেখাটির তথ্যগত ও নান্দনিক শুদ্ধতা বাড়ত। ‘বছরজুড়ে ইসলাম ছিল আলোচনায়’-এরকম প্রশংসনীয় লেখা বেশি করে ছাপা হওয়া দরকার। ‘ফারদিনের মৃত্যু এবং মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার স্বল্পতা’-এরকম বিশ্লেষণধর্মী মনোবৈজ্ঞানিক লেখা বেশি করে ছাপা দরকার।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান নিয়ে বেশি করে লেখা ছাপা হলে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হতো। ‘প্রকৃতি পাঠ’, ‘প্রশ্নোত্তরে ডাক্তার সেবা’, ‘স্মরণীয় বরণীয়’-এ ধরনের লেখার ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে।
লাইফ স্টাইল লেখার অংশ হিসাবে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একদিন ‘সপ্তাহের রাশিফল’ চালু করা যেতে পারে। ‘ভিন গ্রহবাসী’ভিত্তিক লেখা বেশি করে ছাপালে কিশোর মনের খোরাক মিটবে। এভাবেই যুগান্তর হয়ে উঠবে ‘A paper with a difference’.
প্রদীপ্ত প্রমিথিউস শব্দকর : গবেষক ও সংবাদকর্মী
