Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

এসএমই খাত

এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এসএমই খাত

বিপুল সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে (এসএমই) কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয়বৃদ্ধি এবং গরিবি কমাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে এ খাত। এসএমই হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ বা ব্যবসা। শ্রমঘন হওয়ায় বেকার সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের জন্য এ খাতটি হতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার। বর্তমানে দেশে স্নাতক ডিগ্রিধারী ১০০ জনের মধ্যে ৪৭ জনই বেকার। আবার এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের লাভের ৩০ শতাংশই বিনিয়োগ করেন। এ কারণে বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সংস্থাগুলো এসএমইকে গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে পাকিস্তানে এই হার ৪০ শতাংশ, শ্রীলংকায় ৫২, চীনে ৬০, ভারতে ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে এই হার প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম।

কেন এ অবস্থা? বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের মতে, এসএমই খাতের বিকাশে পাঁচ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এগুলো হলো-অর্থায়নের অভাব, সীমিত আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অবকাঠামোগত সমস্যা, বাজারে অধিক প্রতিযোগিতা এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতার ঘাটতি। এছাড়া স্থান ও কালভেদে নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজির মতো সমস্যাও রয়েছে। অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টরা এ খাতের উন্নয়নে বেশকিছু সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান ও সরকারের ভর্তুকি বাড়ানো; দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা; ই-কমার্স ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে এসএমইকে সংযুক্ত করা, কর কাঠামো ও লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে সহায়তায় প্রদর্শনীর আয়োজন করা।

এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেছেন, এ খাতের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ইতোমধ্যে ১৪০টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এসএমইবান্ধব ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন, গবেষণা ও পলিসি অ্যাডভোকেসি, ক্লাস্টার উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, আইসিটি সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়ন, সহজ শর্তে অর্থায়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ফাউন্ডেশন। তবে এসব প্রস্তাব কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে গতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এ খাতকে অবহেলা করার আর কোনো অবকাশ নেই। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এসএমই যাতে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে পারে, সেজন্য সম্ভব সবকিছু করতে হবে। আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সব বাধা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি আমরা।

এসএমই

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম