Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

হঠাৎ বাড়ল কেন?

নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হঠাৎ বাড়ল কেন?

দ্রব্যমূল্য আবারও নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত ভোক্তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি খুচরা বাজারে চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। ডিম ও সবজির দামও বাড়ানো হয়েছে। বাদ যায়নি মসলার দামও। কেন বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে। ছুটির দিন শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজারসহ সর্বত্রই ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে যুগান্তরের প্রতিনিধি কথা বলে এ চিত্র পেয়েছেন।

গত ১ মাস থেকেই অবশ্য চালের দাম বেড়ে চলেছে। এক মাস আগে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল যেখানে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়, সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৭ টাকায়। মাঝারি মানের মিনিকেট বিক্রি হতো প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়, এখনকার মূল্য ৮০ টাকা। মিনিকেট ছাড়াও অন্যান্য জাতের চালের দামও বেড়েছে। শুধু কী চাল, ডাল-সয়াবিন তেল-রসুন-দারুচিনি-ব্রয়লার মুরগি ইত্যাদির দামও বেড়েছে। ওদিকে প্রায় প্রতিটি সবজির দামও চড়া। চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, পেঁপে, পটোল, কাঁকরোল, টমেটো, গাজর, আলু, শশা কোনোটাই বাদ পড়েনি।

আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করে আসছি, বিভিন্ন সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা নানারকম অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ায়। তাদের অজুহাতের শেষ নেই। এবারের অজুহাত বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির সঙ্গে নিত্যপণ্যের মূল্যের কী সম্পর্ক, তা বোধগম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। দেশের অসাধু অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার ক্ষেত্রেও বেশ পারদর্শী। এদের আসল উদ্দেশ্য ক্রেতা ঠকিয়ে বেশি মুনাফা করা। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের ন্যূনতম সহানুভূতি নেই।

অসাধু ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির এ প্রবণতা রুখতে হলে সরকার, বিশেষত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। ভোক্তা অধিকারসংশ্লিষ্ট সংগঠন ও সংস্থাগুলোকেও নিতে হবে কড়া অবস্থান। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এ লক্ষ্য শুধুই গণতন্ত্র ছিল না। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক না থাকলে মানুষের জীবনও স্বাভাবিক থাকবে না। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। তা না হলে আমাদের সব অর্জনই পড়বে প্রশ্নের মুখে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম