২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আজ রোববার সারা দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ২৯৯টি আসনে একযোগে এ ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এবারের নির্বাচনের বিশেষত্ব হচ্ছে এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিয়েছে।
নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামের অন্তত ২২ নেতা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা হলেও এবার অন্তত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যে হচ্ছে সেটা বলা যায়।
তবে নির্বাচনটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে সুশীল সমাজে, পথে-ঘাটে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ভোটারদের শঙ্কা- ভোট দিতে পারব তো, আর ভোট দিলেও তা কাজে লাগবে তো।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে সাধারণের এ ধারণা মোটেই ইতিবাচক নয়। তা ছাড়া পুরোটা সময়জুড়েই প্রচারাভিযানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শাসক দল ও পুলিশের কাছ থেকে নানাভাবে বাধার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন।
এবার সারা দেশে ১৮৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সামগ্রিক বিচারে নারী প্রার্থীর সংখ্যা আশাব্যঞ্জক না হলেও এবার সেই সংখ্যা ৬৮। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থীর সংখ্যা ২০ জন।
বিএনপিতে এ সংখ্যা ১৪। বাকিরা স্বতন্ত্র ও অন্য দলের। তবে আইনি বাধায় এবার ভোটে অংশ নিতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ সংশোধন করে করা ২০০৮ সালের বিধানের সঙ্গে নারী প্রার্থীদের এ সংখ্যা মোটেই সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ওই বিধানে ২০২০ সালের মধ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে। কাজেই এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়া নারী প্রার্থীদের সংখ্যার দিকে তাকালে হতাশই হতে হয়। এবারের নির্বাচনে হতাশার আরেকটি দিক হচ্ছে- ভোটের তিন দিন আগেও আদালতের রায়ে মাঠ থেকে প্রার্থীদের বিদায় নিতে হয়েছে।
এভাবে অন্তত ২৩ প্রার্থীকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনই বিএনপির প্রার্থী। অর্থাৎ এই ২১ আসনে আর যাই হোক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মোট ৭৯ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৮, বিএনপি ৬ এবং সিপিবি ১৭ জনকে প্রার্থী করেছে। এবারের নির্বাচনে সব দলই পুরনো নেতাদের ওপর আস্থা রেখেছেন বেশি। তবে নতুনদের সংখ্যাও কম নয়। তবে তুলনামূলক নতুনদের ওপর বিএনপির আস্থা ছিল বেশি। আওয়ামী লীগ ৪৯ জন নতুন প্রার্থীর হাতে নৌকা তুলে দিলেও বিএনপি ধানের শীষ তুলে দিয়েছেন ৮৮ জন নতুন প্রার্থীর হাতে। গত নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।
এবার মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। নির্বাচন কমিশনের উচিত ভোটাররা যাতে অবাধে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা। দলীয় সরকারের অধীনে যে একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব তা দেখার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সেই দৃষ্টান্ত স্থাপনের এটি একটি বড় সুযোগ। আসনভিত্তিক দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নামের তালিকা যুগান্তর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
আজ রোববার সারা দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ২৯৯ আসনে একযোগে এ নির্বাচন হচ্ছে।
বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে। আসনপ্রতি সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে এমন দুইজনের নাম দেয়া হল-
আসন নং
পঞ্চগড়-১ মাজহারুল হক প্রধান-নৌকা ব্যারিস্টার নওশাদ জমির-ধানের শীষ
পঞ্চগড়-২ অ্যাড. নূরুল ইসলাম সুজন-নৌকা ফরহাদ হোসেন আজাদ-ধানের শীষ
ঠাকুরগাঁও-১ রমেশচন্দ্র সেন-নৌকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-ধানের শীষ
ঠাকুরগাঁও-২ দবিরুল ইসলাম-নৌকা আবদুল হাকিম- ধানের শীষ, (জামায়াত)
ঠাকুরগাঁও-৩ ইয়াসিন আলী-নৌকা জাহিদুর রহমান-ধানের শীষ
দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল-নৌকা আবু হানিফ-ধানের শীষ
দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী-নৌকা সাদিক রিয়াজ চৌধুরী-ধানের শীষ
দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম-নৌকা বদিউজ্জামান-কাস্তে-সিপিবি
দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী-নৌকা মো. আখতারুজ্জামান মিয়া-ধানের শীষ
দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার-নৌকা এজেডএম রেজওয়ানুল হক-ধানের শীষ
দিনাজপুর-৬ শিবলী সাদিক-নৌকা আনোয়ারুল ইসলাম-ধানের শীষ, (জামায়াত)
নীলফামারী-১ মো. আফতাব উদ্দিন সরকার-নৌকা রফিকুল ইসলাম-ধানের শীষ
নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর-নৌকা মনিরুজ্জামান মন্টু-ধান (জামায়াত)
নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল-লাঙ্গল আজিজুল ইসলাম-ধানের শীষ (জামায়াত)
নীলফামারী-৪ আদেলুর রহমান- লাঙ্গল আমজাদ হোসেন-ধানের শীষ
লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন সরকার -নৌকা মো. হাসান রাজিব প্রধান-ধানের শীষ
লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ-নৌকা মো. রোকন উদ্দিন বাবুল-ধানের শীষ
লালমনিরহাট-৩ জিএম কাদের-লাঙ্গল আসাদুল হাবিব দুলু-ধানের শীষ
রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা-লাঙ্গল শাহ রহমতউল্লাহ-ধানের শীষ
রংপুর-২ আবুল কালাম আহসানুল হক-নৌকা মোহাম্মদ আলী সরকার-ধানের শীষ
রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-লাঙ্গল রিটা রহমান-ধানের শীষ
রংপুর-৪ টিপু মুনশি-নৌকা ইমদাদুল হক ভরসা-ধানের শীষ
রংপুর-৫ এইচএন আশিকুর রহমান-নৌকা গোলাম রাব্বানী- ধানের শীষ (জামায়াত)
রংপুর-৬ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী- নৌকা সাইফুল ইসলাম-ধানের শীষ
গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারি-লাঙ্গল মাজেদুর রহমান-ধানের শীষ,
গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা বেগম গিনি-নৌকা আবদুর রশীদ সরকার-ধানের শীষ
গাইবান্ধা-৩ নির্বাচন স্থগিত
গাইবান্ধা-৪ মনোয়ার হোসেন-নৌকা কাজী মশিউর রহমান-লাঙ্গল
গাইবান্ধা-৫ ফজলে রাব্বী মিয়া-নৌকা ফারুক আলম সরকার-ধানের শীষ
কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান-লাঙ্গল সাইফুর রহমান রানা-ধানের শীষ
কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ-লাঙ্গল আ স মা আমিন-ধানের শীষ
কুড়িগ্রাম-৩ এম এ মতিন-নৌকা তাজভীর উল ইসলাম-ধানের শীষ
কুড়িগ্রাম-৪ জাকির হোসেন- নৌকা আজিজুর রহমান-ধানের শীষ
জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু-নৌকা আসম মোক্তাদির চৌধুরী-লাঙ্গল
জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-নৌকা আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান-ধানের শীষ
বগুড়া-১ আবদুল মান্নান-নৌকা কাজী রফিকুল ইসলাম-ধানের শীষ
বগুড়া-২ শরীফুল ইসলাম-লাঙ্গল মাহমুদুর রহমান মান্না-ধানের শীষ (নাগরিক ঐক্য)
বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার (লাঙ্গল) মাছুদা মোমিন-ধানের শীষ
বগুড়া-৪ রেজাউল করিম তানসেন-নৌকা মোশাররফ হোসেন-ধানের শীষ
বগুড়া-৫ হাবিবুর রহমান-নৌকা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ-ধানের শীষ
বগুড়া-৬ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-ধানের শীষ নুরুল ইসলাম ওমর-লাঙ্গল
বগুড়া-৭ আলতাফ আলী-লাঙ্গল ফেরদৌস আরা খান-ডাব (স্বতন্ত্র)
নওগাঁ-১ সাধনচন্দ্র মজুমদার-নৌকা মো. মোস্তাফিজুর রহমান-ধানের শীষ
নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার-নৌকা মো. শামসুজ্জোহা খান-ধানের শীষ
নওগাঁ-৩ ছলিম উদ্দিন তরফদার-নৌকা পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী-ধান
নওগাঁ-৪ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক-নৌকা শামসুল আলম প্রামাণিক-ধানের শীষ
নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল-নৌকা জাহিদুল ইসলাম ধলু-ধানের শীষ
নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম-নৌকা আলমগীর কবির-ধানের শীষ
রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী-নৌকা ব্যারিস্টার আমিনুল হক-ধানের শীষ
রাজশাহী-২ ফজলে হোসেন বাদশা-নৌকা (ওয়ার্কার্স পার্টি) মিজানুর রহমান মিনু-ধানের শীষ
রাজশাহী-৩ আয়েন উদ্দিন-নৌকা শফিকুল হক মিলন-ধানের শীষ
রাজশাহী-৪ প্রকৌশলী এনামুল হক-নৌকা মো. আবু হেনা- ধানের শীষ
রাজশাহী-৫ ডা. মুনসুর রহমান-নৌকা অধ্যাপক নজরুল ইসলাম-ধানের শীষ
রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম-নৌকা ইকবাল হোসেন-লাঙ্গল
নাটোর-১ শহিদুল ইসলাম বকুল-নৌকা কামরুন নাহার-ধানের শীষ
নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল-নৌকা সাবিনা ইয়াসমিন-ধানের শীষ
নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক-নৌকা দাউদার মাহমুদ-ধানের শীষ
নাটোর-৪ মো. আবদুল কুদ্দুস-নৌকা আলাউদ্দিন মৃধা-লাঙ্গল
সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম-নৌকা রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা- ধানের শীষ
সিরাজগঞ্জ-২ ডা. হাবিবে মিল্লাত-নৌকা রুমানা মাহমদু- ধানের শীষ
সিরাজগঞ্জ-৩ ডা. আবদুল আজিজ-নৌকা আবদুল মান্নান তালুকদার- ধানের শীষ
সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম-নৌকা রফিকুল ইসলাম খান- ধানের শীষ (জামায়াত)
সিরাজগঞ্জ-৫ আবদুল মমিন মণ্ডল-নৌকা মো. আমিরুল ইসলাম খান আলিম-ধানের শীষ
সিরাজগঞ্জ-৬ হাসিবুর রহমান স্বপন-নৌকা এমএ মুহিত- ধানের শীষ
পাবনা-১ শামসুল হক টুকু-নৌকা আবু সাইয়িদ- ধানের শীষ (গণফোরাম)
পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবির-নৌকা একেএম সেলিম রেজা হাবিব- ধানের শীষ
পাবনা-৩ মকবুল হোসেন-নৌকা কেএম আনোয়ারুল ইসলাম-ধানের শীষ
পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরীফ-নৌকা হাবিবুর রহমান হাবিব-ধানের শীষ
পাবনা-৫ গোলাম ফারুক প্রিন্স-নৌকা ইকবাল হোসাইন-ধানের শীষ (জামায়াত)
মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন -নৌকা মাসুদ অরুন-ধানের শীষ
মেহেরপুর-২ সহিদুজ্জামান খোকন-নৌকা জাবেদ মাসুদ-ধানের শীষ
কুষ্টিয়া-১ আ ক ম সারোয়ার জাহান-নৌকা রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা-ধানের শীষ
কুষ্টিয়া-২ হাসানুল হক ইনু-নৌকা (জাসদ) আহসান হাবীব লিঙ্কন-ধানের শীষ-জাপা, জাফর
কুষ্টিয়া-৩ মাহবুবউল আলম হানিফ-নৌকা জাকির হোসেন সরকার-ধানের শীষ
কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আফতাব জর্জ-নৌকা মেহেদী আহম্মেদ রুমী-ধানের শীষ
চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন-নৌকা মো. শরীফুজ্জামান শরীফ-ধানের শীষ
চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার টগর-নৌকা মাহমুদ হাসান খান-ধানের শীষ
ঝিনাইদহ-১ আবদুল হাই-নৌকা আসাদুজ্জামান-ধানের শীষ
ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী-নৌকা আবু তালেব-গোলাপ ফুল (জাকের পার্টি)
ঝিনাইদহ-৩ মো. সফিকুল আজম খান-নৌকা মতিয়ার হমান- ধান (জামায়াত)
ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজীম-নৌকা মো. সাইফুল সলাম ফিরোজ-ধানের শীষ
যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন-নৌকা মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি-ধানের শীষ
যশোর-২ মো. জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন-নৌকা আবু সাঈদ-ধানের শীষ (জামায়াত)
যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ-নৌকা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত-ধানের শীষ
যশোর-৪ রণজিৎ কুমার রায়-নৌকা টিএইচ আইয়ুব-ধানের শীষ
যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য-নৌকা মোহাম্মদ ওয়াক্কাস-ধানের শীষ (জামায়াত)
যশোর-৬ ইসমাত আরা সাদেক-নৌকা মো. আবুল হোসেন আযাদ-ধানের শীষ
মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর-নৌকা মো. মনোয়ার হোসেন খান- ধানের শীষ
মাগুরা-২ বীরেন শিকদার-নৌকা নিতাই রায় চৌধুরী-ধানের শীষ
নড়াইল-১ বিএম কবিরুল হক মুক্তি-নৌকা বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম-ধানের শীষ
নড়াইল-২ মাশরাফি বিন মুর্তজা-নৌকা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ-ধানের শীষ (এনপিপি)
বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন-নৌকা মো. শেখ মাসুদ রানা-ধানের শীষ
বাগেরহাট-২ শেখ সারহান নাসের তন্ময়-নৌকা এমএ সালাম-ধানের শীষ
বাগেরহাট-৩ বেগম হাবিবুন নাহার-নৌকা আঃ ওয়াদুদ শেখ-ধানের শীষ (জামায়াত)
বাগেরহাট-৪ মোজাম্মেল হোসেন-নৌকা আবদুল আলীম-ধানের শীষ (জামায়াত)
খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস-নৌকা আমীর এজাজ খান-ধানের শীষ
খুলনা-২ শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল-নৌকা নজরুল ইসলাম মঞ্জু-ধানের শীষ
খুলনা-৩ মুন্নুজান সুফিয়ান-নৌকা রকিবুল ইসলাম বকুল-ধানের শীষ
খুলনা-৪ সালাম মুর্শেদী-নৌকা আজিজুল বারী হেলাল-ধানের শীষ
খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ-নৌকা মিয়া গোলাম পারোয়ার-ধানের শীষ (জামায়াত)
খুলনা-৬ আকতারুজ্জামান বাবু-নৌকা আবুল কালাম আজাদ-ধানের শীষ (জামায়াত)
সাতক্ষীরা-১ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-নৌকা হাবিবুল ইসলাম হাবিব-ধানের শীষ
সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি-নৌকা আবদুল খালেক-ধানের শীষ (জামায়াত)
সাতক্ষীরা-৩ ডা. আফম রুহুল হক-নৌকা শহিদুল আলম-ধানের শীষ
সাতক্ষীরা-৪ এসএম জগলুল হায়দার-নৌকা গাজী নজরুল ইসলাম-ধানের শীষ (জামায়াত)
বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু-নৌকা মতিয়ার রহমান তালুকদার-ধানের শীষ
বরগুনা-২ শওকত হাচানুর রহমান রিমন-নৌকা খন্দকার মাহবুব হোসেন-ধানের শীষ
পটুয়াখালী-১ মো. শাহজাহান মিয়া-নৌকা আলতাফ হোসেন চৌধুরী-ধানের শীষ
পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ-নৌকা সালমা আলম-ধানের শীষ
পটুয়াখালী-৩ এসএম শাহজাদা-নৌকা গোলাম মওলা রনি-ধানের শীষ
পটুয়াখালী-৪ মহিব্বুর রহমান মহিব-নৌকা এবিএম মোশাররফ হোসেন-ধানের শীষ
ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ-নৌকা গোলাম নবী আলমগীর-ধানের শীষ
ভোলা-২ আলী আজম-নৌকা হাফিজ ইবরাহিম-ধানের শীষ
ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন-নৌকা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন-ধানের শীষ
ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব-নৌকা নাজিউদ্দিন আলম-ধানের শীষ
বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-নৌকা জহিরউদ্দিন স্বপন-ধানের শীষ
বরিশাল-২ শাহে আলম-নৌকা সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু-ধানের শীষ
বরিশাল-৩ টিপু সুলতান- নৌকা (ওয়ার্কার্স পার্টি) জয়নুল আবেদীন-ধানের শীষ
বরিশাল-৪ পংকজ দেবনাথ-নৌকা নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর-ধানের শীষ,
বরিশাল-৫ কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম-নৌকা মজিবুর রহমান সরোয়ার-ধানের শীষ
বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না-লাঙ্গল আবুল হোসেন খান-ধানের শীষ
ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন-নৌকা মো. শাহজাহান ওমর-ধানের শীষ
ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু-নৌকা জীবা আমিন খান-ধানের শীষ
পিরোজপুর-১ শ ম রেজাউল করিম-নৌকা শামীম সাঈদী-ধানের শীষ (জামায়াত)
পিরোজপুর-২ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু-বাইসাইকেল (জেপি) মোস্তাফিজুর রহমান-ধানের শীষ-লেবার পার্টি
পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী-লাঙ্গল মো. রুহুল আমিন দুলাল-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-১ ড. আবদুর রাজ্জাক-নৌকা শহিদুল ইসলাম-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান ছোট মনির-নৌকা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-৩ আতাউর রহমান খান-নৌকা লুৎফর রহমান খান-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-৪ সোহেল হাজারী-নৌকা লিয়াকত আলী-ধানের শীষ, কৃ.শ্র.জ লীগ
টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন-নৌকা মাহমুদুল হাসান-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম-নৌকা গৌতম চক্রবর্তী-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-৭ একাব্বর হোসেন-নৌকা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী-ধানের শীষ
টাঙ্গাইল-৮ জোয়াহেরুল ইসলাম-নৌকা কুঁড়ি সিদ্দিকী-ধানের শীষ, কৃ.শ্র.জ.লীগ
জামালপুর-১ আবুল কালাম আজাদ-নৌকা এমএ সাত্তার-লাঙ্গল
জামালপুর-২ মো. ফরিদুল হক খান-নৌকা সুলতান মাহমুদ বাবু-ধানের শীষ
জামালপুর-৩ মির্জা আজম-নৌকা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল-ধানের শীষ
জামালপুর-৪ ডা. মোহাম্মদ মুরাদ হাসান-নৌকা আলী আকবর-হাতপাখ-ই আন্দোলন বাংলাদেশ
জামালপুর-৫ ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন-নৌকা মো. ওয়ারেছ আলী মামুন-ধানের শীষ
শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক-নৌকা সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা-ধানের শীষ
শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী-নৌকা ফাহিম চৌধুরী-ধানের শীষ
শেরপুর-৩ একেএম ফজলুল হক চান-নৌকা মো. মাহমুদুল হক রুবেল-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং-নৌকা আফজাল এইচ খান-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ-নৌকা শাহ শহিদ সরোয়ার-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৩ নাজিম উদ্দিন আহমেদ-নৌকা এম ইকবাল হোসেন-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ-লাঙ্গল আবু ওহাব আকন্দ-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৫ কে এম খালিদ বাবু-নৌকা মো. জাকির হোসেন-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৬ অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন-নৌকা শামস সুদ্দিন আহমেদ-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৭ রুহুল আমিন মাদানী-নৌকা মাহবুবুর রহমান-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম-লাঙ্গল এএইচএম খালিকুজ্জামান-ধানের শীষ, (গণফোরাম)
ময়মনসিংহ-৯ আনোয়ারুল আবেদীন খান-নৌকা খুররম খান চৌধুরী-ধানের শীষ
ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল-নৌকা সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ-ধানের শীষ, এলডিপি
ময়মনসিংহ-১১ কাজিম উদ্দিন আহমেদ-নৌকা ফখর উদ্দিন আহমেদ-ধানের শীষ
নেত্রকোনা-১ মানু মজুমদার-নৌকা কায়সার কামাল-ধানের শীষ
নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান খসরু-নৌকা মো. আনোয়ারুল হক-ধানের শীষ
নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল-নৌকা রফিকুল ইসলাম হেলালী-ধানের শীষ
নেত্রকোনা-৪ রেবেকা মোমিন-নৌকা তাহমিনা জামান-ধানের শীষ
নেত্রকোনা-৫ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল-নৌকা আবু তাহের তালুকদার-ধানের শীষ
কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-নৌকা রেজাউল করিম খান-ধানের শীষ
কিশোরগঞ্জ-২ নূর মোহাম্মদ-নৌকা আখতারুজ্জামান-ধানের শীষ
কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু-লাঙ্গল সাইফুল ইসলাম-ধানের শীষ, (জেএসডি)
কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক-নৌকা মো. ফজলুর রহমান-ধানের শীষ
কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেন-নৌকা মুজিবুর রহমান ইকবাল-ধানের শীষ
কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন-নৌকা শরিফুল ইসলাম-ধানের শীষ
মানিকগঞ্জ-১ এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়-নৌকা এসএ জিন্নাহ কবির-ধানের শীষ
মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম-নৌকা আবদুল হামিদ-ধীনের শীষ
মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন-নৌকা মফিজুল ইসলাম খান-উদীয়মান সূর্য, (গণফোরাম)
মুন্সীগঞ্জ-১ মাহি বি চৌধুরী-নৌকা, (বিকল্প ধারা) শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন-ধানের শীষ
মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি-নৌকা মিজানুর রহমান সিনহা-ধানের শীষ
মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণাল কান্তি দাস-নৌকা আবদুুল হাই-ধানের শীষ
ঢাকা-১ সালমা ইসলাম-মটরগাড়ি (স্বতন্ত্র) সালমান এফ রহমান-নৌকা
ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম-নৌকা ইরফান ইবনে আমান-ধানের শীষ
ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু-নৌকা গয়েশ্বরচন্দ্র রায়-ধানের শীষ
ঢাকা-৪ আবুল হোসেন-লাঙ্গল সালাহউদ্দিন আহমেদ-ধানের শীষ
ঢাকা-৫ হাবিবুর রহমান মোল্লা-নৌকা নবী উল্লাহ নবী-ধানের শীষ
ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ-লাঙ্গল সুব্রত চৌধুরী-ধানের শীষ, (গণফোরাম)
ঢাকা-৭ হাজী সেলিম-নৌকা মোস্তফা মহসিন মন্টু-ধানের শীষ, (গণফোরাম)
ঢাকা-৮ রাশেদ খান মেনন-নৌকা মির্জা আব্বাস-ধানের শীষ
ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী-নৌকা আফরোজা আব্বাস-ধানের শীষ
ঢাকা-১০ ফজলে নূর তাপস-নৌকা আবদুল মান্নান-ধানের শীষ
ঢাকা-১১ একেএম রহমতুল্লাহ-নৌকা শামীম আরা বেগম-ধানের শীষ
ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল-নৌকা সাইফুল আলম নীরব-ধানের শীষ
ঢাকা-১৩ সাদেক খান-নৌকা আবদুস সালাম-ধানের শীষ
ঢাকা-১৪ আসলামুল হক আসলাম-নৌকা এসএ সিদ্দিক সাজু-ধানের শীষ
ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার-নৌকা ডা. শফিকুর রহমান-ধানের শীষ (জামায়াত)
ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা-নৌকা আহসান উল্লাহ হাসান-ধানের শীষ
ঢাকা-১৭ চিত্রনায়ক ফারুক-নৌকা আন্দালিব রহমান পার্থ-ধানের শীষ, (বিজেপি)
ঢাকা-১৮ সাহারা খাতুন-নৌকা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ-ধানের শীষ, (জেএসডি)
ঢাকা-১৯ ডা. এনামুর রহমান-নৌকা ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন-ধানের শীষ
ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ-নৌকা এমএ মান্নান-জেএসডি
গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক-নৌকা চৌধুরী তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকী-ধানের শীষ
গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল-নৌকা মো. সালাউদ্দিন সরকার-ধানের শীষ
গাজীপুর-৩ ইকবাল হাসান সবুজ-নৌকা ইকবাল সিদ্দিকী-ধানের শীষ, কৃ. শ্র. জ. লীগ
গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি-নৌকা শাহ রিয়াজুল হান্নান-ধানের শীষ
গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি-নৌকা ফজলুল হক মিলন-ধানের শীষ
নরসিংদী-১ মো. নজরুল ইসলাম হিরু-নৌকা খায়রুল কবীর খোকন-ধানের শীষ
নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান-নৌকা ড. আবদুল মঈন খান-ধানের শীষ
নরসিংদী-৩ জহিরুল হক ভূঁইয়া-নৌকা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা-সিংহ (আ.লীগের বিদ্রোহী)
নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ-নৌকা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল-ধানের শীষ
নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু-নৌকা আশরাফ উদ্দিন বকুল-ধানের শীষ
নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী-নৌকা কাজী মনির-ধানের শীষ
নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু-নৌকা নজরুল ইসলাম আজাদ-ধানের শীষ
নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা-লাঙ্গল কায়সার হাসনাত-সিংহ (স্বতন্ত্র)
নারায়ণগঞ্জ-৪ একেএম শামীম ওসমান-নৌকা মনির হোসেন-ধানের শীষ, (জমিয়তে উলেমা)
নারায়ণগঞ্জ-৫ একেএম সেলিম ওসমান-লাঙ্গল এসএম আকরাম-ধানের শীষ-নাগরিক ঐক্য
রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী-নৌকা আলী নেওয়াজ খৈয়াম-ধানের শীষ
রাজবাড়ী-২ মো. জিল্লুল হাকিম-নৌকা নাসিরুল হক-ধানের শীষ
ফরিদপুর-১ মঞ্জুর হোসেন বুলবুল-নৌকা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর-ধানের শীষ
ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী-নৌকা শামা ওবায়েদ ইসলাম-ধানের শীষ
ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন-নৌকা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ-ধানের শীষ
ফরিদপুর-৪ কাজী জাফরউল্লাহ-নৌকা খন্দকার ইকবাল হোসেন-ধানের শীষ
গোপালগঞ্জ-১ ফারুক খান-নৌকা এফ ই সরফুজ্জামান-ধানের শীষ
গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম-নৌকা সিরাজুল ইসলাম-ধানের শীষ
গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা-নৌকা এসএম জিলানী-ধানের শীষ
মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন-নৌকা সাজ্জাদ হোসেন লাভলু-ধানের শীষ
মাদারীপুর-২ শাজাহান খান-নৌকা মিল্টন বৈদ্য-ধানের শীষ
মাদারীপুর-৩ আবদুস সোবহান গোলাপ-নৌকা আনিছুর রহমান খোকন-ধানের শীষ
শরীয়তপুর-১ ইকবাল হোসেন অপু-নৌকা নাছির উদ্দিন কালু-ধানের শীষ
শরীয়তপুর-২ একেএম এনামুল হক শামীম-নৌকা শফিকুর রহমান কিরন-ধানের শীষ
শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক-নৌকা মিয়া নুরুদ্দির আহমেদ অপু-ধানের শীষ
সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন-নৌকা নজির হোসেন-ধানের শীষ
সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্তা-নৌকা নাছির উদ্দিন চৌধুরী-ধানের শীষ
সুনামগঞ্জ-৩ এমএ মান্নান-নৌকা শাহীনুর পাশা-ধানের শীষ, জমিয়তে উলামায়ে
সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান-লাঙ্গল ফজলুল হক আসপিয়া-ধানের শীষ
সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক-নৌকা মিজানুর রহমান চৌধুরী-ধানের শীষ
সিলেট-১ ড. এমএ মোমেন-নৌকা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির-ধানের শীষ
সিলেট-২ এনামুল হক সরদার-সিংহ (আ’লীগ বিদ্রোহী) ড. মোকাব্বির খান-উদীয়মান সূর্য (গণফোরাম)
সিলেট-৩ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী-নৌকা শফি আহমেদ চৌধুরী-ধানের শীষ
সিলেট-৪ ইমরান আহমেদ-নৌকা দিলদার হোসেন সেলিম-ধানের শীষ
সিলেট-৫ হাফিজ আহমদ মজুমদার-নৌকা উবায়দুল্লাহ ফারুক-ধানের শীষ, জমিয়তে উলামায়ে
সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ-নৌকা ফয়ছল আহমদ চৌধুরী-ধানের শীষ
মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন-নৌকা নাসিরউদ্দির আহমেদ-ধানের শীষ
মৌলভীবাজার-২ এফএম শাহীন-নৌকা (বিকল্প ধারা) সুলতান মো. মনসুর-ধানের শীষ-গণফোরাম
মৌলভীবাজার-৩ নেছার আহমদ-নৌকা এম নাসের রহমান-ধানের শীষ
মৌলভীবাজার-৪ মো. আবদুস শহিদ-নৌকা মুজিবুর রহমান চৌধুরী-ধানের শীষ
হবিগঞ্জ-১ নেওয়াজ গাজী মিলাদ-নৌকা রেজা কিবরিয়া- ধানের শীষ (গণফোরাম)
হবিগঞ্জ-২ মো. আবদুল মজিদ খান-নৌকা আবদুল বাছিদ আজাদ-খেলাফত মজলিস
হবিগঞ্জ-৩ মো. আবু জাহির-নৌকা জি কে গউছ-ধানের শীষ
হবিগঞ্জ-৪ মো. মাহবুব আলী-নৌকা আবদুল কাদের-ধানের শীষ-জমিয়তে ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বিএম ফরহাদ হোসেন-নৌকা এ. কে একরামুজ্জামান-ধানের শীষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ অ্যাড. রেজাউল করিম ভূঁইয়া-লাঙ্গল উকিল আবদুস সাত্তার-ধানের শীষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী-নৌকা মো. খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল-ধানের শীষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক-নৌকা মো. জসীম, হাতপাখা, ই আন্দোলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এবাদুল করিম বুলবুল-নৌকা কাজী নাজমুল হোসেন-ধানের শীষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এবি তাজুল ইসলাম-নৌকা এম এ খালেক- ধানের শীষ
কুমিল্লা-১ মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া-নৌকা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন-ধানের শীষ
কুমিল্লা-২ সেলিমা আহমাদ মেরি-নৌকা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন-ধানের শীষ
কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন-নৌকা কাজী মুজিবুল হক- ধানের শীষ
কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল-নৌকা আবদুল মালেক রতন-ধানের শীষ (জেএসডি)
কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু-নৌকা মো. ইউনুস-ধানের শীষ
কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার-নৌকা আমিন-উর রশীদ ইয়াসিন-ধানের শীষ
কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক আলী আশরাফ-নৌকা ড. রেদোয়ান আহমেদ-এলডিপি
কুমিল্লা-৮ নাছিমুল আলম চৌধুরী-নৌকা জাকারিয়া তাহের সুমন-ধানের শীষ
কুমিল্লা-৯ মো. তাজুল ইসলাম-নৌকা এম আনোয়ারুল আজিম-ধানের শীষ
কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল-নৌকা মনিরুল হক চৌধুরী-ধানের শীষ
কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক-নৌকা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের-ধানের শীষ (জামায়াত)
চাঁদপুর-১ মহীউদ্দীন খান আলমগীর-নৌকা মো. মোশাররফ হোসেন-ধানের শীষ
চাঁদপুর-২ নুরুল আমিন রুহুল-নৌকা মো. জালালউদ্দিন- ধানের শীষ
চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি-নৌকা শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-ধানের শীষ
চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান-নৌকা হারুন অর রশিদ-ধানের শীষ
চাঁদপুর-৫ মেজর (অব.) রফিক-নৌকা মমিনুল হক- ধানের শীষ
ফেনী-১ শিরিন আখতার-নৌকা (জাসদ) রফিকুল ইসলাম- ধানের শীষ
ফেনী-২ নিজামউদ্দিন হাজারী-নৌকা জয়নাল আবদীন- ধানের শীষ
ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী-লাঙ্গল মো. আকবর হোসেন-ধানের শীষ
নোয়াখালী-১ এইচএম ইব্রাহিম-নৌকা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন- ধানের শীষ
নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম-নৌকা জয়নুল আবদীন ফারুক-ধানের শীষ
নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশিদ কিরণ-নৌকা মো. বরকতউল্লাহ বুলু-ধানের শীষ
নোয়াখালী-৪ একরামুল করিম চৌধুরী-নৌকা মোহাম্মদ শাহজাহান- ধানের শীষ
নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের-নৌকা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ-ধানের শীষ
নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদৌস-নৌকা মো. ফজলুল আজিম-ধানের শীষ
লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার খান-নৌকা শাহাদাত হোসেন সেলিম-ধানের শীষ (এলডিপি)
লক্ষ্মীপুর-২ মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম-আপেল (স্বতন্ত্র) আবুল খায়ের ভূঁইয়া-ধানের শীষ
লক্ষ্মীপুর-৩ একেএম শাহাজাহান কামাল-নৌকা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী- ধানের শীষ
লক্ষ্মীপুর-৪ এমএ মান্নান-নৌকা (বিকল্প ধারা) আ স ম আবদুর রব-ধানের শীষ (জেএসডি)
চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন-নৌকা নুরুল আমিন- ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-২ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী-নৌকা আজিম উল্লাহ বাহার-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান মিতা-নৌকা কামাল পাশা- ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল আলম-নৌকা ইসহাক চৌধুরী- ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ-লাঙ্গল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম-ধানের শীষ (কল্যাণ পার্টি
চট্টগ্রাম-৬ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী-নৌকা, জসিমউদ্দিন সিকদার-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-৭ ড. হাছান মাহমুদ-নৌকা নুরুল আলম-এলডিপি
চট্টগ্রাম-৮ মাঈনুদ্দিন খান বাদল-নৌকা (জাসদ- আম্বিয়া) আবু সুফিয়ান- ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-৯ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল-নৌকা শাহাদাত হোসেন-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-১০ আফসারুল আমিন-নৌকা আবদুল্লাহ আল নোমান-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-১১ এমএ লতিফ-নৌকা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী- ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-১২ সামশুল হক চৌধুরী-নৌকা মো. এনামুল হক-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী-নৌকা সরোয়ার জামাল নিজাম-ধানের শীষ
চট্টগ্রাম-১৪ নজরুল ইসলাম চৌধুরী-নৌকা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ-এলডিপি
চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন-নৌকা শামসুল ইসলাম-ধানের শীষ,
চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী-নৌকা জাফরুল ইসলাম চৌধুরী-ধানের শীষ
কক্সবাজার-১ জাফর আলম-নৌকা হাসিনা আহমেদ- ধানের শীষ
কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক-নৌকা হামিদুর রহমান আযাদ-ধানের শীষ,
কক্সবাজার-৩ সাইমুম সারোয়ার কমল-নৌকা লুৎফর রহমান- ধানের শীষ
কক্সবাজার-৪ শাহিনা আক্তার চৌধুরী-নৌকা শাহজাহান চৌধুরী-ধানের শীষ
খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা-নৌকা মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া- ধানের শীষ
বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং-নৌকা সাচিং প্র“ জেরি- ধানের শীষ
রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার-নৌকা মনি স্বপন দেওয়ান-ধানের শীষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ সালিম উদ্দিন আহমেদ-নৌকা মো. শাহজাহান মিয়া-ধানের শীষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ জিয়াউর রহমান-নৌকা মো. আমিনুল ইসলাম-ধানের শীষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আবুদল ওদুদ-নৌকা মো. হারুনুর রশিদ-ধানের শীষ
একনজরে ১০ সংসদ নির্বাচন
যুগান্তর রিপোর্ট
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের মানুষ প্রথম ভোট দেয়ার সুযোগ পায় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন। সর্বশেষ চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। প্রথম নির্বাচনে ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এবার প্রায় তিন গুণ ৩৯টি দল অংশ নিচ্ছে। এভাবে নির্বাচনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানগত উন্নয়ন ঘটেছে। পাঠকদের জন্য বিগত নির্বাচনগুলোর সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।
প্রসঙ্গত, শাসনতান্ত্রিক নেতা নির্বাচনে সংসদ নির্বাচন ছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও তিনটি নির্বাচন হয়েছে। সেগুলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৮ সালের ৩ জুন।
ওই নির্বাচনে প্রায় ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী জোটের প্রার্থী জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী।
১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর হয় দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেনকে পরাজিত করে সেই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তার নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর হয় তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সেই নির্বাচন বর্জন করে। ফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জেনারেল এইচএম এরশাদ কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর অবশ্য সংসদীয় গণতন্ত্রের যুগ শুরু হওয়ায় জাতীয়ভাবে সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রয়োজন পড়েনি।
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৭৩
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। স্বাধীনতা অর্জনের পনেরো মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে কারও মতে, ১৩টি আবার কারও মতে ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৭৫ জন। আওয়ামী লীগ সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। প্রতীক ছিল নৌকা। মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। ২৩৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল দলটি।
এছাড়া বড় দলের মধ্যে কুঁড়েঘর নিয়ে ন্যাপ-মোজাফ্ফর, ধানের শীষ নিয়ে ১৭০ আসনে ন্যাপ-ভাসানী নির্বাচনে অংশ নেয়। অন্য দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলা জাতীয় লীগ, বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি, লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় কংগ্রেস, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, জাতীয় গণতন্ত্রী দল, ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নেয়।
সেই নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল ২৮৮টি আসনে। পাবনার একটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুর রব মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছিল।
১১টি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯১টিতে জয়লাভ করে। অবশ্য উইকিপিয়া বলছে, ২৯৩টিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। অন্য দলের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ন্যাপ-মোজাফফর এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে আসনে জয়লাভ করে। বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন।
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন-১৯৭৯
বাংলাদেশে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে শতকরা ৫২ ভাগ পুরুষ ও ৪৮ ভাগ ছিলেন নারী।
৩০০ আসনে মোট প্রার্থী ছিল দুই হাজার ১২৫ জন। ২৯টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছিল প্রথম নির্বাচনের পর গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। ধানের শীষ প্রতীকে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল দলটি, জয় পেয়েছিল ২০৫টি আসনে। আওয়ামী লীগ (মালেক) নৌকা প্রতীকে ২৯৫টি আসনে লড়াই করে ৪০টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ (মীজান) মই প্রতীক নিয়ে ১৮৩টি আসনে নির্বাচন করে জিতেছিল দুটি। মুসলিম লীগ ও আইডিএল হারিকেন প্রতীকে ২৬৫টি আসনে ভোট করে জিতেছিল ১৯টি আসন। মশাল প্রতীকে ২৪০ আসনে লড়াই করেছিল সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জিতেছিল নয়টি।
বাংলাদেশ ন্যাপ (মোজাফফর) কুঁড়েঘর প্রতীকে ৮৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল দুটি। এছাড়া ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, পাঁচদলীয় বাংলাদেশ গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (নূর-জাহিদ), জাগো দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (নাসের), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, একতা পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জনতা পার্টি (কোরেশী), একতা পার্টি, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল (হুদা), শ্রমিক কৃষক সাম্যবাদী দল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক চাষী দল, ইউনাইটেড রিপাবলিকান পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, এনআরএনপিপি ও বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন-১৯৮৬
বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালের ৭ মে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। মোট ভোটার ছিলেন চার কোটি, ৭৮ লাখ।
এর মধ্যে দুই কোটি ২৬ লাখ ছিলেন নারী ভোটার। ৩০০ আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫২৭ জন। এই নির্বাচনে অংশ নেয়া ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতে নেয় ১৫৩টি।
আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে ২৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ৭৬টি। মুক্তিযুদ্ধের পর জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য কার্যক্রম ছিল না। কিন্তু তৃতীয় ওই নির্বাচনে দলটি ৭৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ১০টি। এ ছাড়া জাসদ (রব), জাসদ (সিরাজ), বাকশাল, ওয়ার্কার্স পার্টি, এনএপি (ঐক্য), সিপিবি, মুসলিম লীগ, খেলাফত আন্দোলন, জনদল, ইসলামী যুক্তফ্রন্ট, জনতা পার্টি (ওদুদ), ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক সংহতি, হিন্দু ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-১৯৮৮
বাংলাদেশের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। সংসদের মোট ৩০০ আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল ২৮১টিতে। ১৮টি আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
যশোর-৩ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহত হওয়ায় সেটির নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল চার কোটি ৬১ লাখ ৫৪৪ জন। মোট প্রার্থী ছিলেন ৯৫৫ জন। আটটি জোট ও রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। তবে জয়পুরহাট-২ আসনে মনোনয়ন বাতিল ও যশোর-৩ আসনে নির্বাচন বাতিল হওয়ায় শেষপর্যন্ত প্রার্থী ছিল ২৯৮ জন। সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ) ২৬৮টি, ফ্রিডম পার্টি ১১১টি, ২৩ দলীয় জোট ৩৩টি, জাসদ (সিরাজ) ২৪টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, জনদল ১২টি ও বাংলাদেশ গণতন্ত্র বাস্তবায়ন পার্টি একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ২১৩ জন।
আন্দোলনরত আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ তিন জোটের ২২টি দল, জামায়াতে ইসলামী, ছয় দলসহ বেশ কিছু সংখ্যক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরশাদের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছিল এ দলগুলো। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৫১ আসনে জয়লাভ করে। সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ) ১৮টি, ফ্রিডম পার্টি দুটি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২৫টি আসন।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯১
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও সবচেয়ে বেশি দলের অংশগ্রহণের নির্বাচন এটি। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করতে হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোকে।
দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামে স্বৈরতন্ত্রের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম সাধারণ নির্বাচন। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে নির্বাচন হয়েছিল। প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় দুটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ছয় কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫৬ জন। প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৭৭৪ জন। এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল।
তবে ৬৬টি রাজনৈতিক দলই জয়ের মুখ দেখেনি। ওই নির্বাচনে মূল লড়াইটা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। এতগুলো দলের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। নির্বাচনে বিএনপি ২৯৮টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে বিজয়ী হয় ১৩৮টি আসনে।
জোটবদ্ধ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। জোটের পাঁচটি দলের জন্য ৩৬টি আসন ছেড়ে দিয়ে ২৬২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে ২৯৭টি আসনে প্রতীক ছিল নৌকা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতেছিল ৮৮টি আসনে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদচ্যুত হয়েও এরশাদের জাতীয় পার্টি ২৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ৩৫টি আসনে। জামায়াতে ইসলামী ২২০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ১৮টি।
নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্য দলের মধ্যে আছে, জাকের পার্টি, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, সাম্যবাদী দল, পিপলস লীগ (নেওয়াজ), মুসলিম লীগের দুই অংশ, বাসদ (মাহবুব), জাসদ (রব), বাকশাল, জাসদ (ইনু), ন্যাপ (মোজাফ?ফর), জাসদ, (শাহজাহান সিরাজ), ফ্রিডম পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, বাসদ (খালেকুজ্জামান), এনডিপি।
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল ভোট বর্জন করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক পেশাজীবী ও কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ কারণে সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৮টি আসনের (৪৬ ব্যক্তি) প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুটি আসনে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছিল। অবশ্য পরিস্থিতিতেও বিএনপিসহ ৪২টি রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
৪২টি দলের ৯৯৩ জন এবং ৪৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৯২ জন ভোট কর্মকর্তাকে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছিল। ভোটগ্রহণের ১১ দিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০৮ জনকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ২০৬ জনই ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির প্রার্থী। তাদের মধ্যে ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ী ১৫৯ জন, ১৯ ফেব্রুয়ারি পুনর্র্নির্বাচনে বিজয়ী একজন।
৬ মার্চ কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই স্থগিত বেশ কয়েকটি আসনে আবার নির্বাচন করতে গেলেও সারা দেশে ঘটে সহিংস ঘটনা। ওই সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে ১৬ মার্চ পর্যন্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ২৭৫ জন সংসদ সদস্যের নাম প্রকাশ করে। সব আসনে নির্বাচন সম্পন্ন না করেই খালেদা জিয়া ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬
বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে কায়েম হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ১৯৯৬ সালেরই ১২ জুন প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সপ্তম সাধারণ নির্বাচন।
ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই কোটি ৮৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৫ জন, নারী ভোটার দুই কোটি ৭৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪২ জন। এ নির্বাচনে মোট ৮১টি রাজনৈতিক দলের দুই হাজার ২৯৩ জন ও ২৮১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৫৭৪ জন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ৩০০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। অন্য দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি ২৯৩টি, জাকের পার্টি ২৪১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ১৬৫টি, গণফোরাম ১০৪টি, জাসদ (রব) ৬৮টি, সিপিবি ৬৭টি আসনে প্রার্থী দেয়। এছাড়া ফ্রিডম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (খালেক) নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন শেষে একমাত্র বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগে যোগদান করার পরও দলটির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৭টি। জাতীয় পার্টি ও জাসদের (রব) সমর্থন নিয়ে ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি ৩২ এবং জাসদ (রব) একটিতে জয়লাভ করেছিল।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০০১
বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। এ সময় সারা দেশে ৩০০ আসনে মোট ভোটার ছিলেন সাত কোটি ৫০ লাখ ৬৫৬ জন। এক আসনে নির্বাচন স্থগিত থাকায় নির্বাচন হয়েছিল ২৯৯টি আসনে।
এ নির্বাচনে ৫২টি রাজনৈতিক দলের এক হাজার ৯৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ৩০০ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে আওয়ামী লীগ ৬৩টি আসনে জয়লাভ করে। চারদলীয় জোটে নির্বাচন করে বিএনপি। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি (নাজিউর) ও ইসলামী ঐক্যজোটসহ ধানের শীষ প্রতীকে ২৬৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জয় পায় ১৯৬টি আসনে। জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ৩১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ১৬টি।
জাতীয় পার্টি (এ) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন সমন্বয়ে ফ্রন্ট লাঙ্গল প্রতীকে ২৮১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ১৪টি আসনে। জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) বাইসাইকেল প্রতীকে ১৪০ আসনে নির্বাচন করে জিতে নেয় একটি। এছাড়া জাসদ, সিপিবি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (খালেক), খেলাফত আন্দোলন নির্বাচনে অংশ নেয়।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতৃত্বাধীন বড় দুই জোটসহ ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল এ নির্বাচনে। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এক হাজার ৫৬৭ জন।
মোট ভোটার ছিলেন আট কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার তিনজন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোট নিয়ে চারদলীয় জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে ২৬৪টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ২৩০টি আসনে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ধানের শীষ প্রতীকে ২৬০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ৩০টি। জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ৪৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে জিতেছিল ২৭টি। এই নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মধ্যে অংশ নেয়া দলের অন্যতম জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফ্রন্ট, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ফ্রিডম পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের বর্জন ও নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণার মধ্যেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৬ জন।
৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি^তায় নির্বাচিত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষের প্রার্থীরা। ফলে এসব আসনের চার কোটি ৮০ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোটার ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত হন। বাকি ১৪৭ আসনে মোট ভোটার ছিল চার কোটি ৩৯ লাখ আট হাজার ৭২৪ জন। এই নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দলের ৩৯০ প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
১৪৭টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ১২০ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০৪ জন, জাতীয় পার্টির ৬৬ জন, জেপির ২৭ জন, বিএনএফের ২২ জন, জাসদের ২১ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬ জন, ন্যাপের ছয়জন, তরীকত ফেডারেশনের তিনজন, খেলাফত মজলিসের দু’জন, গণতন্ত্রী পার্টির একজন, গণফ্রন্টের একজন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের একজন। ১৪৭ আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ১০৬টিতে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১৩টি, জাসদ দুটি, ওয়ার্কার্স পার্টি চারটি, স্বতন্ত্র ১৫টি ও অন্যান্য দল তিনটি আসনে জয়ী হয়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ১২৭ জন ছিলেন আওয়ামী লীগের, ২০ জন জাতীয় পার্টির, তিনজন জাসদের, দু’জন ওয়ার্কার্স পার্টির ও ১ জন জেপির।
