Logo
Logo
×

ফিচার

মুজিব সিনেমার কুশীলবরা কে কোথায়?

Icon

তারা ঝিলমিল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৮৩ কোটি টাকা। মোট অর্থের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৫০ কোটি ও ভারত সরকার দিয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেটি স্থগিত হয়। এরপর ২০২১ শুটিং শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর সিনেমাটি মুক্তি পায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে। এ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন শামা জাইদি ও অতুল তিওয়ারি। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ‘বিএফডিসি’ ও ভারতের ‘এনএফডিসি’। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিট।

মুজিব সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের তারকাখ্যাতি পাওয়া একঝাঁক অভিনয়শিল্পী। যারা প্রত্যেকেই আওয়ামীপন্থি শিল্পী হিসাবেই পরিচিত। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রূপদান করা বেশির ভাগ শিল্পীই আওয়ামী রাজনীতির পূর্ণ সমর্থক। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, নুসরাত ইমরোজ তিশা, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, নুসরাত ফারিয়া, ফজলুর রহমান বাবু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, চিত্রনায়ক রিয়াজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, শহীদুল আলম সাচ্চু, চঞ্চল চৌধুরী, তৌকির আহমেদ, জায়েদ খান, সাবিলা নূর, রোকেয়া প্রাচী, সিয়াম আহমেদ, মিশা সওদাগর, দিব্য জ্যোতি, ওয়ানিয়া জারিন আনভিতা, জিয়াউল হাসান কিসলু, গাজী রাকায়েত, গায়স উদ্দিন শেখ, তুষার খান, দিলারা জামান, সঙ্গীতা চৌধুরী, আনজুম খান, সমু চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরি, সামান্তা রহমান, কামরুল হাসান, ইশরাক তূর্য, তৌহিদ, শরীফ সিরাজ, আজাদ আবুল কালাম, নাজিবা বাশার, আশিউল ইসলাম, একে আজাদ সেতু, এলিনা শাম্মি, সাব্বির হোসেন, হাসান দ্বীপ প্রমুখ।

এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই আওয়ামীঘেঁষা শিল্পীরা তাদের অবস্থান পরিবর্তনে ব্যস্ত। ভোল পালটাচ্ছেন অনেক শিল্পীই। ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করেছিলেন মুজিব সিনেমায় অভিনয় করা অধিকাংশ কুশীলব। এদের মধ্যে অনেকে সরকারের পক্ষে মাঠে থেকে প্রত্যক্ষ ভূমিকাও পালন করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই মুজিব সিনেমায় অভিনয় করে মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। নামমাত্র এ পারিশ্রমিক একজন শিল্পী হিসাবে পেশাগত জায়গা থেকে একেবারেই বেমানান। এর থেকেই স্পষ্ট, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও একনিষ্ঠ কর্মী। এ কারণেই এ সিনেমায় তারা অভিনয়শিল্পী হিসাবে নয় বরং একজন দলীয় কর্মী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন- এমনটাই বলছেন সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ‘আলো আসবেই নামে’ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন আওয়ামীপন্থি শিল্পীরা। সেখানেও মুজিব সিনেমার কুশীলবদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবের বায়োগ্রাফিতে অভিনয় করা বেশির ভাগ শিল্পী ভোল পালটে ফেলেছেন। এদের কেউ কেউ জাতীয়তাবাদী সাজছেন, আবার কেউ নিজেকে শুধু শিল্পী হিসাবেই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। অথচ তখন এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জোর লবিং এবং শুটিং ও মুক্তিপরবর্তী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে আতিথিয়েতা নেওয়া ও সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বৈরাচারের তোষামোদ করার ক্ষেত্রেও তারা বেশ সরব ছিলেন। বর্তমানে এসব শিল্পীরা কে কোথায় আছেন ও ছাত্র আন্দোলনে কার ভূমিকা কী ছিল, সেটাই এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।

প্লট বাগিয়ে নিয়েছিলেন মুজিবরূপী আরিফিন শুভ

এ সিনেমায় মুখ্য ভূমিকা অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সিনেমাটিতে তিনি মাত্র এক টাকার বিনিময়ে অভিনয় করেছেন। মূলত দলদাসত্ব থেকে বলা যায় তিনি বিনা পারিশ্রমিকে এতে অভিনয় করেছেন। এ সিনেমা মুক্তির সময় বেশ আবেগী হয়ে শুভ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এ সিনেমাটি হচ্ছে একটি জাতির ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির কাছে একটি আবেগের চরিত্র। আমি কিশোর মুজিব থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময়টাকে এখানে উপস্থাপন করেছি। এটি আমার একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। সিনেমাটি যারা দেখেছেন-বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আমাকে বলেছেন, আমি নাকি ভালোই করেছি। আমার আজ বড় আনন্দ যে, আমি একটি ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি।’ এদিকে জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণহত্যা ও ছাত্র আন্দোলনে আরিফিন শুভর ভূমিকা ছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের আলোচনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিতভাবে নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের পুরোনো খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন। মুজিব সিনেমায় এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করে বাগিয়ে নেন রাজউকের ১২ কোটি টাকা দামের প্লট। যদিও এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা কর্তৃক অবৈধভাবে বরাদ্দকৃত এ প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে এ অভিনেতা রয়েছেন অনেকটাই আড়ালে।

মুজিব সিনেমায় তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। এ অভিনেতা আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অন্যতম। ছাত্র আন্দোলনে দেশে যখন স্বৈরাচার হাসিনা কর্তৃক হত্যাযজ্ঞ চলছিল, তখন এ অভিনেতা স্বৈরাচারপন্থি অন্য অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আগুনে পোড়া বিটিভি ভবন দেখতে গিয়ে ইট-পাথরের জন্য মায়াকান্না করেছেন। ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শিল্পীদের একত্র করার কাজটি তিনিই করতেন। বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন এ অভিনেতা।

মুজিব সিনেমায় খন্দকার মোশতাক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কাজ করতে পারাটা আমার কাছে বিরাট সৌভাগ্যের। একটা ইতিহাসের অংশ হলাম। এ সিনেমার মাধ্যমে আজকের জেনারেশন বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে।’ আওয়ামী ঘারানার শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। ছাত্রদের আন্দোলন ভঙ্গ করতে খোলা গোপন গ্রুপের একজন সদস্য তিনি। তবে সেখানে সক্রিয় ছিলেন না বলেই দাবি করছেন। তার এমন মন্তব্যে নেটিজেনরা উপহাস করছেন। অনেকেই বলছেন বাবু এখন দল বদলের চেষ্টায় আছেন। তবে বিগত দিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অনুশোচনায় ভুগছেন।

মুজিব সিনেমায় দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে। সে সময় সিনেমাটিতে অভিনয় নিয়ে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এ অভিনেত্রী এতটাই আওয়ামীভক্ত যে, ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী ছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার দলের লোকজনও গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু রোকেয়া প্রাচী বেশ দম্ভোক্তি নিয়েই তখনো হাসিনার পক্ষে সাফাই গেয়ে মিডিয়ায় মন্তব্য করে গেছেন। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে গিয়েছিলেন শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানেও ছাত্রদের বিরুদ্ধে তারে ওপর হামলা করার অভিযোগ আনেন। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।

ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন না হাসিনারূপী নুসরাত ফারিয়া

মুজিব সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। তখন তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এবং ক্যারিয়ারের জন্যও এ সিনেমাটি আমার জন্য একটা বিশাল অর্জন। এ সিনেমায় এমন অনেকেই আছেন, যারা মাত্র এক মিনিটের জন্য সিনেমার কোনো একটা অংশে অভিনয় করেছেন। কিন্তু যে মুহূর্তগুলো আমরা আবার অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছি, সেগুলোর মূল্য অনেক।’ এই নায়িকা এ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে বিভিন্ন সময় গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আমোদে-আহ্লাদে মেতেছিলেন। নিয়েছেন সুযোগ সুবিধাও। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। শেখ হাসিনার গণহত্যা নিয়েও কোনো কথা বলেননি। বরং বিদেশে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্বল্প বসনা ছবি প্রকাশ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। এখনো তিনি রয়েছেন বিদেশে।

মুজিব সিনেমায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। তিনিও এক টাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করেছিলেন। সেই সুবাদে তিনি ছিলেন হাসিনাঘনিষ্ঠ। তবে ছাত্র আন্দোলনে স্বামী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে সরব থাকলেও তাদের বিগত দিনের পল্টিবাজি কর্মকাণ্ডে নেটিজেনরা তাদের বিশ্বাস করতে পারছেন না।

মুজিব সিনেমায় টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। চরিত্রটি অবশ্য খুবই ছোট। তিনিও এর জন্য এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। জায়েদ আওয়ামী লীগ কর্মী হিসাবেই পরিচিত। ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময় তিনি আমেরিকায় ছিলেন। এখনো সেখানে রয়েছেন। আন্দোলন নিয়েও তার কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য ছিল না।

মুজিবপিতা চরিত্রের চঞ্চল ছিলেন নীরব

মুজিব সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। সে সময় সিনেমাটিতে কাজ করা নিয়ে বেশ উৎফুল্ল ছিলেন এ অভিনেতা। তিনি বলেছেন, ‘আমি শেখ লুৎফুর রহমানের মধ্যবয়সি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ বায়োপিকে অভিনয় করে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে আমি আজ ধন্য।’ এ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গণভবনে যাতায়াতের সুযোগ মিলেছিল এ অভিনেতার। অন্যদের সঙ্গে দলবেঁধে গিয়ে গান শুনিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। স্বৈরাচারের পায়ের ধুলিও মাথায় নিয়েছেন। সে সবের ভিডিওচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশও হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চঞ্চল ছিলেন নিশ্চুপ। বর্তমানে এ অভিনেতা অনেকটা আড়ালে রয়েছেন। কোনো ধরনের শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদকে মুজিব সিনেমায় ছোট একটি চরিত্রে দেখা গেছে। সে সময় মুজিব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সপরিবারে শহিদ হওয়ার আটচল্লিশ বছর পর এসে আমরা তাকে নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ সিনেমা বানাতে পারলাম। এ সিনেমায় আমিও আছি, আমার জন্য এটা অন্য রকম ভালো লাগার।’ সিনেমাটির প্রচার-প্রচারণায় তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধিতা করেননি এ অভিনেতা। বরং সক্রিয় ছিলেন মাঠে।

নিশ্চুপ ছিলেন আরও অনেকে

এদিকে মুজিব সিনেমায় অভিনয় করে তখন ইতিহাসের অংশ হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত হলেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, শহীদুল আলম সাচ্চু, তৌকির আহমেদ, মিশা সওদাগর, দিব্য জ্যোতি, জিয়াউল হাসান কিসলু, গাজী রাকায়েত, তুষার খান, দিলারা জামান, সমু চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, নাজিবা বাশার, সাব্বির হোসেনসহ আরও অনেক শিল্পীই ছিলেন একেবারে নিশ্চুপ। প্রকাশ্যে পক্ষে-বিপক্ষে কোনো কথাই বলতে শোনা যায়নি তাদের। অন্যদিকে এ সিনেমায় অভিনয় করেও ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মাঠে সোচ্চার ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম