সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়
সরকারের দুর্বলতার কারণেই ‘মবতন্ত্র’ প্রশ্রয় পেয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর একটি স্থানীয় হোটেলে রোববার মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ -যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির কাছে গঠনমূলক সমালোচনা, প্রশ্ন করার স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তা চাইলেন সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। জবাবে দলটির নেতারা জানালেন-যেকোনো সমালোচনা গ্রহণে প্রস্তুত বিএনপি, তবে কোনো হঠকারিতা পরিহার করার আহ্বান জানালেন তারা। রোববার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক, রেডিও-টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে ‘তারেক রহমান-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সামনে রেখে এর আয়োজন করা হলেও আলোচনায় উঠে আসে গণমাধ্যমের সংকট, চ্যালেঞ্জ তথা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা। গণমাধ্যমের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকরা মন খুলে প্রকাশ করেছেন তাদের হতাশা, বাস্তবতা ও আগামী বাংলাদেশের স্বপ্ন। সবচেয়ে বেশি কথা হয় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে।
সম্প্রতি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রত্যাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এসব ঘটনায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সরকারের দুর্বলতার কারণেই ‘মবতন্ত্র’ প্রশ্রয় পেয়েছে। এটি কঠোর হাতে দমন করা প্রয়োজন। পত্রিকা অফিসে হামলা জাতির জন্য ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না। এখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি। আমরা জেনেছি, হামলার বিষয়ে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল। কিন্তু সেটা আমলে নেওয়া হলো না কেন-এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরেও শুনেছি এক দুই ঘণ্টা পরে তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেব? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি বলেন, কিছুদিন যাবত গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করে, টার্গেট করে হামলা করতে দেখেছি; যা নতুন নয়। কিছু স্থাপনায়, ঠিকানায় মবক্রেসিকে অ্যালাউ করা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, কিন্তু কেন হয়ে যাবে মবক্রেসি। তাকে কেন লালন করতে দেওয়া হবে। এগুলো আমি সরকারের দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছি। এগুলো আরো কঠোরহস্তে দমন করতে হবে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অনেকে গণমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সবসময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কী করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।
সভায় যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফেরার দিন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেও পারে। এয়ারপোর্টে অথবা রাস্তাঘাটে যে কোনো স্থানে অথবা অন্য শহরে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তারাই সেটাকে সেদিন খুব বড় করে দেখাবে। আমি বিএনপির আয়োজকদের সতর্ক থাকতে বলছি। তারেক রহমান যেদিন ফিরে আসবেন এবং তার পরবর্তী কয়েক দিন যেন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না ঘটে। এটা খুবই জরুরি। তিনি বলেন, সরকারও ভুল করতে পারে, সাংবাদিকও ভুল করতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই ভুলটা স্বীকার করার সৎ সাহস থাকতে হবে।
জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করাই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ টিকতে পারে না। কোনো সরকারও কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারে না।’ তিনি বলেন, দেশে একটি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা বিপজ্জনক। এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের আরও আগে দেশে ফেরা সম্ভব হলে বিএনপি ও দেশের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারত। তারেক রহমানের অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রথম আলো সম্পাদক। তিনি বলেন, বিভিন্ন জরিপে বিএনপি এখনো দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসাবে উঠে এসেছে এবং নির্বাচনে তারা বড় ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারে-এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যে দল ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে, তাদের নেতৃত্ব, আচরণ ও বিনয় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়েও মানুষের মধ্যে খুব বেশি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সরকারই প্রকৃত অর্থে সমালোচনামূলক সাংবাদিকতা গ্রহণ করেনি, এমন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে নতুন বাংলাদেশে স্বাধীন ও সমালোচনামূলক গণমাধ্যম মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন ধরনের মিডিয়া পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। তার মতে, তারেক রহমানের জন্য এটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সময়। কারণ, বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে গভীর। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এই মুহূর্তে এক ধরনের ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থার মধ্যে আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে, পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, অস্থির সময়ে আমরা সবাই অস্থির। মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে, সেটা বাস্তবায়ন হলেই মিডিয়া এগিয়ে যাবে। তারেক রহমান এমন এক সময়ে দেশে আসছেন, যখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তা। দিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোর ওপর হামলা হয়েছে। এর পরে কী হবে আমরা জানি না। আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আপনারা আমাদের কথা বলতে দিলে সাধুবাদ জানাব, নয়তো সমালোচনা করব। তবে আগামী দিনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শিগগিরই দেশের গণমাধ্যমের সংকট কেটে যাবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, জুলাইয়ের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই আমরা একটি বেদনার্ত পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছি। দেশ অপেক্ষা করছে মৃত্যু উপত্যকা পেরিয়ে যাওয়ার জন্য। নেতৃত্ব সংকট আমাদের বাংলাদেশে প্রবল। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ওপর ৭২ সাল থেকে আক্রমণ আসছে, আশা করি সামনে তা শেষ হবে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে সামনে ‘মহাবিপদ’ অপেক্ষা করছে-এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেন, বিদেশিরা বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে উদ্?গ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়, তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সাংবাদিকদের ও বিএনপির বলে মনে করেন এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবচেয়ে বড় দল। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গিয়ে কোথাও বিএনপিকে ১০টি সিট হারাতেও হয়, আমার মনে হয় এখনকার যে প্রথম আলো সার্ভে করেছে, তাতে বিএনপির ক্ষমতায় আসতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’ গণমাধ্যমকে উন্মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নোয়াব সভাপতি বলেন, ‘আমাদের যদি উন্মুক্ত করে দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করার সুযোগ দেন তাহলে আমরা দায়িত্বশীলভাবে সেটা করব।’
গণমাধ্যমের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অনেকেই ব্যথিত হয়েছেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে, আবার অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তবে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি বলতে পারে তারা ক্ষমতায় নেই। তবে ক্ষমতায় না থেকেও এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে দাঁড়ানো যেত, ভূমিকা রাখা যেত। বিএনপি কি এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পেরেছে? বিএনপির নেতাকর্মীরা কি এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে কথা বলেছে? তিনি আরও বলেন, আমরা বরাবরের মতো ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই। গত ১৫ বছরেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাইলেও প্রশ্ন করা যায় না, তবুও আমরা প্রশ্ন করার চেষ্টা করেছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে এখনো যখন ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলি তখন ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে অভিহিত করা হয়, ট্যাগ দেওয়া হয়। আগামী দিনে এর অবসান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শফিক রেহমানের মতো বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের কারাগারে নিয়ে যে আচরণ করা হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের আমলে একটি ঘন কালো অন্ধকারের সময় পার করেছি। প্রত্যেকেই কমবেশি আক্রান্ত হয়েছি। এখনো যেসব বিষয় আমাদের সামনে আসছে, তা ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, কারও বক্তব্য এবং মতামতের জন্য তার ওপর আক্রমণ হওয়া ফ্যাসিবাদোত্তর সময়ে কাম্য নয়। ভারতে গোদি মিডিয়ার কথা বলা হয়, তেমনি স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে মিডিয়াও ভূমিকা পালন করে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী আমরা যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম তেমন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি না। সবাইকে এটা স্বীকার করতে হবে। আমরা সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন চাই। আগামী দিনে এমন একটি রাষ্ট্র দেখতে চাই যেখানে রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা থাকবে; রাষ্ট্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা বলে বিশ্বাস করবে।
অন্যদের মধ্যে ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, ইউএনবির মাহফুজুর রহমান, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল, চ্যানেল ২৪’র জহিরুল আলম, নিউজ ২৪ এর শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কামাল আহমেদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, কাজী জেসিন প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু তাহের, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মারুফ কামাল খান সোহেল, খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, আজকের পত্রিকা সম্পাদক কামরুল হাসান, ডেইলি সান সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, যুগান্তর নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, ডিবিসি সম্পাদক লোটন একরাম, বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক খুরশিদ আলম, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলানিউজ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, ঢাকা মেইলের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ।
এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
