এলডিপি মহাসচিবের দলবদল
মিত্রদের আরও ১০ আসন ছাড়ল বিএনপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মিত্রদল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির আসন সমঝোতা অনেকটাই শেষের দিকে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় দর-কষাকষি ও হিসাব-নিকাশে আরও ১০ আসন ছাড় দিয়েছে দলটি। বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মিত্রদের আরও ১০ আসন ছাড়ের কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে বেরিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে কুমিল্লা-৭ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বিএনপিতে যোগ দিয়ে ঢাকা-১৩ আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, নড়াইল-২ আসনে প্রার্থী হবেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এনপিপি নিবন্ধিত না হওয়ায় তিনি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা-১২, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে প্রার্থী হবেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে পিরোজপুর-১ আসন, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস যশোর-৫ আসন ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
মিত্রদের মধ্যে যারা এখনো বিএনপিতে যোগ দেননি, তারা নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থী হবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে দলের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসন সমঝোতা নিয়ে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা আরও চলবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, সেটি পরে জানানো হবে। এর আগে মঙ্গলবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন ছেড়ে দেয় বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
