ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ
জাতির পিতার অবমাননা সহ্য করবে না সরকারি কর্মকর্তারা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কোনো রকমের অবমাননা ও অসম্মান হতে দেবেন না দেশের সরকারি কর্মকর্তারা। কোনো ধরনের অবমাননা সহ্যও করবেন না তারা। শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ করে এই প্রতিজ্ঞা করেছেন সব বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এসব সমাবেশে নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা ফোরামের ব্যানারে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে সারা দেশের জেলা-উপজেলায় এই সমাবেশ করেন সরকারি কর্মকর্তারা।
‘জাতির পিতার সম্মান, রাখব মোরা অম্লান’ স্লোগান দিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বিশাল সমাবেশ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সমাবেশে সব ক্যাডারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, বিসিএস কর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফজলে হায়াত কায়সার, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ও খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সৈয়দ গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার সাহা, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের আ ম সেলিম রেজা, পররাষ্ট্র ক্যাডারের সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, আনসার ক্যাডারের শামসুল আলম, তথ্য ক্যাডারের শ ম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। সমাবেশে কয়েক হাজার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতার প্রতি কোনো রকমের অন্যায় ও অসম্মান হতে দেব না, এটাই হলো আজকের অঙ্গীকার। আমরা জনগণের সেবক। সংবিধানে জাতির পিতা রয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। আমরা যদি থাকি, তাহলে জাতির পিতার অবমূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সমগ্র জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে এসেছি, এ রকম কোনো ঘটনা হতে দেব না। আমাদের কাছে টুলস আছে, আমরাই পুলিশ, ডাক্তার, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক। আমরা সবাই এক থাকলে জাতির পিতার নামের অবমূল্যায়ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এ দেশের জনগণের সেবক। এই সেবা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিসিএসে ২৯টি ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। কোথাও অন্যায় হলে প্রতিবাদ করা। আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসম্মান হতে দেব না। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। কয়েকদিন পরেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি, এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা অশুভ প্রয়াস। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এইসব অশুভ প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, আমাদের পূর্বসূরিরা অনেক কিছু দিয়ে গেছেন, এর সঙ্গে ব্যর্থতাও দিয়ে গেছেন। জাতির পিতা যখন সপরিবারে নিহত হন, তখন আমরা সব সরকারি কর্মকর্তা কাজে নিয়োজিত ছিলাম। এরকম কোনো ঘটনা আর আমরা ভবিষ্যতে ঘটতে দেব না। আশা করি, সহকর্মীরা আমার সঙ্গে একমত। এই (বঙ্গবন্ধু) মহাপুরুষের কারণে বাংলাদেশের মতো ভূখণ্ডের জন্ম হয়েছে। বাঙালির বীরত্বের ইতিহাস আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধুর কারণে বীর বাঙালি খেতাব পেয়েছি আমরা। ১৯৭১ সালে এ দেশের সাধারণ জনগণ লুঙ্গি পরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে শান্তি রক্ষায় আমরা কাজ করছি।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনও এই মহান নেতাকে অস্বীকার করে যাচ্ছে। তারা হুংকার দিয়ে যাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর কোনো রকমের আঘাত, কোনো অপমান মেনে নেয়া হবে না, সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলে, আমাদের প্রাণে লাগে। এ ব্যাপারে দেশের ১৮ কোটি মানুষের দ্বিমত থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো প্রকার অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করব না, মেনে নেব না।
সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপর আঘাত কঠোরভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু দেশ ও পতাকা দিয়েছেন, মানচিত্র দিয়েছেন। তার ওপর হামলা হল সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপর হামলা, জনগণের ওপর হামলা। রাষ্ট্র অবশ্যই তার আইন-বিধির মাধ্যমে এটি কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে। সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যে ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে যারা ভাংচুর করেছে, সেই পিশাচদের প্রতি আমাদের তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা প্রকাশের ভাষা নেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা দেখেছি বারবার দেশটাকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমার দেশের সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়েছেন, দিয়েছেন বাংলা ভাষার স্বীকৃতি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর হামলা মানে সংবিধানের ওপর হামলা, রাষ্ট্রের ওপর হামলা, দেশের জনগণের ওপর হামলা। আমি প্রতিবাদের কথা বলব না। কারণ আমরা সরকারের অংশ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের হামলা-আমরা অবশ্যই এ দেশের প্রচলিত আইন আছে, এর মাধ্যমে মোকাবেলা করব। রাষ্ট্র অবশ্যই তার যে বিধিবিধান আছে, দেশের যে আইন আছে, ।রে মাধ্যমে তাদেরকে কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে। আমরা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে, রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে ১৮ কোটি মানুষকে নিশ্চিত করতে চাই, আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা তাদেরকে কঠোর হস্তে মোকাবেলা করব। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ, সংবিধানের বিরুদ্ধাচরণ।
বিসিএস কর অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফজলে হায়াত কায়সার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, আর বাংলাদেশ না হলে এত ক্যাডার সার্ভিস হতো না। ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারা দেশবিরোধী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বিসিএস শুল্ক ও আবগারি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাস্টমস কমিশনার বলেন, ‘এখনও এ দেশে কিছু মানুষ দেখা যাচ্ছে যারা জাতির পিতাকে অশ্রদ্ধা করছেন। ভাস্কর্য ভাঙার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাই। আসলে তারা স্বাধীনতার প্রতি আঘাত করতে চায়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বঙ্গবন্ধু-এসব নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই।’
বিসিএস অডিট ও অ্যাকাউন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম সারোয়ার ভুঁইয়া বলেন, ‘জাতির পিতাকে যারা অসম্মান করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করছি।’
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম : দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিবাদ সভা করেন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, জাতির পিতার ওপর আঘাত মানে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, সংবিধানের প্রতি আঘাত। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলার পাঁয়তারা করছে, তাদের সবার অতীত খুঁজে দেখেন তাদের কী ভূমিকা ছিল। জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে চট্টগ্রামে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে পরিচালক শারুন চৌধুরীসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন জিপিও কম্পাউন্ডে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সকাল সাড়ে ১০টায় দামপাড়া পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সামনে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন চট্টগ্রামের বিচারকরা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন নগরীর জামাল খান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
রাজশাহী : সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, জেলা জজ মীর শফিকুল আলম, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, র্যাব-৫-এর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল প্রমুখ।
বগুড়া : দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উজ্জ্বল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, সিভিল সার্জন ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু সাঈদ মো. কাউছার রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
বরিশাল : দুপুরে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন। আর বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানবন্ধন করে। একই সময় নগরীর নাজিরমহল্লা কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন দ্য চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সার্কিট হাউস থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে অশ্বিনী কুমার হলে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। সমাবেশে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, যারা আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরতে চান, তাদের বিরুদ্ধে আমরা মধুর প্রতিশোধ নেব। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাংচুর করা মানে আমাদের স্বকীয়তায় আঘাত হানা।
রংপুর : সকালে নগরীর টাউন হলে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যশোর : সকালে শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিস ডি কস্তা প্রমুখ। একই সময় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্যরাও প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করে।
কিশোরগঞ্জ : দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
সিলেট : নগরীর রিকাবীবাজার কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে প্রতিবাদ সভা করেন সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা মূলত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এতে আরও বক্তব্য দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমেদ, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ।
ময়মনসিংহ : দুপুরে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল মাজেদ, সমাজ সেবা অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।
ফরিদপুর : সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় জসীমউদ্দীন অডিটোরিয়ামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়া, বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, স্বাচিব সভাপতি ডা. এমএ জলিল, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ড. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, কেআইবি সভাপতি ও উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ড. হযরত আলী প্রমুখ।
