কমতে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কমতে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। মঙ্গলবার শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা কমেছে। আগের দিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে মঙ্গলবার ব্যারোমিটারের পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৫ দশমিক ২ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। এদিন সর্বনিন্ম তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে দিনাজপুর। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, এটিও ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তারা বলেছেন, আজ থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। শীতের প্রকোপভুক্ত এলাকা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ৪ থেকে ৫ দিন। অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশের কোথাও আর কোনো মাত্রারই শৈত্যপ্রবাহ থাকবে না। তবে ২০ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা ফের নামতে শুরু করবে। ২৪-২৫ জানুয়ারির দিকে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে দেশে। তখন বাংলার প্রকৃতিতে থাকবে মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহ। সাধারণত ‘মাঘের শীত বাঘের গায় (শরীর)’ এই প্রবাদ বাংলায় চালু আছে। সেই হিসাবে ফের শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘অতি-তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৭০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শীতের অভিজ্ঞতা হয় বাংলাদেশের মানুষের।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাইয়ের প্রকোপ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৮২৫ জন। এর মধ্যে এআরআই (অ্যাবস্ট্রাক্টিভ রিসপারেটরি ইনফেকশন)-এ আক্রান্ত হয়েছেন ১২৪ জন, ডায়রিয়ায় ৪৪৬ জন এবং অন্যান্য রোগে (সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, কাশি, চর্মরোগ, টনসিল ইত্যাদি) ২৫৫ জন। অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশের হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শীতজনিত রোগে গত দুই দিনে (সোমবার রাত পর্যন্ত) পাবনায় ৬, কুড়িগ্রামে ৩ ও রংপুরের কাউনিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় শীত নিবারণ করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে চরম বিরূপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তার জন্য দায়ী ‘লা নিনো’ পরিস্থিতি। প্রশান্ত মহাসাগরে ৩ দশমিক ৪ অঞ্চলের পানির তাপমাত্রার যখন ৩০ বছরের গড় হিসাবে দশমিক ৫ ডিগ্রি কমে বা বাড়ে তখন বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাপমাত্রা বাড়লে তাকে বলে ‘এল নিনো’, আর কমলে ‘লা নিনো’। উভয় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশ্বের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরূপ আকার ধারণ করে। তবে এল নিনো হলে বাংলাদেশসহ অত্র অঞ্চলে উষ্ণতা অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। লা নিনো হলে তাপমাত্রা নেমে যায়। অধ্যাপক ইসলাম বলেন, গত নভেম্বরে শুরু হয়েছে এই লা নিনো পরিস্থিতি। এটা আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে ইতিমধ্যে ব্যুরো অব মেটেওরোলজি, অস্ট্রেলিয়া (বিওএমএ) জানিয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্মাতাল হয়ে উঠেছে। একই সময়ে (৮ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ায় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রিতে উঠেছে, আবার কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে মাইনাস ৫০ ডিগ্রিতে নেমে যায়। অর্থাৎ পৃথিবীর দুই প্রান্তে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিপরীতমুখী ছিল।
উল্লেখ্য, সোমবার পঞ্চগড়ের তেুঁতলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম। এর আগে সর্বশেষ এত তীব্র শীত পড়েছিল ১৯৬৮ সালে। ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরও ২০ বছর আগে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এত কম তাপমাত্রার রেকর্ড খুঁজে পায়নি আবহাওয়া অফিস। যুগান্তরের বিভিন্ন ব্যুরো ও জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
পাবনা : রোববার রাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামের ওসমান প্রামাণিকের ছেলে আবু বক্কার প্রামাণিক, একই থানার বনগ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী খোরশেদা খাতুন ও একই এলাকার কুদরতের ছেলে মনসুর আলী, পাবনা সদর উপজেলার দ্বীপচর এলাকার লজের প্রামাণিকের ছেলে লোকমান প্রামাণিক, আটঘরিয়া উপজেলার পারখিদিরপুর গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে আবদুুল কাদের ও সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আছির উদ্দিন।
কুড়িগ্রাম : সোমবার রাতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ১ শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে এই শীতের সময় বিভিন্ন রোগে ১৪ জন মারা গেল। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শীতজনিত রোগে নয় বিভিন্ন রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তারা মারা যায়। কনকনে ঠাণ্ডার ফলে বয়স্ক আর শিশুরা অল্পতেই কাহিল হয়ে পড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি। আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ।
কাউনিয়া (রংপুর) : ওয়াজ মণ্ডল নামের তাবলীগ জামাতের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামাহাট তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মসজিদে মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। তিনি নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বাহাতকুণ্ড গ্রামের নাছির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকায় উপজেলা উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী কুশি বেগম শীত নিবারণ করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী : রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় তা আরও নেমে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। এটিই দিনের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) : বড়াইগ্রামে মানুষের দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক ও বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম দেখা যাচ্ছে।
বগুড়া : বগুড়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্য উঠলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। তবে কিছু সময়ের জন্য মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখা দেয়। হিমেল হাওয়ার কারণে জনগণ বিশেষ করে ছিন্নমূল ও শিশু-বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বেড়েছে। তীব্র শীতের কারণে এরা সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে ভুগছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
দিনাজপুর : মঙ্গলবার তাপমাত্রা একটু বৃদ্ধি পেলেও তেমন কমেনি শীতের তীব্রতা। দিনাজপুরে গতকাল সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বলে জানান দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : শিবগঞ্জে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। তবে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বেকায়দায়। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগের দিনের চেয়ে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিন্ম।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : নিয়ামতপুর ও এর আশপাশের এলাকার অসহায় দুস্থদের জীবন এখন মরণাপন্ন। এছাড়াও বিপদে পড়েছে ঘুম থেকে উঠে ভারি কুয়াশা ভেদ করে স্কুলগামী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। আর এ বৈরী আবহাওয়ায় নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের শিকার হচ্ছেন শিশুসহ বৃদ্ধরা। শীতের প্রকোপতায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক কেজি স্কুল। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা এমন বৈরী আবহাওয়াতেও কাঁপতে কাঁপতে হাজির হচ্ছে বিদ্যালয়ে।
লালমনিরহাট : বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন মঙ্গলবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জমগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাইফুল ইসলাম, রংপুর-৭বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. মাহফুজ উল বারী, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন, বাউরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনীয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) : গোলাপগঞ্জে দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও বিকাল থেকে পড়তে থাকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। রাত যত ঘনিয়ে আসে ততই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেটা উপজেলা। ঠাণ্ডার পাশাপাশি হিমেল বাতাস থাকার কারণে ঠাণ্ডার মাত্র আরও তীব্র হয়। এমন অবস্থায় উপজেলার অসহায় ছিন্নমূল ও ভাসমান লোকজনকে কষ্টের সীমা অতিক্রম করেছে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) : কমলগঞ্জে গরম কাপড়ের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বস্তি এলাকার নিম্নআয়ের লোক, চা বাগানের শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধ পুরুষ মহিলারা শীত নিবারণে গরম কাপড়ের অভাবে দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়েই জীবনধারণ করছেন। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) : কাশিয়ানীতে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে সন্ধ্যার পর হাট-বাজার, রাস্তাঘাটে লোকের উপস্থিতি কম থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কাশিয়ানী উপজেলা সদর হাসপাতালসহ প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকে গ্রামীণ সড়কসহ সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। ভোরবেলা থেকে দিনের ৯টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
চাঁদপুর, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ : চাঁদপুর ও আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় ঠাণ্ডাজনিত কারণে ব্যাপক হারে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২১ দিনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মতলব আইসিডিডিআরবি (কলেরা) হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে প্রায় ১৬৫ রোগী। এ রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তিনগুণের চেয়েও বেশি।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) মতলব শাখা সূত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রে গত ২০ ডিসেম্বর ’১৭ থেকে ৯ জানুয়ারি ’১৮ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৮ রোগী।
হাজীগঞ্জে ব্যাপক ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে প্রায় দেড়শ’ শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। গত তিন দিনের তীব্র শীতে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ভিড় দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে হাজীগঞ্জ উপজেলার কর্মজীবনে এসেছে স্থবিরতা। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় উপস্থিতি সংখ্যা নগণ্য।
