Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে নৌকায় ভোট দিন: ডা. আইভী

Icon

হাসিবুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়তে নৌকায় ভোট দিন: ডা. আইভী

নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদরে গণসংযোগ করছেন -যুগান্তর

প্রচারণার শেষ দিনে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকায় ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। একই সঙ্গে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাকে পরাজিত করার জন্য অনেকগুলো পক্ষ এক হয়ে গেছে-এমন অভিযোগ তুলে আইভী বলেন, সেই পক্ষটা ঘরের হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। সব মিলে গেছে। এছাড়া প্রচারের শেষ দিন বিকালে নগরীর ২নং রেলগেট সড়কে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পথসভার মাধ্যমে বিশাল শোডাউন করেন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী। তার জনসভার শেষ প্রান্ত ছিল নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ছাড়িয়ে গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড়ের কাছাকাছি।

এ সময় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমি আপনাদের জন্য মৃত্যুকেও বরণ করে নিতে রাজি আছি। ত্বকীর জন্য, চঞ্চলের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখেছি। পুনরায় বাজি রাখতে রাজি আছি। নিজের ঘর-সংসার-সন্তানের দিকে তাকাইনি। আপনাদের সেবা করে গেছি। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে বিমুখ করবেন না। আইভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন সে দুঃসময়ে যখন নারায়ণগঞ্জে কেউ ছিল না, পালিয়ে ছিল অনেকে, সে সময় নেত্রী আমাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করেছিলেন পৌরসভায় তখন আমি জিতেছিলাম। শেখ হাসিনা আমাকে যে টাকা দিয়েছেন তাই দিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জের কোনায় কোনায় উন্নয়ন করেছি। সন্ত্রাসমুক্ত নারায়ণগঞ্জ করার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ার জন্য নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। আমি সাতাশটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেছি। নারী আর শিশুরা বলেছে নৌকা নৌকা, যুবক-বৃদ্ধরা বলেছে নৌকা নৌকা। শেখ হাসিনার নৌকা যাবেই যাবে ইনশাআল্লাহ। ১৬ তারিখে ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব আমাকে আপনারা আগামী পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ দিন।

তিনি বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। নৌকার ঘাঁটি। এই নারায়ণগঞ্জ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কল্যাণের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। এই নারায়ণগঞ্জের মিউচুয়াল ক্লাবে আওয়ামী লীগের জন্ম। জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করার জন্য আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এই নৌকা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধের নৌকা। কিন্তু কালেভদ্রে এই নারায়ণগঞ্জকে দূষিত করা হয়েছে, বিষাক্ত করা হয়েছে। এই দূষিত, বিষাক্ত নগরীকে বিষমুক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করেছি এ শহরের মাটি ও মানুষের কাজ করার জন্য। আমার বাবা আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। বাবার কাছে শিখেছি কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। মানুষের মাঝে ঈশ্বর, ভগবান, আল্লাহ বিরাজমান। যদি আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবানকে চাও তাহলে মানুষের কাছে যাও।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকাল তিনটায় পথসভার কথা থাকলেও তা রীতিমতো জনসমাবেশে রূপ নেয়। শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের পর থেকেই নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। সভা শুরু হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকা ও আইভীর ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেটে সড়ক বন্ধ করে ৪টি ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপরের মঞ্চ ছাড়িয়ে নেতাকর্মীদের স্রোত আশপাশের সড়কেও ছাড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাহত হয় যান চলাচল। তিনটার কিছু সময় পরে সভা শুরু হয়।

সভা শুরু হওয়ার কিছু সময় পর সভাস্থলে আসেন নৌকার মেয়র প্রার্থী। তার বক্তব্যের আগে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এমএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আইভীর বক্তব্যের শেষে শুরু হয় র‌্যালি। শাড়ি পরে ও গলায় লাল-সবুজের উত্তরীয় পরে হুডখোলা কালো গাড়িতে চড়ে র‌্যালিতে অংশ নেন আইভী। তার গাড়ির পেছনে ট্রাক নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। আগে-পিছে ছিল নেতাকর্মীদের ঢল। ব্যান্ড পার্টি, সাউনবক্স, মাইকসহ রংবেরংয়ের ফেস্টুন নিয়ে তারা মিছিলে অংশ নেন। এ সময় তাদের ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন, আইভী আপার সালাম নিন নৌকা মাকায় ভোট দিনসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় আইভী হাত নেড়ে নেতাকর্মী ও আশপাশের জনগণের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি নিজেও মাঝে মধ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্লোগানে কণ্ঠ মেলান। তবে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগের মুখেই ছিল না মাস্ক।

আচরণবিধি ভেঙে আইভীর প্রচারণায় এমপি বাবু : এদিকে মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচনি সভায় যোগ দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। নগরীর দুই নাম্বার রেলগেটে সভা চলাকালে তিনি সেখানে উপস্থিত হন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণায় কোনো সংসদ সদস্যের অংশ নেওয়া স্পষ্টত আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও বাবু আইভীর প্রচারণায় যোগ দেন। বিকাল তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেটে সড়ক বন্ধ করে ৪টি ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সভা শুরু হয় আইভীর। সাড়ে তিনটার পর মঞ্চে আসেন সংসদ সদস্য বাবু। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন তিনি। পাশাপাশি মঞ্চে তাদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন এই সংসদ সদস্য। পরে বিকাল তিনটা ৫০ মিনিটে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান নজরুল ইসলাম বাবু। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনি প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। ২০০৪ সালে আচরণবিধিতে এই ধারা সংযোজন করা হয়। তবে তা অমান্য করে এর আগেও কয়েকবার প্রকাশ্যে আইভীর প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে তাকে।

আইভীর সংবাদ সম্মেলন : এদিকে প্রচারের শেষ দিন শুক্রবার সকালে ফতুল্লার দেওভোগে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন আইভী। তিনি বলেন, এখানে কিন্তু আইভীকে পরাজিত করার জন্য অনেকগুলো পক্ষ এক হয়ে গেছে। সেই পক্ষটা ঘরের হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে, সব মিলে গেছে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়, কীভাবে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভোটকে ঝামেলা করানো যায়। কিন্তু সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুরের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইভী বলেন, সহিংসতা আমি মনে করি না আমার তরফ থেকে এ রকম কিছু হবে। কারণ আমার ওই ধরনের কোনো বাহিনী নেই। আমি কোনোদিন সহিংসতা করিওনি।

নির্বাচনে সহিংসতা হলে নৌকারই ক্ষতি হবে মন্তব্য করে গত দশ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র পদে থাকা আইভী বলেন, সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। আমার ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি একটি পক্ষ তাই চাচ্ছে? আমার নির্বাচন সবচেয়ে বেশি জমজমাট। সেই জায়গাগুলোর মধ্যে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। নারী ও তরুণ ভোটাররা ‘আওয়ামী লীগের পক্ষেই ভোট দেবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন নৌকার প্রার্থী। তিনি বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাআল্লাহ। তাই আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংসতা করে, তাহলে আমার মনে হয় সেটা ঠিক হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, এ ব্যাপারে যেন সজাগ থাকে তারা।

কারা সহিংসতা করতে পারে বলে আইভী আশঙ্কা করছেন-সেই প্রশ্ন তার সামনে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, যারা বাধা দেয় বা সহিংসতা করে তারা একটা সময় গিয়ে এক হয়ে যায়। আপন আর পর কী? এখানে নির্বাচনটা হচ্ছে আইভী ভার্সেস অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে অনেক পক্ষই এক হতে পারে। ‘বহুপক্ষের’ খেলা বন্ধ করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রে কোনো আবেদন রেখেছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে আমি ওইভাবে আলাপ করিনি। গত ২৮ তারিখ থেকে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। আমার মনে হয় নির্বাচনের পরে এগুলো কেন্দ্র দেখবে। তাছাড়া দলের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপার তো, এ ব্যাপারে আমার কথা না বলাটাই যুক্তিসঙ্গত।

সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন হলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকারকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করার প্রত্যাশার কথা বলেন আইভী। তিনি বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়, কোথাও যদি কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পাশ করব। এটা আমার চাচা (তৈমুর) নিজেও জানেন যে, আমার এখানে কী অবস্থান। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তৈমুর আলম খন্দকারের করা নানা অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে আইভী বলেন, উনার অভিযোগগুলো দিয়ে আমাকে দুর্বল করার কোনো সুযোগ নেই। আমাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। আমি খুব স্ট্রং মনোবলের মানুষ। আমি আমার জায়গায় আছি। আমি সব সময় সহিংসতার বিপক্ষে। আমি উনাকে কালকে বলিনি, উনি আমার ছোটবেলা থেকেই চাচা। উনি আমাকে জন্মের পর থেকেই দেখে এসেছেন। এই বাড়িতেই অজস্রবার এসেছেন, আমার বাবার (নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ চুনকা) কর্মী ছিলেন উনি। তাই উনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও বন্ডিংটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে নৌকার প্রার্থী আইভী বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে যারা নারায়ণগঞ্জ এসেছেন, তারা কাউকে প্রভাবিত করছেন না। এই অভিযোগটা যারা করছেন তা সঠিক নয়। গত তিনটি নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন আরও বেশি ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসাবে দেখছেন জানিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার প্রত্যেকটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল, প্রত্যেকটিরই একেক রকমের ক্যারেক্টার ছিল। এই নির্বাচনও চ্যালেঞ্জবিহীন নয়, বরং বিভিন্ন কারণে আরও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

আইভী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম