ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি
টাকার উৎস বলতে পারেননি পিকে হালদার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেআইনিভাবে ভারতে ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা ঢুকেছে। আর এ টাকা যিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারতে নিয়ে এসেছেন তিনি আবার ভুয়া নথি তৈরি করে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দাবি করেছেন।
আবার কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও তার উৎস বা রোজগারের ভারতীয় তথ্য দিতে পারেননি। ব্যাংক জালিয়াতি করে ফেরার বাংলাদেশি পিকে হালদারের জেল হেফাজত চেয়ে এমনই দাবি করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষে সরকারি কৌঁসুলি অরিজিৎ চক্রবর্তী।
শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। বহু বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও তার উৎস বা রোজগারের ভারতীয় তথ্য দিতে পারেননি পিকে হালদার।
১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেন তিনি। পিকে হালদারসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দেন বিচারক সৌভিক ঘোষ। এ আদেশের ফলে পিকে হালদারসহ আটক বাকিদের ৭ জুন ফের আদালতে হাজির করা হবে। অবশ্য জেলে থাকলেও প্রয়োজনে তাদের ফের জেরা করতে পারবেন ইডির গোয়েন্দারা।
অভিযুক্ত পিকে হালদারের আইনজীবী হায়দার আলী ও সোমনাথ ঘোষ কোর্টে বলেন, আসামিরা ১৪ দিন ধরে ইডির রিমান্ডে ছিলেন। এ সময় তদন্তকারীরা কী করেছেন? আসলে উনারা সময় নষ্ট করছেন। এতই যদি তাদের বিদেশি বলা হয়, তাহলে ফরেনার অ্যাক্টসে মামলা দিচ্ছে না কেন?
উত্তরে সরকারি আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এটা এত সহজ ব্যাপার নয়। এ টাকা বাংলাদেশের। অর্থ বাংলাদেশের ব্যাংকের। ভারতেও পিকে হালদার তার প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। এর সঙ্গে ইডি যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছে তার কোনো সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে এখন অনুসন্ধান চলছে।
আদালতের বাইরে আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী বলেন, আমরা পিকে হালদার নামে কাউকে চিনি না। আমরা যার হয়ে মামলা করছি তিনি শিবশঙ্কর হালদার এবং তিনি ভারতীয়।
