Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফ্রিজ উৎপাদনে ওয়ালটন

তোফায়েল আহমেদ চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফ্রিজ উৎপাদনে ওয়ালটন

প্রশ্ন : আপনাদের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরুটা কীভাবে হয়েছে?

তোফায়েল আহমেদ : এক সময় ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্যই আমদানি হতো। ২০০৭ সালে ওয়ালটন দেশেই ফ্রিজ উৎপাদন প্ল্যান্ট গড়ে তোলে। পরের বছর ২০০৮ সাল থেকেই পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যায় ওয়ালটন। এর মাধ্যমে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প উৎপাদন খাতে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। ওয়ালটনের মাধ্যমে দেশে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য দিয়ে আমদানিকারক দেশ থেকে প্রথমে উৎপাদনকারী এবং এরপর বাংলাদেশ রপ্তানিকারী দেশে পরিণত হয়। গৃহে ব্যবহৃত ফ্রিজ ও ফ্রিজারের পাশাপাশি কমার্শিয়াল ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।

প্রশ্ন : আপনাদের ফ্রিজের বিশেষত্ব কী?

তোফায়েল আহমেদ : ফ্রিজে নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ঘটাতে আমাদের নিজস্ব রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগ প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলছে। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম নাইন-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল মোডের ফ্রিজ উন্মোচন করেছে ওয়ালটন। একই সঙ্গে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম উৎপাদনকৃত ফোর-ডোর রেফ্রিজারেটর। জায়ান্টটেক সিরিজের এসব ফ্রিজের মধ্য দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে জায়ানটেক সিরিজের এসব ফ্রিজ পরিচালনা করার পাশাপাশি স্মার্ট কন্ট্রোল, ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, কাউন্টডাউন ক্লক, অনলাইন রেসিপি, ক্লক, ক্যালেন্ডার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ফিচার পাচ্ছেন। ওয়ালটনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ফ্রিজ উৎপাদনের যুগে প্রবেশ করেছে।

প্রশ্ন : ঈদের প্রস্তুতি কেমন?

তোফায়েল আহমেদ : ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়। বিশেষ করে কুরবানির ঈদে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেশি থাকে। সারা বছর যে পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রি হয়, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তার প্রায় ৬০% ফ্রিজ বিক্রি হয়। এই ঈদবাজারে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের ৫০ লিটার থেকে ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার ২৫০টিরও বেশি সর্বাধুনিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এসব ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ফিচার ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের এআইওটিবেজড স্মার্ট সাইড বাই সাইড, গ্লাস ডোর, বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বাধিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য।

প্রশ্ন : ঈদের ছাড় দিচ্ছেন কিনা?

তোফায়েল আহমেদ : কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮। এই সিজনে ক্রেতাদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার অথবা ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন গাড়ি ফ্রিসহ লাখ লাখ উপহার। এ সুবিধা থাকবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩ জন ক্রেতা গাড়ি উপহার পেয়েছেন।

প্রশ্ন : আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

তোফায়েল আহমেদ : বর্তমানে ফ্রিজসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এজন্য বিভিন্ন দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রোডাক্ট ডেভেলপ ও উৎপাদন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে ফ্রিজসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২ সালে ওয়ালটনের বিক্রীত ফ্রিজগুলোর মধ্যে ৯ শতাংশের বেশি রপ্তানি থেকে এসেছে। যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রধান দেশগুলোতে উপস্থিতি নিশ্চিত এবং রেফ্রিজারেশন খাতে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন। অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রধান দেশগুলোতে ফ্রিজসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশ্ববাজারেও শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটির।

ফ্রিজ ওয়ালটন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম