Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

আ.লীগের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের

আমাদেরও একদফা : শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন নয়

নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে বিএনপির একদফা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আমাদেরও একদফা : শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন নয়

ফাইল ছবি

সরকার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি যে একদফার আওয়াজ তুলেছে, তার বিপরীতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও একদফা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদেরও দফা একটা। শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই হবে। শেখ হাসিনাই নেতৃত্ব দেবেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে তাদেরও (বিএনপির) একদফা, আমাদেরও একদফা। আমাদের একদফা সংবিধানসম্মত নির্বাচন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। আগেও কাঁথা-বালিশ নিয়ে লোক আনার চেষ্টা করেছে। আগে স্বপ্ন ছিল ডিসেম্বরের, সেই স্বপ্ন দেখে গরুর হাটে গিয়েছিল। এখন আরেক স্বপ্ন দেখছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ! তত্ত্বাবধায়ক সরকার! ওই স্বপ্নও শেষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নয়াপল্টনের কাদাবালিতে আটকে গেছে। বৃষ্টি পড়েছে, বৃষ্টির পানি নয়াপল্টনে কাদাপানিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে বিএনপির একদফা আটকে গেছে।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে, নির্বাচন পর্যন্ত। মাঠ ছাড়বেন না। যখনই ডাক দেব শেখ হাসিনার নির্দেশে তখনই মাঠে চলে আসবেন। কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করবেন না। তিনি আরও বলেন, কোনো বাধা দেব না। কাউকে আক্রমণ করতে যাব না। ঢাকায় বিদেশে বন্ধুরা এসেছেন। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। আমাদেরও লক্ষ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, আমরা তাদের প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগ যখন খেলতে নামবে তখন কোনো অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না। প্রস্তুত হয়ে যান। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় তারা ভেসে যাবে। আজ সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে হিংসা করে। যারা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল চায়নি, একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন চায়নি, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পছন্দ হয়নি, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়ন যাদের পছন্দ হয় না, তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করবে না।

গণতন্ত্রের শত্রুদের সঙ্গে কোনো আপস নয় মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী অনেক দয়া দেখিয়েছেন। ২১ আগস্ট তাকে হত্যার জন্য হামলা করার পরও কোকোর মৃত্যুর পর তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দয়ালু কন্যা শেখ হাসিনা। দরজা বন্ধ। বাইরের গেট বন্ধ। শেখ হাসিনাকে তারা ঢুকতে দেয়নি। এই অপশক্তি, গণতন্ত্রের এই শত্রুদের সঙ্গে আপস আওয়ামী লীগ করতে পারে না। এ সময় আগস্টে শোকের মাসে কর্মসূচির পাশাপাশি গণসংযোগ চালানোর আহ্বান জানান তিনি। শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানার ছবি ছাড়া আর কারও কোনো ছবি দিয়ে প্রচার না চালাতে নেতাকর্মীদের বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপির নৈরাজ্যের চেষ্টা ভেস্তে গেছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান যখন মারা গিয়েছিল তখন কারফিউ ছিল। সামনে আমাদের লক্ষ্য আরও উন্নয়ন। পরিষ্কার বলতে চাই-তাদের পরাজিত করেই আমরা এগিয়ে যাব।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক অস্থিরতা করতে চেয়েছে। যা জনতার উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাবে। রক্তে ভেজা সংবিধান সেই সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে।

অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, আজকের সমাবেশের লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। বিএনপি আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না। সন্ত্রাসী করে ক্ষমতায় যেতে চায়। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, এই সমাবেশ প্রমাণ করে আগামী নির্বাচনে যতই টালবাহানা, ষড়যন্ত্র করুক না কেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও আমরা উন্নয়নের সরকার গঠন করব।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একদফা! কিসের দফা? এ দেশের অগ্রগতি আসলে তাদের সহ্য হয় না। ওই হত্যাকারীরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যে হাতে আগুন দেবে, সে হাত ভেঙে দেব। জবাব দেওয়ার জন্যই আজকের এই শান্তি সমাবেশ। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করব। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করব। এটাই আমাদের আজকে শপথ।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বিএনপিকে ‘রাজনৈতিক অপশক্তি’ আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিএনপির একদফার জবাবে বলতে চাই, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, তারা বারবার একদফা দেয়। 

১৩, ১৪, ১৯ এবং ২২ সালের ডিসেম্বরে একদফা দিয়েছে। তাদের একদফা বেলুনের মতো ফেটে যায়। একদফার আন্দোলন মাঠে মারা গিয়েছিল। এবারও তাদের একদফা ফেটে যাবে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে তখন বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে দেখিয়ে দেব সুষ্ঠু নির্বাচন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নৌকার কোনো ব্যাকগিয়ার নেই। নৌকার সব ফ্রন্ট গিয়ার। এবারও নৌকা এগিয়ে যাবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শেখ বজলুর রহমান, হুমায়ুন কবির, নুরুল আমিন রুহুল, আবদুল কাদের খান, হাবিব হাসান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, কৃষক লীগ সভাপতি সমির চন্দ, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

এছাড়া মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ইসহাক আলী খান পান্না, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, মহানগর আওয়ামী লীগের ডা. দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, মোর্শেদ হোসেন কামাল, গোলাম সরোয়ার কবির, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, আনিসুর রহমান, আজিজুল হক রানা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল তিনটার সময় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন বেলা ১টা থেকেই। আড়াইটার সময় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের দুই পাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। 

নির্ধারিত সময়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে পঞ্চিমে দোয়েল চত্বর, দক্ষিণ ও উত্তরের দৈনিক বাংলা, বলাকা চত্বর এবং ওয়ারী পর্যন্ত জনস্রোত হয়। তিনটার দিকে বৃষ্টির কারণে কিছুটা ছন্দপতন হলেও পরে জনস্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় মোবাইল ফোনের নেট চরম ধীরগতি হয়ে যায়। ওবায়দুল কাদের মঞ্চে আসেন বেলা ৫টা ২৬ মিনিটে।

ঢাকা মহানগর ছাড়াও গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে। এছাড়া ঢাকার প্রতিটি সংসদীয় আসনের এমপি, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউন দেন। মঞ্চের সামনে ব্যানারের কারণে জনসে াত দেখতে কষ্ট হয়-এজন্য কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার ব্যানার নামাতে তাগাদা দিলেও কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ নেতারা বারবার আহ্বান জানালেও কেউ কথা শোনেনি। ব্যানার নামানোর আহ্বান জানিয়ে হয়রান হয়ে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন নেতারা।

শান্তি সমাবেশে দুপুর দেড়টায় মঞ্চের সামনে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। তাতেও কাজ না হওয়ায় কয়েকজন নেতা মঞ্চ থেকে নেমে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেন। ২৩ শর্তের বিনিময়ে শান্তি সমাবেশের অনুমতি পেয়েছিল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগও। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কয়েকটি শর্ত মানতে পারেনি আওয়ামী লীগ। শর্ত অনুযায়ী বেলা তিনটায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু করার কথা। সমাবেশ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের আগে। বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করার শর্ত থাকলেও তা শেষ হয় সাড়ে ছয়টার দিকে।

আড়াইশ গাড়িবহর নিয়ে শান্তি সমাবেশে জাহাঙ্গীর আলম : গাছা (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আড়াইশ গাড়িবহর নিয়ে যোগ দিয়েছেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি এই সমাবেশে যোগ দেন বলে জানা গেছে। 

জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশ সফল করতে আমরা গাজীপুর থেকে আড়াইশ গাড়িতে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে যোগ দিয়েছি। যাতে ঢাকাকে কোনোভাবে কেউ অশান্ত করতে না পারে সেটাকে সাপোর্ট দিতেই আমরা এ শান্তি সমাবেশে এসেছি।’ 

দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলায় আমি গাজীপুর থেকে কয়েক হাজার লোক নিয়ে যোগ দিয়েছি। এতে বাস, মিনিবাস, ট্রাকসহ প্রায় ২৫০ গাড়ি রয়েছে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং ট্রেনেও ঢাকায় গিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন।’ 

অপরদিকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানও বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঢাকায় শান্তি সমাবেশে যোগ দেন। গাজীপুর মহানগর থেকে প্রায় ১০ হাজার দলীয় নেতাকর্মী তার সঙ্গে এ সমাবেশে যোগ দেন বলে তিনি দাবি করেন।
 

সরকার বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম