Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

নেপথ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ‘সম্পর্ক’

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে হারুন প্রত্যাহার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে হারুন প্রত্যাহার

পুলিশের নির্যাতনে আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈমের পাশে মা নাজমুন নাহার। রাজধানীর একটি হাসপাতালে রোববার -যুগান্তর

ছাত্র পেটানো, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, কনস্টেবলকে চড় দেওয়াসহ নানা ঘটনায় সমালোচিত রমনার এডিসি হারুন এবার প্রত্যাহার হলেন থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩৩ ব্যাচের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা হারুনের ‘সম্পর্কে’র জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত। ওই নারী পুলিশ সদস্যের স্বামীর (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা) উপস্থিতিতেই শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেদম পিটিয়ে আহত করেন হারুনসহ ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য। 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীই ছাত্রলীগ নেতাদের ডেকে নিয়েছিলেন। পরে তার স্বামীকেও মারধর করা হয় থানায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাদের থানা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে এই তিনজনের মোবাইল ফোন জিম্মায় নিয়ে সব ধরনের তথ্য ডিলিট করে দেন এডিসি হারুন ও তার সহযোগী পুলিশ সদস্যরা। ভুক্তভোগীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। হারুণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

হামলায় আহতরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আহতদের স্বজনরা হারুণের চাকরিচ্যুতি ও গ্রেফতার দাবি করেছেন। এ অবস্থার মধ্যে রোববার দুপুরে এডিসি হারুনকে রমনা জোন থেকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। 

দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এডিসি হারুন অবশ্যই অন্যায়ের শাস্তি পাবেন। পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। রাতে পুলিশ সদর দপ্তর তাকে এপিবিএন-এ বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ডিএমপির এক এডিসি এ বিষয়ে জানাতে রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান।

আহত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম। এই দুজনের বাড়িই গাজীপুরে। অভিযুক্ত নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীর বাড়িও গাজীপুরে। 

তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। নাঈম যুগান্তরকে বলেন, এলাকা ও সংগঠনের বড় ভাই হিসাবে মোবাইলে তার ফোন পেয়ে শাহবাগে যাই। তখনো এডিসি হারুন ও নারী কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। পরে ঘটনা বুঝতে পারি। আমরা ভেবেছিলাম হারুন যেহেতু অপরাধ করেছে, সে দ্রুত নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্থান ত্যাগ করবে। কিন্তু তা না করে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে উলটো আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমার দাঁত, চোখ, মাথা ও বুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠোঁটে পাঁচটি সেলাই লেগেছে।

শনিবার মারধরের পর রাজধানীর মগবাজারের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি হন আহত নাঈম। রোববার হাসপাতালটির ১১ তলার কেবিনে যুগান্তরের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন নাঈম, তার স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনরা। তারা জানান, এডিসি হারুণের সঙ্গে ৩৩ ব্যাচের ওই নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তার স্বামী সন্দেহ করে আসছিলেন। 

এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা ধরনের টানাপোড়েন চলছিল। শনিবার রাতে এডিসি হারুন ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালের চতুর্থতলায় অবস্থান করছিলেন। এ খবর পেয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী সেখানে যান। স্ত্রীকে হারুনের সঙ্গে দেখে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ সময় হারুনের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এর মধ্যে নাঈম ও মুনিম সেখানে গিয়ে হাজির হয়। তখন হারুন শাহবাগ থানার ওসি তদন্তকে ডেকে আনেন। তারা ওই নারী কর্মকর্তাকে কৌশলে হাসপাতাল থেকে বের করে নেন। পরে নারী কর্মকর্তার স্বামী, নাঈম ও মুনিমকে থানায় নিয়ে পরিদর্শক (তদন্ত)-এর রুমে ঢোকানো হয়। থানায় নেওয়ার পথেই তাদের মারধর শুরু হয়।

আনোয়ার হোসেন নাঈম যুগান্তরকে বলেন, থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের মারধর শুরু করে। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ জোর করে বড় ভাইসহ চারজনকে লিফটে করে নিচে নিয়ে আসেন। এরপর আলাদাভাবে আমাদের থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাটি ফোন করে আমি রমনা বিভাগের ডিসিকে জানাই। ডিসি তখন নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদকে শাহবাগ থানায় যেতে বলেন। 

এডিসি শাহেন শাহ আসার আগেই আমার ওপর শুরু হয় হামলা। আমি এডিসি হারুনের কাছে নিজের প্রতিষ্ঠান ও সাংগঠনিক পরিচয় দিই। এতেও তারা থামছিল না। শুরুতে ওসি তদন্তের রুমে ঢুকিয়ে হারুন মারধর শুরু করে। এর মধ্যে এসআই আব্বাস এবং বুকের নেমপ্লেটবিহীন দাড়িওয়ালা আরেক এসআই মারাত্মকভাবে মেরেছে। তিনি আরও বলেন, থানায় গিয়ে দেখি, ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। 

এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন। ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০-১৫ জন আমার ওপর হামলা করে। আমার মুখে কিল-ঘুসি মারেন। এক পর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারতে থাকেন। এতে আমার কয়েকটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যেই আমি অচেতন অবস্থায় যখন ফ্লোরে পড়ে থাকি তখন এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ ও ডিবির আরও দুই এডিসি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে এবং পরে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে নেওয়া হয়।

শরীফ আহমেদ মুনিম বলেন, দাড়িওয়ালা এক এসআই আমার মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত করেন। পুলিশ সদস্যরা আমাদের ফোন কেড়ে নেন। এরপর ফোনের সব ডাটা ডিলিট করে দেন। নাঈমকে মারাত্মকভাবে আহত করে তারা ভয় পেয়ে যায়। পরে মূল ঘটনা আড়াল করতে পুলিশ তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নেয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে এডিসি হারুনের বক্তব্য জানতে রোববার তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন অবশ্যই অন্যায়ের শাস্তি পাবেন। রোববার দুপুরে আফতাবনগরের পাসপোর্ট অফিসের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা যে করেছে, পুলিশ হোক, যে-ই হোক, যে অন্যায় করে তার শাস্তি অবশ্যই হবে। কেন করেছে, কী করেছে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করব। তার এই পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ 

এডিসি হারুন সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী-সহকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছেন। এখন পর্যন্ত তাকে কোনো ধরনের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি-গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ঘটনাটি প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে এসেছে। আমরা এটা দেখে নিই। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, অবশ্যই তিনি যতখানি অন্যায় করেছেন ততখানি শাস্তি পাবেন।’

গ্রেফতার দাবি নাঈমের মায়ের : রাজধানীর শাহবাগ থানায় নির্মম নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম হাসপাতালের ১১ তলার বিছানায় কাতরাচ্ছিলেন। মগবাজারের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলের বিছানায় তার পাশে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন তার মা নাজমুন নাহার। দুই ছেলের মধ্যে বড় সন্তানকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন এই মা। 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাঈমকে নির্যাতনকারী পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাকরিচ্যুতির দাবি জানান তিনি। রোববার বিকালে নাঈমকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি হাসপাতালটির ৬০৩-বি নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন। রোববার দুপুরে তার সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। নাজমুন নাহার বলেন, কোনোদিন ছেলের গায়ে একটা ফুলের টোকাও দিইনি। 

আজ আমার ছেলেটাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ছেলেটা কথাও বলতে পারছে না। মা হয়ে আমি এটা কীভাবে সইব। আল্লাহ তুমি তো আছো। তুমি এর বিচার কইরো। ওদের ছেড়ো না। তিনি বলেন, আমার ছেলে তো কোনো অপরাধ করেনি। সে একটা ঘটনার কথা শুনে থানায় গেছে। বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়েছে।

এরপরও এডিসি হারুন ১০-১৫ জনকে মেরে আমার কলিজার টুকরাটাকে আধমরা করে ফেলেছে। আমার ছেলেটা ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছে না। মুমূর্ষু নাঈমের মা আরও বলেন, আমি আমার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চাই। এডিসি হারুন যেন না ছাড়া পায়। আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হারুনকে গ্রেফতারের দাবি জানাই।

এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন : ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটানোয় পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এডিসি হারুনকে অতি দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালি উল্লাহ বলেন, এডিসি হারুন একজন অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় থেকে আগেও তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিকের নির্মমভাবে পিটিয়েছেন। শনিবার রাতে তিনি ঢাবির দুজন শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জিএম সাদী বলেন, এডিসি হারুন তার ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে অনৈতিকভাবে দুজন শিক্ষার্থীকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছেন। 

প্রচলিত আইনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ-বারডেম হাসপাতালে শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুন আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে তাদের থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়।

ঢাবির ১২ হল শাখা ছাত্রলীগের বিবৃতি : ঢাবি প্রতিনিধি জানান, ছাত্রলীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে পেটানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি হল শাখা ছাত্রলীগ। অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। রোববার পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানিয়েছেন ১২টি হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। 

বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি হল শাখা হলো-সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা, মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখা, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা, অমর একুশে হল শাখা, জগন্নাথ হল শাখা, কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা, রোকেয়া হল শাখা ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা।
 

প্রত্যাহার

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম