কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র সূচনা
দিনভর ভোটকেন্দ্র ফাঁকা, অনেক কেন্দ্রে সাক্কুসহ তিন প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না
কাজী জেবেল, তাবারক উল্লাহ কায়েস ও আবুল খায়ের, কুমিল্লা থেকে
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা ও জল্পনা-কল্পনা ছিল, ভোটের মাঠে তাই-ই দেখা গেল। এ উপনির্বাচনের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের প্রায় সবকটিতে দিনভর ভোটার লাইন দেখা যায়নি। এ কারণে ভোটাররা এসেই তাদের ভোট দিয়ে চলে গেছেন। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের ছোট ছোট লাইন ছিল। কমসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। তিনি কুমিল্লা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে। এ সিটি করপোরেশনে তিনিই প্রথমবার নারী মেয়র নির্বাচিত হলেন।
এ নির্বাচনে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বাস প্রতীকে ডা. তাহসীন বাহার সূচনা পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক দুইবারের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট। দুজনের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ২১ হাজার ৯৯৩টি। অপর দুই প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট এবং নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৭৩ ভোট। এ নির্বাচনে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮টির মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯৪ হাজার ১১৫ জন। ভোট পড়ার হার ৩৮.৮২ শতাংশ। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর কুমিল্লা জিলা স্কুলের অডিটরিয়ামে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জেলা স্কুল প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, আমি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার ওপর আস্থা রাখায় নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমার সততা, নিষ্ঠা এবং কাজের মাধ্যমে জনগণের ভালোবাসার ঋণ শোধ করব। নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। একটা স্মার্ট এবং আধুনিক নগর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে আমার। কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যের শহর। এই ঐতিহ্যকে ধারণ এবং লালন করেই আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে।
ওই সময়ে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি ছাড়া উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে ডা. তাহসীন বাহার সূচনার সমর্থকদের আধিপত্য ছিল। মনিরুল হক সাক্কুর সমর্থকদের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। অনেক ভোটকেন্দ্রে সাক্কুর পোলিং এজেন্টও পাওয়া যায়নি। অনেক কেন্দ্রে সকালে পোলিং এজেন্ট থাকলেও দুপুরের আগেই তারা বেরিয়ে যান। যদিও ভোটগ্রহণ চলাবস্থায় মনিরুল হক সাক্কুসহ তিন প্রার্থী অনেক কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন। যদিও ওই অভিযোগ ‘প্রোপাগান্ডা’ আখ্যায়িত করেন ডা. তাহসীন বাহার সূচনা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে গত ১৮ ডিসেম্বর মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ কারণে শুধু মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নবনির্বাচিত মেয়র বর্তমান পরিষদের বাকি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা আগ থেকেই ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। শুধু মেয়র পদে ভোট হওয়ায় সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম ছিল। এছাড়া নির্বাচন ঘিরে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। গতকাল মো. মনিরুল হক সাক্কু, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ও নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিমের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেওয়ার তৎপরতা খুব একটা দেখা যায়নি। এসব কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। নির্বাচন কমিশনে পাঠানো রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিবেদনে কম ভোটার উপস্থিতির চিত্র দেখা গেছে। ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টার প্রতিবেদনে ১০.২৮ শতাংশ, বেলা সাড়ে ১২টার প্রতিবেদনে ২৩.৯০ শতাংশ ও বেলা আড়াইটায় ৩২.৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৮.৮২ শতাংশ।
ভোটকেন্দ্র ফাঁকা, নেই ভোটার : সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিন যান যুগান্তর প্রতিবেদকরা। এতে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বাস প্রতীকের সমর্থকরা ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান করছেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরেও ছিল তাদের সরব উপস্থিতি। কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে টেবিল ঘড়ির সমর্থকদের ভোটার স্লিপ দিতে দেখা গেছে।
গতকাল বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ওই সময়ে এ কেন্দ্রের আটটি বুথের মধ্যে তিনটিতে তিনজন ভোটার ছিলেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছেন। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবু নাঈম যুগান্তরকে বলেন, এ কেন্দ্রের ২৮৯৮জন ভোটারের মধ্যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৯০ জন ভোট দিয়েছেন। এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৫৪৫ জন ও সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৫১ জন ভোট দিয়েছেন। দুপুর ২টার পর থেকে কয়েকজন ভোট দিতে এসেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও মনিরুল হক সাক্কুর এজেন্টরা ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রে আসেন। দুপুরের আগেই তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে না জানিয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। যাওয়ার সময় তাদের জমা রেখে যাওয়া মোবাইল নিয়ে যাননি।
ওই কেন্দ্রের কয়েক গজ পাশেই হাজী আক্রাম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে দুটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ওই দুই কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। কলেজ শাখার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ দুপুর ৩টা ৩৭ মিনিটে এ প্রতিবেদককে বলেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের ছয়টি ভোটকক্ষে ২৩২৬ জন ভোটারের মধ্যে ৬১১টি ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের ২৬.২৬ শতাংশ। এ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, ভোট শুরুর পর মনিরুল হক সাক্কুর কোনো পোলিং এজেন্ট আসেননি। বিকালে ফয়েজ উল্লাহ নামের একজন এজেন্ট এসেছেন ভোটের ফলাফল নেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমাদের এজেন্টদের আসার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় তারা কেন্দ্রে আসতে পারেননি।
এর আগে বেলা ১টার দিকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ভিক্টোরিয়া কলেজের (বিজ্ঞান ভবন) কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ভোটার নেই বললেই চলে। দু-চারজন ভোটার কেন্দ্রে এসে কোনো সিরিয়াল না দিয়েই ভোট দিয়ে চলে গেছেন। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নাঈমুর রহমান জানান, ১০৪৭ জন ভোটারের এ কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ১৬৮টি ভোট পড়েছে।
এ ভবনের কয়েক গজ পাশেই অবস্থিত ৪২ নম্বর ভোটকেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। ওই কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট দেন ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। এ কেন্দ্রের ৩৩১৪ জন ভোটারের মধ্যে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৪১টি ভোট পড়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সোহেল রানা। তিনি জানান, এ কেন্দ্রের সব কক্ষে তাহসীন বাহার সূচনার পোলিং এজেন্ট রয়েছেন। কিন্তু বাকি তিন প্রার্থীর কয়েকজন এজেন্ট এলেও তারা আমাকে না জানিয়ে চলে গেছেন। কোনো এজেন্টকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, হয়তো ভোটারদের আগ্রহ কম। অনেকে কুমিল্লার বাইরে চাকরি করেন, তারা আসেননি। তবে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর কথা শুনিনি।
তবে তুলনামূলক বেশি ভোটার দেখা গেছে, ১নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, ২নং ওয়ার্ডের ছোটরা মালেকা-মমতাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭নং ওয়ার্ডের চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ কয়েকটি কেন্দ্রে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ছোট ছোট লাইন দেখা গেছে।
পুলিশের সামনে গোলাগুলি : জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ১৯নং ওয়ার্ডের মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সুজন নামে ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি গুলিবিদ্ধ ও জহিরুল ইসলাম এবং তুহিন নামে অপর দুজন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ অন্তু নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১০টার দিকে এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই দুদল যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্রলীগ নেতা সুজন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বাস প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। এ সময় ঘোড়া প্রতীকের জহিরুল ও তুহিনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। এতে আহত সুজন জহিরুল ও তুহিনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় আহত জহির বলেন, ভোটকেন্দ্রের পাশে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় বাস প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক আমাকে ও তুহিনকে পুলিশের সামনেই হামলা করে।
প্রিজাইডিং অফিসার হাসান আহমেদ কামরুল বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের সীমানার বাহিরে ঘটেছে। আমি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে তখনই জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কিছু যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যাওয়ার পর তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় জড়িত অন্তু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত বাকিদের গ্রেফতার করা হবে।
ভোট দিয়ে যা বলেন তিন প্রার্থী : সকাল ১১টার দিকে ৪২নং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভোট দিয়েছি। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি আমার জয়ের ফল মেনে নেব। প্রতিপক্ষ তিন প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওইসব প্রোপাগান্ডা। এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। ওই ধরনের ঘটনা ঘটলে তা প্রকাশিত হতো।
এর আগে সাড়ে ৯টার দিকে হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন মনিরুল হক সাক্কু। এ উপনির্বাচনে ভোটার ও এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সাক্কু বলেন, ভোটের পরিবেশ একদমই ভালো না। ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। বাস প্রতীকের লোকজন ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, তিনটি ওয়ার্ডে খবর নিয়েছি কোথাও আমার কোনো এজেন্ট ঢুকতে পারেনি।
সকাল ১০টার পর ভোট দেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার। বলেন, ভোট শুরুর আগ থেকেই আমি অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে, আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। আমি তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজের ভোট দিতে দেরি হয়েছে। ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার মতো সময় এখনো হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চিহ্নিত ক্যাডাররা পাড়ামহল্লায় ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে। অনেক জায়গায় আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে।
