Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রোজায় তীব্র যানজটে নাকাল নগরজীবন

রাজধানীর সড়কে দোকান বসতে দেবে না পুলিশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর সড়কে দোকান বসতে দেবে না পুলিশ

রোজার প্রথম ১০ দিন তীব্র যানজটে এক রকম স্থবির হয়েছিল রাজধানী। বিশেষ করে ইফতারের আগের পরিস্থিতি ছিল নাজুক। ৪০ মিনিটের দূরত্বে পৌঁছতে তিন ঘণ্টাও লেগেছে কোথাও কোথাও। এ অবস্থায় সুষ্ঠু সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে রাজধানীর ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এজন্য ঢাকার সড়কে ব্যবসায়ীদের দোকান বসাতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা এসেছে পুলিশের পক্ষ থেকে। ট্রাফিক বিভাগকে এই কাজে সহযোগিতা করছে ডিএমপি’র অপরাধ বিভাগ।

বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হলেও দেখা যায় যে বিকাল ৫টার পূর্ব থেকে ইফতারের সময়ের পূর্ব পর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশন ও শেষ মুহূর্তে অযাচিত ট্রাফিক কনজেশন তৈরি হয়। তাই ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ সাড়ে ৩টা বা এর কাছাকাছি সময়ে অফিস অথবা কর্মস্থল থেকে বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হন। তাড়াহুড়ো করে কর্তব্যস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল পরিহার করে গতিসীমা মেনে গাড়ি চালান।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অনেক সময় সড়কের পাশে বা বিভিন্ন ইমারত অথবা স্থাপনা সংলগ্ন স্থানে অযাচিতভাবে যানবাহনের পার্কিং পরিলক্ষিত হয়। এগুলো সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণে তিনি যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি না করতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি জানান, রমজানের প্রথম থেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।

গণপরিবহণের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গণপরিবহণে যাত্রী ওঠানামা করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত বাস স্টপেজগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো কিংবা নামানো যাবে না। এক্ষেত্রে সিটি সার্ভিসগুলোকে গেটলক সিস্টেম প্রবর্তন করতে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন টার্মিনালের সম্মুখ প্রান্তে গণপরিবহণগুলো একাধিক স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সেটা কিছুতেই কাম্য নয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে ভারী যানবাহন প্রবেশে নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। অনেক সময় সেই সময়সীমা না মেনেই তারা চলার চেষ্টা করে। যাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তাদের চলাচলের বিষয়টি মেনে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মার্কেটকেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সচল রাখার জন্য বিভিন্ন মার্কেটের কমিউনিটি পুলিশ ও ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় করা হয়েছে। তারা ট্রাফিক পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে কাজ করে যাচ্ছে। মার্কেটকেন্দ্রিক অযাচিত পার্কিংয়ের বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। রমজান মাসকে ঘিরে রাস্তায় কোনো ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ডিএমপি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিআরটি প্রকল্পের বেশ কিছু সুফল নগরবাসী ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওরান বাজার এলাকায় নতুন র‌্যাম্প চালু হয়েছে, যা সর্বসাধারণের চলাচলে সর্বোচ্চ ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ডিএমপি ট্রাফিক ডিভিশনের প্রধান ফোকাস মহানগরীর জনসাধারণ। ডিএমপি কমিশনারের দিকনির্দেশনায় জনগণের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত ও সংগঠিত করাই ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। ডিএমপির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে অনেক সংস্থার অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা কাজ করছি।

রাজধানী সড়ক দোকান পুলিশ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম