Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

পুলিশের অভিযান অব্যাহত

সারা দেশে আরও ২০০০ গ্রেফতার

ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের ১৫০ শীর্ষ নেতাসহ গ্রেফতার ১১১৭ * মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২,১০১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। দুষ্কৃতকারীদের দমনে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসাবে গ্রেফতারের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে বিএনপির নেতাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। তাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করছে। যুগান্তর প্রতিবেদক, ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ আরও চার সিনিয়র নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসমবায় বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক সনি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মঙ্গলবার তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এদিকে এর আগে গ্রেফতার নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রামপুরা থানার একটি নাশকতার মামলায় মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতাকারীসহ বিএনপি-জামায়াতের ৫১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শেরেবাংলা নগর থানার ৬, ক্যান্টনমেন্ট ২, দক্ষিণখান ১, ধানমন্ডির চারজনসহ মোট ১৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার বিভিন্ন থানার এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম ১, উত্তরা পূর্ব ২৪, বিমানবন্দর ২, ধানমন্ডি ৭, যাত্রাবাড়ী ৪৪, মুগদা ৬, রামপুরা ১৩, সূত্রাপুর ৫, ওয়ারী ৪১, বাড্ডা ৫০, ভাটারা ১৮, বংশাল ৪, কোতোয়ালি ৫, গুলশান ৪, বনানী ৩৮, কদমতলী ৪৪, তুরাগ ১২, রূপনগর ১২, পল্লবী ১৮, কলাবাগান ৩, নিউমার্কেট ৮, তেজগাঁও ৩৪, হাতিরঝিল ১৪, মোহাম্মদপুর ৮, আদাবর ৪, মিরপুর ৩৮, শেরেবাংলা নগর ২, মতিঝিল ৭, পল্টন ৪, শাজাহানপুর ৬, রমনা ২, শাহবাগ ৬, কাফরুল ৬ ও আশুলিয়া থানার ২১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে রাজধানীতে ১ হাজার ১১৭ জনের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা ১৩০টির বেশি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওদিকে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাসহ ১৫০ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা। ডিএমপির মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, গত কয়েক দিনের সহিংসতায় দুষ্কৃতকারীরা ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ট্রাফিক বিভাগের গুলশান এবং রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনারের (এসি) কার্যালয়। এছাড়া রামপুরা, মহাখালী ও উত্তরা ট্রাফিক বক্সসহ ৫৪টি ট্রাফিক বক্স আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প এবং পুলিশের ২৩৫টি স্থাপনায় হামলা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুষ্কৃতকারীরা ২৮১টি যানেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

রাজশাহী : জেলা ও মহানগর পুলিশের ১৬ মামলায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ১৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াত এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জানান, ৯ থানায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৬ জনকে। প্রতিটি মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০ জন। জেলার ৯ থানা পুলিশ ছাড়াও ৬টি বিশেষ টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। জেলা পুলিশের অভিযানে রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, তানোর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, রাজশাহী জেলা পূর্ব জামায়াতের আমির নজমুল হক, বাঘার বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ রঞ্জু, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রবিউল আলম মিলু, পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ও বাগমারার যুগিপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে নতুন ও পুরোনো মামলায় আদালতে চালান করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের বোয়ালিয়া, চন্দ্রিমা ও মতিহার থানায় মোট ৭টি নাশকতার মামলার নামীয় ও অজ্ঞাতসহ আসামি প্রায় আড়াই হাজার। রাজশাহী মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জামিরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাসিকের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করেন, রাজশাহীতে পুলিশ নির্বিচারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।

বরিশাল : মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানার প্রতিটি বিএনপি নেতাকর্মীর বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে বিএনপি নয়, গ্রেফতার হওয়া সবাই নাশকতাকারী। বরিশাল মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বরিশাল জেলা ও মহানগরের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, সবার বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বরিশাল জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজ বাবলু বলেন, সরকার নিজেদের দোষ ঢাকতে বিএনপির ওপর খড়গ চালাচ্ছে। যারা বহু আগে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাণ্ডব চালাচ্ছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, নাশকতাকারীরা যে দলেরই হোক তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বানারীপাড়ায় চাখার ব্র্যাক অফিসের সামনে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে ৫টি ককটেলসহ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির আরও ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এরপর অভিযানে গ্রেফতার আসামিরা হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক, মুলাদীর জাহিদ হাওলাদার সুমন ও আলামিন রাঢ়ি, হিজলার বাসিন্দা আবদুল মতিন তালুকদার ও মেহেন্দিগঞ্জের শফিকুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম : মহানগর বিএনপির সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, বুধবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিনশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মো. আলমগীর, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা কাজী ইসমাইল, নগর যুবদলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম বখতেয়ার উদ্দিন, কোতোয়ালি থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুর হোসেন নুরু, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইউসুফ সুমন, সদরঘাট থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কাউসার হোসেন রাব্বি, বন্দর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের উদ্দিন নয়ন প্রমুখ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১৫ মামলায় ৩২৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

বগুড়া : জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা। সোমবার রাতে মামলার পর পুলিশ শহরের মফিজ পাগলার মোড় থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ নেতার মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

রংপুর : সহিংসতায় ৮ মামলায় ৯৯ জনকে র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখে পাঁচ শতাধিক বক্তিকে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ হাতে রয়েছে কারা এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। আহত ২৫ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ২ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, যারা হামলায় ও ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও অর্থ জোগানদাতা তাদের তালিকা এখন পুলিশের হাতে রয়েছে। সেসব যাচাই করা হচ্ছে। তাদের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন আরও বাকিদের গ্রেফতার করা হবে।

ময়মনসিংহ : মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা আনোয়ার হোসেন সুজনসহ ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। এর আগে কোতোয়ালি, ফুলপুর ও গৌরীপুর থানায় সাতটি মামলায় শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা চারটি মামলায় সতেরশ, ফুলপুরে সাতশ ও গৌরীপুরে ছয়শ জনকে আসামি করা হয়। নগরীর টাউন হল মোড় পরিদর্শনকালে মঙ্গলবার দুপুরে রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৩৩টি মামলা হয়েছে। রেঞ্জের ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। যারা দুষ্কৃতকারী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্যই পুলিশের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। তারা জানান, এ পর্যন্ত ১৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ গরুর হাট থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিলেট : বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৯ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে ১০টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ৪ দিনে ১১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। এদের মধ্যে ৫ জনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে তিনি জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়েরসহ অধিকাংশই জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মী। কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়নি।

ফরিদপুর : নাশকতার মামলায় সোমবার ও মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ভাঙ্গায় ১ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ওসি। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, নাশকতার একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

গাজীপুর : হামলা-সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় গাজীপুরে ৮ থানায় ২৮টি মামলায় ৫০০ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে ২৮টি মামলায় ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতা এড়াতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর : জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পুলিশ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এসবি শাখার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ৭টি মামলা করেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর থানায় দুটি, হাজীগঞ্জ থানায় ৪টি ও শাহরাস্তি থানায় ১টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।

বাগমারা (রাজশাহী) : বাগমারায় অভিযান চালিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার রাবির শেরেবাংলা হলের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলায়। এছাড়া রাবি ছাত্রদলের নেতা রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলার রবিউল ইসলাম ও একই এলাকার পলাশ এবং রাজশাহীর বাগমারা কাহেরপুর পৌরসভার দক্ষিণ কোয়ালিপাড়া গ্রামের মাসুদ রানাকে তাহেরপুরের পৌর এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়া আরও যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে যৌগিপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির সাইদুর রহমান, খাপুর দাখিল মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা রবিউল ইসলাম, গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির উজ্জামান মনি ও ঘনিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাট গ্রামের বিএনপি নেতা সোহেল রানা প্রমুখ।

মানিকগঞ্জ : জেলা বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়কসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে গ্রেফতাররা হলেন-জেলা বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খগেন চন্দ্র মণ্ডল (৫০), দৌলতপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা আসাদুর রহমান মুন্না, আলাউদ্দিন, মনির হোসেন, মিলন মিয়া, হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ মিয়া, আবুল বাসার ও দিপু মিয়া। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার যুগান্তরকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার সবাইকে মানিকগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর : জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মীর সাজেদুল ইসলাম ও জেলা শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ২২ জন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা জানিয়েছেন, নাটোর সদরে ৫ জন, বড়াইগ্রামে বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন আলীসহ ৫, বাগাতিপাড়ায় ৩, সিংড়ায় ২, লালপুরে ২, গুরুদাসপুরে ২ ও নলডাঙ্গা উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওষুধ ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাটোরের সিংড়ার জয়নগর থেকে সোমবার রাতে জয়নাল আবেদিন ওরফে বিদ্যুৎ নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নওগাঁ : নাশকতা ও বিস্ফোরকের পুরোনো মামলায় মঙ্গলবার বিএনপির আরও ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সদর থানায় ২, বদলগাছীতে ২, মহাদেবপুরে ২, আত্রাইয়ে ১, মান্দায় ১, পোরশায় ১, ধামইরহাটে ১ ও রানীনগরে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে জেলার পত্নীতলায় নাশকতার উদ্দেশ্যে জনসমাগম করে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার অজ্ঞাত ৬০ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।

পাবনা : পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে তিন মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নাশকতার মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির দৌলত মেম্বারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার পাঁচটি থানায় অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় ৯, শিবগঞ্জে ৫, গোমস্তাপুরে ৩, নাচোলে ২ এবং ভোলাহাটে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা : নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলার সাত উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করেন আসামিদের অনেকেই। আর কিছু আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।

জয়পুরহাট : জেলার ৫ উপজেলা থেকে মোট ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে গ্রেফতার হওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আটক হয়েছেন ২৫ জন।

ভৈরব : ওসি সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন ভৈরবের জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। গত কয়েকদিনের সহিংস ঘটনার কয়েকটি মামলার ১৬ আসামিকে পুলিশ এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে।

মেহেরপুর : সদর, মুজিবনগর ও গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার নুরুল ইসলাম নুরু, হাবিবুর রহমান হাবিব, মেহেরপুর সদরের সাইফুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান।

লালমনিরহাট : আলাদা দুটি মামলা মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো সদর উপজেলার মিজানুর রহমান, বাবুল মিয়া, মাহবুবুর রহমান, আদিতমারীর আশরাফুজ্জামান, হারুনুর রশীদ, আরিফুল হক, আমিনুল ইসলাম, আসাদুল হাবিব মানিক, হাতিবান্ধার মুমিনুর রহমান, আমিনুর রহমান ও মিজানুর রহমান।

হবিগঞ্জ : পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বানিয়াচংয়ে ৭ জন, শায়েস্তাগঞ্জে ২ জন, বাহুবলে ৩ জন এবং আজমিরীগঞ্জে ৩ জন। মঙ্গলবার বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনা : পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন কৃষক দলের সভাপতিসহ সাতজন। তারা হলেন কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল মোতালেব, সদস্য স্বাধীন মিয়া, জিয়াউর রহমান, সিংহের বাংলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আব্দুল মোতালেবসহ ৭ জন।

গাইবান্ধা : সাঘাটায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাক আহেমদ মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। তারা হলেন-আবিদুর রহমান, কামাল হোসেন, নাছির উদ্দিন, সরওয়ার হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।

টাঙ্গাইল : সহিংসতা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরসহ কয়েকটি ঘটনায় টাঙ্গাইলে চার থানায় আটটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৪২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুই হাজার ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৪১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘাটাইলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪ নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন-জামুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তরিকুল ইসলাম, জামুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আহসান হাবিব সনি, দেউলাবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রুকনুজ্জামান ও থানা ছাত্রদলের সদস্য আসাদুজ্জামান। মধুপুরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন-মেদুয়ারি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম, মল্লিকবাড়ি গ্রামের জহিরুল ইসলাম, হবিবাড়ির আবুল হাসেম, খাইরুল আলম, মাহমুদপুর গ্রামের শাহাদাত মণ্ডল, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মোতালেব হোসেন, ভাণ্ডাব গ্রামের কাউছার মাহমুদ চঞ্চল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চয়ন, শ্রমিক দল নেতা সেলিম মাহমুদ কাদের, যুবদল নেতা মামুন মণ্ডল, ছাত্রদল নেতা শাকিল, যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিন ও ফালান মিয়া। ওসি শাহ কামাল জানান-গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লা : তিতাসে গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য তোফায়েল হোসেন খান ও কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাদশা ভূঁইয়া। মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : হামলা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোনারগাঁয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুনামগঞ্জ : পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার মামুনকে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান, নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

নোয়াখালী : সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠানসহ ৫ পুলিশ আহতের ঘটনায় সুধারাম থানায় দুটি মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার পর রোববার রাতে এক আইনজীবীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম