রাজধানীর গুলশান থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল এ অভিযান চালায়। পরে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন বলেন, রাশেদ খান মেননকে তার বনানীর বাসা থেকে ৫টা ১৫ মিনিটে ডিবি পরিচয়ে আটক করা হয়েছে। তাকে যেহেতু ডিবি নিয়ে গেছে, তাই ডিবি কার্যালয়ে থাকার কথা।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় মেননের নিজ বাসভবন থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা হত্যার কয়েকটি মামলায় ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে করা অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহণমন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (৭) সাইফুল ইসলামের আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মো. জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী এই মামলা করেন। 

বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন। 

মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর চ্যানেল আইর টকশো মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্টে জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসাবে অভিহিত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সেমিনারে বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী।

২০১৩ সালের ১৯ জুলাই ভিন্ন অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জিয়া পরিবার নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। এতে করে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের অন্তত ৩০০ কোটি টাকার সম্মান হানি হয়েছে।