Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রাষ্ট্র পুনর্গঠনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ

নেতৃত্বে নাসীরুদ্দীন, আক্তার-সামান্তা * নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়

যুগান্তর প্রতিবেদন

Icon

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার বিকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সমাবেশের মধ্যদিয়ে এ কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। কমিটিতে ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও ঢাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পদক আক্তার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়াও নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে দেওয়া ছাত্র নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ৫২ জনকে সদস্য হিসাবে কমিটিতে মনোনীত করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর নেতারা বলছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা শিগগিরই তৃণমূল পর্যায়ে সফর করবেন। একই সঙ্গে গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করাও হবে।

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এর আগে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথমেই বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যরা। এ সময় আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন আন্দোলনে নিহত মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (ট্রিপল-ই) মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ মো. আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহের বোন সাইয়্যাদা আক্তার। এরপর লিখিত বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে ফ্যাসিবাদী রেজিমের বিরুদ্ধে একটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সহস্রাধিক শহিদ ও আহত ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মুক্ত হয়েছি এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার সরকার গঠিত হয়েছে। এই অভ্যুত্থানের ঘোষিত লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনো দীর্ঘ রাজনৈতিক ও নীতিনির্ধারণের লড়াই দাবি করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এবারকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা বারবার ব্যক্ত করেছে। ৯০-এর গণআন্দোলনও জনগণকে দীর্ঘমেয়াদে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান বা বন্দোবস্ত জাতির সামনে হাজির করতে পারেনি। কিন্তু, পূর্বেকার লড়াইগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের বলে, যখনই মুক্তিকামী জনতা কোনো একজন ব্যক্তি বা সমষ্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে, তখন জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি দেখা যায়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজপথে নেমে আসা জনতাকে সংগঠিত করা, ৮ আগস্টে গঠিত সরকারকে যুগপৎ সহযোগিতা করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করছি। আমরা মনে করি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সংহতি ও প্রতিরোধের চেতনা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার শক্তি। এই নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে পূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হবে। গণহত্যাকারীদের যথাযথ বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নীতিনির্ধারণ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পূর্বশর্ত।

তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।

আহ্বায়ক কমিটির প্রাথমিক কাজগুলোর কথাও তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। কাজগুলো হলো-ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা, ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা, রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা, দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা, জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা, গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, দেশ পুনর্গঠনে জনতার যে সরকার গঠন হয়েছে-সেখানে কিছু রিফর্মেশন ও রিকনস্ট্রাকশনের কাজ রয়েছে। আমরা সেগুলোকে অতি দ্রুত করতে চাই। আমাদের নিয়ে বিদেশি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের যুবসমাজ, ছাত্র ও সব নাগরিকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেগুলো মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠনের আগে আমরা সার্চ কমিটি গঠন করেছিলাম। সেখানে দেশের সমস্যা তুলে ধরেছি। সবকিছু ভুলে আমরা কিছু মানুষকে একত্রিত করেছি। আন্দোলনের যে গতি তরুণদের মাঝে রয়েছে। সেই গতি নিয়ে তরুণ ও ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন। কারণ একটা রাষ্ট্রের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক দল থাকে না, সেখানে সিভিল সোসাইটি, ব্যবসায়ী, স্বাস্থ্যসেবী, প্রবাসীসহ অনেকে থাকেন। প্রতিটি সেক্টরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারণ আমরা রাষ্ট্র গঠনের কাজে নেমেছি। কোনো দল গঠনের কাজে নামিনি। তবে যদি দেশ রক্ষায় দল গঠনের প্রয়োজন হয়, তা করা হবে।

আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, সমাজের অনেক মানুষ আওয়ামী লীগ হয়েছে এবং সমর্থন দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে আমরা রিডিংশন চাই। তারপর সমাজে রিকনসিলিয়েশন হবে। রিডিংশন না হলে আমরা রিকনসিলিয়েশনে যাব না। আমাদের প্রথম কাজ থাকবে বিচার করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (ট্রিপল-ই) বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী শহিদ মো. আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহের বোন সাইয়্যাদা আক্তার।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা আজ শহিদ মিনারে একত্রিত হয়েছি। অনেকে আনন্দ নিয়ে, আবার অনেকে বেদনা নিয়ে এখানে এসেছেন। তবে ১ মাস আগেও এখানে ভয়হীনভাবে কেউ আসতে পারতেন না। আমরা বুক ভরে কথা বলতে পারতাম না, নিঃশ্বাস নিতে পারতাম না। তবে আজকে অনেকে আনন্দ নিয়ে এলেও আমি এসেছি বকুভরা কষ্ট নিয়ে। কারণ এই আন্দোলনে আমার একমাত্র ভাই শহিদ হয়েছে। তার কথা মনে করলে আমার বুক ভারী হয়ে আসে।

ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইয়্যাদা। তিনি বলেন, আমার শহিদ ভাইসহ সব শহিদ ভাইদের স্বপ্নের এই বাংলাদেশকে হারাতে দেবেন না। তাদের এই ত্যাগকে মূল্যায়ন করে তাদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আর কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবেন না। কেউ যেন আর স্বৈরশাসক হতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকবেন। আমাদের দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে। স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

কোটা আন্দোলনে শহিদ রায়হান হোসেন সাদ্দামের বোন স্বর্ণা আক্তার বলেন, আমার ভাই নিরীহ লোক। যে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু আন্দোলনের সময় আমার ভাইকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। আমার ভাইয়ের সাদা শার্ট রক্তে লাল হয়েছে। এই হত্যার বিচার আমরা চাই।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন : আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এসএম শাহরিয়ার, মানজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এসএম সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ও আকরাম হুসেইন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মূল নেতৃত্ব : মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা। ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এবি পার্টিতে যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন নাসীরুদ্দীন। আখতার হোসেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক। তিনিসহ কিছু শিক্ষার্থী ২০২৩ সালে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি’ নামে একটি ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দেন। গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি প্রতিষ্ঠার আগে আখতার ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে। পরে সেই সংগঠন থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন তারা। কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী এবং নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের নেতা হিসাবে পরিচিত।

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান : আত্মপ্রকাশ পাওয়া ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। রোববার তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সদস্য ফরম বিতরণ করেন। একই সঙ্গে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করছেন তারা।

সংগঠনের নেতা আহমেদ ইসহাক যুগান্তরকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়া শুধু পেশাজীবীদের সদস্য ফরম দেওয়া হচ্ছে। দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজারের অধিক মানুষ ফরম সংগ্রহ করেছেন এবং জমা দিয়েছেন। আশা করি এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, যারা ব্যস্ততার কারণে সরাসরি ফরম নিতে পারছেন না, তারা অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারছেন। ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম