১১ দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা
রিট থেকে সরে এলেন তিন আবেদনকারী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে যে রিট হয়েছে, তা না চালানোর কথা জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী। একই সঙ্গে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও না চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিট দুটি না চালানোর কথা জানান রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, কোনো মামলা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করতে চান, তিনি তখন মামলা প্রত্যাহার করার ইনস্ট্রাকশন দেন। আর আইনজীবী সে হিসাবে কাজ করেন। মক্কেল কখনো বলেন না তিনি কী কারণে ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছেন। সুতরাং আমি তো বলতে পারব না কী কারণে মামলাটা চালানো হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায়, সার্বিক গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তারা (আবেদনকারী) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কোনো মামলা চালাতে না চায়, তখন কার্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়। আবেদনে ১১ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ভুলক্রমে কিছু দলের নাম চলে এসেছে। কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলা মুভ হতো, তাহলে নামগুলো বাদ যেত।
হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন দুটি করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আব্দুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম। একটি রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রিট আবেদনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছিল দলগুলোর বিরুদ্ধে।
অপর রিটে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনের গেজেট কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছিল।
