Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

গভীর রাতে ভাঙল শিক্ষার্থীরা অনশন

কুয়েট উপাচার্যকে সরানো হচ্ছে

Icon

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুয়েট উপাচার্যকে সরানো হচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে সরানো হচ্ছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো-ভিসি)। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। প্রায় একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ইউজিসির তদন্ত টিমের সদস্যরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছিলেন শিক্ষার্থীরা। অনশন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুধবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গত ২ দিন রাতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এর আগে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল দিনে তাদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের এই অনড় অবস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় কুয়েট শিক্ষক সমিতি। এছাড়া জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহারের পাশাপাশি বুধবার থেকে হল খুলে দেওয়া এবং ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি মারামারির ঘটনায় ১৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে যান এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান ও তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনড় অবস্থান দেখান। তিনি অনশন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অনশন কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি তাদের জন্য শঙ্কিত। আমরা তিনজনের একটা কমিটি করেছি। তারা এসে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে আমাদের একটা সুপারিশ দেবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করব। তারা চাইছেন, আমরা এখনই কোনো ঘোষণা দিই, যার মাধ্যমে তারা অনশন শেষ করতে পারেন। আমি তাদের বোঝাতে চেষ্টা করছি যে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আইনি বিষয় আছে। আমরা যাই করি না কেন, সেটা আইন দ্বারা নির্দিষ্ট হতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার নির্দিষ্ট আইন আছে। সেই আইনের মধ্য থেকেই আমাদের কমিটি সুপারিশ করবে বলে আশা করছি। সুপারিশ আমাদের হাতে এলে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সেটা কার্যকর করা যায়।’

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার পর যে পরিণাম হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সে বিষয়ে আমি বলেছি, উনি (অধ্যাপক জাফর ইকবাল) যেটা করেছিলেন, কেন করেছেন জানি না। সেখানে একজন বুদ্ধিজীবী হিসাবে যার ওপর অনেকে আস্থা রেখেছিলেন, হয়তো তিনি কথা রাখবেন, সেটা তিনি করেননি। সেটা তার বিষয়। এটা নিয়ে আমার আসলে কিছু বলার নেই। এখানে আমি নিজে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসাবে তোমাদের কাছে এসেছি। আমি তোমাদের বলতে পারি, কমিটির কাছ থেকে যে সুপারিশ আসবে, সেটা আমরা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেব, সেটা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করব।’ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্য স্যার তার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, তবেই অমরা অনশন ভাঙব। এর আগে অনশন ভাঙা হবে না। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় উপদেষ্টা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেখানে তারা উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ১৩ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন এবং তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। 

সিন্ডিকেট সভায় দুই সিদ্ধান্ত : কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার বিকালেই খুলে দেওয়া হয়েছে ৭টি আবাসিক হল। সিন্ডিকেট বুধবার দুপুরে এসব সিদ্ধান্ত নেয়। ১৪ এপ্রিলের সিন্ডিকেট সভায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগে থেকেই ক্যাম্পাসের সাতটি আবাসিক হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। সিন্ডিকেটের আগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তালা ভেঙে হলগুলোয় ঢুকে পড়েন তারা। 

তদন্তে ইউজিসি প্রতিনিধিদল : কুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে ইউজিসি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলটি দাবিগুলো পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ইউজিসি প্রতিনিধিদল কুয়েটে পৌঁছায়। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তনজিমউদ্দীন খান, বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব আহমেদ শিবলী।

তারা প্রথমেই অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা অনশন ভাঙানোর চেষ্টা চালান। যদিও তারা একজনমাত্র শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে সরিয়ে আনতে সফল হন। অন্য শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে অনড় থাকেন। পরবর্তী সময়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর সংঘটিত হওয়া হামলা, তাদের আন্দোলন ও দাবিগুলো তুলে ধরেন।

বৈঠকে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তারা পুরো চিত্র প্রতিনিধিদলের কাছে উপস্থাপন করেছেন। উপাচার্য বিভিন্ন সময়ে মিডিয়া ও শিক্ষকদের কাছে যেসব গুজব উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো খণ্ডন করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিনিধিদল তাদের যথাযথ বিচারের আশ্বাস দিয়েছে।

অন্যায় সিদ্ধান্ত মানবে না শিক্ষক সমিতি : দোষী প্রমাণিত না হলে চাপ প্রয়োগ করে উপাচার্যের অপসারণ মেনে নেবে না শিক্ষক সমিতি। অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন শিক্ষকরা! সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা না বলায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক। ছাত্রদের ওপর আক্রমণ ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি বলেন, ‘অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করছে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। তিনি এসবের বিচার দাবি করেন।’ মব কালচারের মাধ্যমে একজন উপাচার্যের অপসারণ হতে পারে না। এ ধরনের কালচার শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই রকম মব কালচারের শঙ্কা তৈরি হবে। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার অনুরোধ জানান তারা। যদি হয়, শিক্ষক সমিতি তা মেনে নেবে না।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা : কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে দুপুর ১২টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। খুলনা নাগরিক সংগঠন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল ১০টায় একই স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে দ্য রোড জুলাই নামের একটি সংগঠন।

ঢাবিতে বিক্ষোভ : ঢাবি প্রতিনিধি জানান, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বুধবার রাত ১০টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শাহবাগ অভিমুখে অগ্রসর হয়, যেখানে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বিকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ শাহবাগ ‘ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

রাবি প্রতিনিধি জানান, কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী আমরণ অনশনে বসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, মো. আতাউল্লাহ, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম আলম ও মৌসি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ও আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। 

শেকৃবি প্রতিনিধি জানান, কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা স্ট্যান্ডের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জন করেছেন বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। 

কুবি প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসের আব্দুল কাইয়ুম চত্বরে প্রতীকী অনশন পালন করেন এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কুয়েটের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শাবি উপাচার্য : শাবি প্রতিনিধি জানান, একই দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিনজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। বিকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে অনশনস্থলে যান শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করীম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদ আবরার।

সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতায় আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন-শিক্ষা উপদেষ্টা : ফরিদপুর ব্যুরো জানায়, বিকালে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতার বিষয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এটা যাতে না ঘটে, এজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে একটি অস্থিরতার পরিবেশ ছিল, এটি যে রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে, এটা ভাবা ঠিক না। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ‘আগামীর শিক্ষা : প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনাসভায় অংশ নেন শিক্ষা উপদেষ্টা।


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম