Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে হুঁশিয়ারি

কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সিদ্ধান্তে ছাড় নয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল * ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাশ করতে দেওয়া হবে না * শেখ হাসিনার বিচার এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি * দুই মাসের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুরআন-সুন্নাহবিরোধী সিদ্ধান্তে ছাড় নয়

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো নীতি বাস্তবায়নের সাহস দেখাবেন না। এ দেশে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এ দেশে ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাশ করতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, অবিলম্বে প্রতিবেদনসহ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে মামলা আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়েছেন তারা। একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার বিচার এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও জানানো হয়। রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়েও অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করেন বক্তারা। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। এদিন আগের চারটি দাবি আদায়ে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। কর্মসূচির মধ্যে আছে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং ২৩ মে বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ। একই সঙ্গে সমাবেশ থেকে ১২ দফা ঘোষণাপত্র তুলে ধরা হয়।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে সকাল থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন। দোয়েল চত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, রমনাসংলগ্ন গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন উদ্যানে। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত হয়ে আসে। 

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন কুরআনবিরোধী প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সাম্রাজ্যবাদের ফান্ডখোর কুখ্যাত নারীবাদীরা দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিধিবিধান, ঐতিহ্য ও পরিবার কাঠামো ধ্বংস করার পাশ্চাত্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এনজিওবাদী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এমন কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না, যা কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে যায়। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না। এই বিতর্কিত কমিশন ও কুরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীদার আলেম-ওলামার পরামর্শ নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করুন।

মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মামলা আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। সরকারকে হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের যা করতে হয় তাই করবে। মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে আমরা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না। প্রফেসর ড. ইউনূস আপনি কি সেই কথা ভুলে গিয়েছেন, কয়েক মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় ঘুরতেন।

রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়েও সরকারকে সতর্ক করে মামুনুল বলেন, একটা বার্তা দিতে চাই। মনে রাখবেন, একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিণ্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। চব্বিশের জুলাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইউর্কের গোলামি করার জন্য নয়। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আমাদের দাবি স্পষ্ট, আমরা মুসলিমদের পক্ষ থেকে দাবি করছি, যে নারী সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই কমিশন রেখে কোনো সংস্কার হবে না। আমরা দাবি করছি, এই কমিশন যে প্রস্তাব পেশ করেছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। জাতি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আর কোনো বিকল্প নেই।

সমাবেশে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, হেফাজত ইসলাম নারীবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমি এখানে ড. ইউনূস সরকারের প্রতি প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেন অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন? আমি বলতে চাই, নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি।

সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমার ভাই আবরার, আবু সাঈদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এখানে যদি, কিন্তু, আচ্ছা, দেখি না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।

তাহরিকে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পির জৈনপুরী বলেন, বাক-স্বাধীনতার নামে ইসলামের বিরোধিতা করলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। জঙ্গি তকমা দিয়ে দেশের আলেম-ওলামাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। বাবর সাহেব যদি মুক্তি পায় তাহলে জঙ্গির মামলায় আলেম-ওলামারা কেন মুক্তি পাবে না? যদি তারা মুক্তি না পায় তাহলে শুধু সংস্কার কেন, নির্বাচন পর্যন্ত হতে দেওয়া হবে না।

হেফাজতের চার দাবি : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চারটি দাবি হচ্ছে-১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা। ২. সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে। ৩. হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে। ৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। এসব দাবি আদায়ে মহাসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।

১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ : এদিনের সমাবেশ থেকে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। এগুলো হলো-১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কুরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিলপূর্বক আলেম-ওলামাদের পরামর্শক্রমে ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়, বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে। 

২. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে। ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ইমান ও আমল রক্ষার্থে বহুত্ববাদ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। এছাড়া লিঙ্গ পরিচয়, লিঙ্গ বৈচিত্র্য, লিঙ্গ সমতা, তৃতীয় লিঙ্গ বা থার্ড জেন্ডার ইত্যাদি শব্দের মারপ্যাঁচে, কাউকে বাদ দিয়ে নয় এমন ধোঁয়াশাপূর্ণ স্লোগানের অন্তরালে এবং অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দের আড়ালে এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারবাদের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজবিধ্বংসী ধর্মবিরুদ্ধ সমকামীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে।

৩. শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও তার চিহ্নিত দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। 

৪. গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫. আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নামে কটূক্তিকারী ও বিষোদ্গার বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ধর্মীয় অবমাননাসংক্রান্ত শাস্তির আইনি ধারাগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। 

৬. চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে শহিদ সাইফুল ইসলাম হত্যার উসকানিদাতা চিন্ময় দাসের জামিন প্রত্যাহারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

৭. ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সারা দেশে প্রতিবাদী আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ইসলামমনা তরুণদের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা ও বানোয়াট সব মামলা অতিসত্বর প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। সেই সঙ্গে জঙ্গি নাটক বা জঙ্গি কার্ড খেলে বাংলাদেশকে ইসলামপন্থি ও আলেম-ওলামাদের গত ১৫ বছর যারা নির্যাতন চালিয়েছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। 

৮. গাজার মুসলমানদের ওপর অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের চলমান গণহত্যা ও ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী এই সরকারকে কূটনৈতিকভাবে আরও উচ্চকণ্ঠ হতে হবে এবং দেশের সর্বস্তরের জনতাকে ইসরাইলি ও ভারতীয় পণ্য বয়কট করতে হবে। 

৯. ৯০ শতাংশ মুসলমানের এই দেশ। এখানে শিক্ষার প্রাথমিক থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত সর্বপর্যায়ে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে। 

১০. রাখাইনকে মানবিক করিডর প্রদানে সরকারের সম্মত হওয়া সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমাদের ভৌগোলিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে অবশ্যই অবিলম্বে ফিরে আসতে হবে।

১১. চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশি মিশনারি অপতৎপরতা ও দৌরাত্ম্য বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা ও নিরাপত্তা সংকট কমাতে আলেম সমাজের দাওয়াতি কার্যক্রমকে আরও নিরাপদ ও সুযোগ করে দিতে হবে। সেখানে সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি ছাড়াও পাহাড়ি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমঝোতা ও স্থিতিশীলতা বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয় তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। 

১২. কাদিয়ানিদের বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সাধারণ মুসলমানদের ইমান-আকিদা রক্ষার্থে কাদিয়ানিদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসীম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, সরোয়ার কামাল আজিজি, মহিউদ্দিন রাব্বানী, আহমেদ আলী কাসেমী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাহবুব জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আইউব বাবুনগরী, মাওলানা আফজালুর রহমান। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, জুনায়েদ আল হাবিব, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, হাসান জামিল, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, ইসলামী বক্তা মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, চরমোনাই পিরের সাহেবজাদা সৈয়দ ইসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মুফতি খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, মধুপুরের পির মাওলানা আব্দুল হামিদ প্রমুখ।


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম