স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
সবার জন্য ‘হেলথ কার্ড’ বিনামূল্যে প্রাথমিক সেবা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সবার জন্য ‘স্মার্ট হেলথ কার্ড’-এর ব্যবস্থা করতে হবে। আর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে বিনামূল্যে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে এসব সুপারিশ করা হয়।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ওষুধ কোম্পানির ওপর। রিপোর্টে সুপারিশগুলোকে সাতটি স্তম্ভে ভাগ করে উপস্থাপন করা হয়। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করেছে কমিশন। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা। এতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা এই প্রতিবেদনকে যুগান্তকারী হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো বহুদিনের। এর মাধ্যমে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ আলাদা করতে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। এটা ছাড়া সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং, সেখানে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে। আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের (চিকিৎসক) সংকট। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও যেখানে দরকার, সেখানে নেই। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৩২২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ গঠন। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও পদোন্নতি প্রদান। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা বিভাগ পৃথক্করণ, জনবল নিয়োগ ও উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ। বাজেট বরাদ্দ ও হাসপাতালের দালাল দমন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ও রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি, ফিজিওথেরাপি বিভাগ ও পদ সৃষ্টি। কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, রোগী সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ ও ধারাবাহিকতা, জবাবদিহি এবং জরুরি প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পুরোনো আইন পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করতে হবে। এছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
প্রতিবেদনে গ্রাম ও শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে প্রাথমিক সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। গ্রামে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য-উপকেন্দ্র ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র একত্র করে এবং শহরে ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে প্রথম স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রেফারেল ব্যবস্থা কাঠামোবদ্ধ ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক রেফারেল ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে রোগী সঠিক সময়ে সঠিক স্তরের সেবা পান এবং উচ্চতর প্রতিষ্ঠানে ভিড় কমে।
রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সর্বজনীন প্রাপ্যতাকে একটি মৌলিক স্বাস্থ্য অধিকার হিসাবে চিহ্নিত করে, তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে সেগুলোকে জাতীয় ফার্মেসি নেটওয়ার্কের আওতায় পরিচালানার কথা বলা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়, ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে ডাক্তারকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নিষিদ্ধ থাকবে। মেডিকেল কনফারেন্স আয়োজনে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারবে। তবে পণ্যের উপস্থাপনের জন্য কেবল প্রতিনিধির শারীরিক উপস্থিতি অনুমোদিত থাকবে। কোনো খাবার, ব্যাগ বা উপহারসামগ্রী দিতে পারবে না কোম্পানিগুলো। এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, র্যাফেল ড্রও কোম্পানিগুলোর ফান্ডিংয়ে করা যাবে না। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ডাক্তারদের শুধু ই-মেইল বা ডাকযোগে তাদের পণ্যের তথ্য পাঠাতে পারবে। প্রতিনিধিরা সরাসরি সাক্ষাৎ করে প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারবে না। চিকিৎসকদের চেম্বার বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের ওষুধের প্রচার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও বলা হয়, চিকিৎসকদের কোনো পেশাগত সংগঠনে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধি সদস্য হিসাবে থাকতে পারবে না। কারণ, এসব কর্মকাণ্ডে চিকিৎসকের মনোযোগ বিঘ্নিত হয় এবং রোগীরা সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া নতুন ওষুধ বা নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকলে তা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক না করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিরপেক্ষ বৈজ্ঞানিক সভার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতের অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা অনেক দুর্বল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংস্কার কমিশন। তাদের মতে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এখনো একটি কার্যকর ও অভিযোগ নিষ্পত্তির সুলভ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি, যা জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা-সংক্রান্ত অভিযোগগুলো যথাযথভাবে সমাধান করতে পারে-সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি খাতেই হোক। বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা প্রসঙ্গে বলা হয়, বেসরকারি খাতের লাইসেন্সিং এবং চিকিৎসা অবহেলা পর্যালোচনায় দেখা গেছে। এটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দুর্বল এবং আইন লঙ্ঘনের মাত্রা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, যা রোগীদের নিরাপত্তা এবং পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ইউনিক স্বাস্থ্য আইডি ও স্মার্ট স্বাস্থ্য কার্ড চালুর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। যা রোগী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের সেবা গ্রহণ ও প্রদানের মান ও পরিমাণ ট্র্যাকিং করবে। এছাড়া সেবার ধারাবাহিকতা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য ইলেকট্রনিক হেলথ কার্ড চালু জরুরি বলছে কমিশন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট ক্যাডারগুলোকে পুনর্গঠনপূর্বক একটি পেশাভিত্তিক, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক পৃথক এবং স্বাধীন প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। যার নেতৃত্বে থাকবে একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় ও একজন মুখ্য সচিব মর্যাদাসম্পন্ন চিকিৎসক। এছাড়া প্রতিবেদনে সিভিল সার্ভিস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে একটি স্বতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসিত ক্যাডারে রূপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। এ ক্যাডারটি বিচারিক ক্যাডারের মতো একটি স্বাধীন সিভিল সার্ভিস ক্যাডার হবে এবং এর নাম হবে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিসেস। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত নতুন আইনগুলোর মধ্যে আছে-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন; বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন; প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন; ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন; অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইন; বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল আইন; স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ও রোগী নিরাপত্তা আইন; হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাক্রেডিটেশন আইন; বাংলাদেশ সেফ ফুড, ড্রাগ, আইভিডি ও মেডিকেল ডিভাইস আইন। এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইন, মেডিকেল শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আইন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, পৌর ও সিটি করপোরেশন আইন প্রভৃতি আইনেরও সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে এই কমিশন।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। স্বাস্থ্য খাতে এ ক্ষেত্রে বাজেট বর্তমানে খুবই কম, এ বাজেট দিয়েও করা সম্ভব যদি ঠিকমতো অরগানাইজ করা যায়। দ্বিতীয়ত, যদি স্বাস্থ্যসেবা দিতে হয়, তাহলে আলাদা একটি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে আসতে হবে। আমরা প্রস্তাব করেছি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন এটা দেখভাল করবে। আরেকটি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সেটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। সেটা এক জায়গায় থাকবে না, প্রত্যেক বিভাগে একটা হতে পারে। দেশের দুটি বড় বিভাগীয় শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে এটা করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা, এই জিনিসটা বদলিজনিত চাকরি কিংবা পার্টটাইম চাকরি দিয়ে হতে পারে না। আমরা প্রস্তাব করেছি, স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মতো হবে। এখানে বদলি করার মতো চাকরি হবে না, এখানে যারা একাডেমিক পদবিধারী হবেন, তারা পূর্ণকালীন চাকরি করবেন, তারা বাইরে প্র্যাকটিস করবেন না। যাতে মানসম্মত বা মেধাসম্মত লোক আকৃষ্ট হয়, সেজন্য তাদের জন্য আলাদা পে-স্কেল করতে হবে এবং ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের মধ্যে প্রাইভেটে রোগী দেখে প্রাতিষ্ঠানিক আয় এবং ওই ব্যক্তির আয়ের পথ তৈরি করা যেতে পারে। প্রতিবেদন জমাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার; সাবেক সচিব এমএম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন ডা. নায়লা জামান খান ও ডা. মোজাহেরুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের সদস্য হিসাবে আছেন-জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদপ্তরের অধ্যাপক ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এমএম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র বিজ্ঞানী ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ। কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
