নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে সরকারে ‘অন্তর্দাহ’
জামিনের বিষয়ে শুনানি ২২ মে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এরপর তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। তার জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। এদিকে নুসরাত ফারিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি করা এবং গ্রেফতারের ঘটনায় সরকারের দু-একজন উপদেষ্টার অন্তর্দাহ স্পষ্ট হচ্ছে তাদের বক্তব্যে। তারা বলছেন, নুসরাতের গ্রেফতার আমাদের কাছে বিব্রতকর ঘটনা হয়ে থাকল। আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতারা বলছেন, এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।
রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় একটি চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় দেশ ছাড়ার সময় তাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভাটারা থানায় হওয়া এক মামলার এজাহারনামীয় আসামি নুসরাত। ডিবিতে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ১০টার পর নুসরাত ফারিয়াকে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠানোর জন্য হাজতখানা থেকে বের করে আনা হয়। তার মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট। পরেছিলেন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। নারী পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কড়া পাহারায় নুসরাত সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয়তলায় ওঠেন।
এ সময় অভিনেত্রীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী ফারহান মোহাম্মদ আরাভ, মোর্শেদ আলম শাহিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে ফারহান মোহাম্মদ আরাভ বলেন, তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। আন্দোলনের আগে ৯ জুলাই শুটিং করতে কানাডায় যান। সেখান থেকে তিনি ১৪ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন। সেই কাগজপত্র আমরা জমা দিয়েছি। তিনি আন্দোলনের সপক্ষে ছিলেন, পোস্টও দিয়েছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
মোর্শেদ আলম শাহিন বলেন, তিনি চলচ্চিত্রজগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না, বিদেশে ছিলেন। তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো আইনের পরিপন্থি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাদের কাজ হলো ভুলত্রুটি তুলে ধরা। সেটাই তিনি করেছেন। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আস্থার সর্বশেষ স্থল আদালত। যেকোনো শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি। তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, নুসরাত ফারিয়া একজন মডেল ও নায়িকা। তিনি এজাহারনামীয় আসামি। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, তিনি জননন্দিত, স্বনামধন্য নায়িকা। আরেকজন স্বনামধন্য নায়ক আছেন ফেরদৌস। আমরা তাকেও খুঁজছি। তিনি ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
ওমর ফারুক বলেন, নুসরাত ফারিয়া শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় দোষের কিছু না। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দোষের। তিনি বলেছেন, প্রতিটি ঘরে একজন হাসিনা রয়েছে। মানে প্রতিটি ঘরে ফ্যাসিস্ট রয়েছে। প্রতিটি ঘরের মেয়েরা কি ফ্যাসিস্ট? এ ধরনের বক্তব্য উসকানিমূলক। হাসিনাকে খুশি করতে বক্তব্য রেখেছেন। ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, নাট্যকার, অভিনেতা, অভিনেত্রী-তারা সবাই একটা গোষ্ঠী হয়ে ১৫ বছর সহযোগিতা করেছেন। আন্দোলন দমাতে, হত্যা করতে হাসিনা যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে কোনো স্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন। তাদের মধ্যে নুসরাত ফারিয়া একজন। তিনি হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাকে গ্রেফতার করতে খুঁজছিল পুলিশ। এয়ারপোর্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জামিনের বিরোধিতা করে ওমর ফারুক বলেন, তারা কিন্তু বসে নেই। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছেন। ফ্যাসিস্টকে ফিরিয়ে আনতে গুপ্ত মিছিল করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আসামি জামিন পেলে আবার ষড়যন্ত্র করবে, ফ্যাসিস্ট ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে, মামলার তদন্তের ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। তার জামিনের বিরোধিতা করছি।
এরপর শুনানি শেষে আদালত নুসরাত ফারিয়া ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন কি না, আন্দোলনের পক্ষে পোস্ট করেছেন কি না, সে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে ২২ মে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়।
নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারের ঘটনা বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে-আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুইদিন পর সেখানেই ফিরে যাব। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকল আমাদের জন্য। তিনি লেখেন, আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান-প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিল। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ফারিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা তো অনেকদিন ধরেই ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরই এ ঘটনা ঘটে। উপদেষ্টা আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং সেই মামলার তদন্ত চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তাকে যদি ছেড়ে দেওয়া হতো তাহলে বলতেন-ছেড়ে দিয়েছে। আর এখন বলছেন কেন ধরা হলো। তার নামে মামলা থাকলে আপনি কী করবেন? বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একটি পলিসি আছে। এ পলিসির আওতায় যারা পড়ে, তাদেরই আটকানো হয়। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মিটিং শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু দুষ্কৃতকারী যেন আইনের আওতায় আসে এবং শাস্তি ভোগ করে। নিরীহ কোনো লোক যেন কোনো অবস্থাতেই শাস্তি ভোগ না করে, সে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি।
সোমবার দুপুরে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ইন্টেরিম, ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়? ৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে বোঝাতে চাচ্ছেন আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। মডেল ও উপস্থাপক হিসাবেও সবার নজর কাড়েন তিনি। প্রথম সিনেমায় সাফল্যের পর তিনি ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা-দ্য ডন’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’ এবং ‘বস ২ : ব্যক টু রুল’ সিনেমার মতো আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। যদিও তার অভিনীত সিনেমাগুলো বাণিজ্যিকভাবে তেমন সফলতা পায়নি। তবুও বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তিনি আলোচনায় ছিলেন।
অভিযোগ আছে, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে তার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান ভেঙে যাওয়া, সংসদ-সদস্য হওয়ার চেষ্টা ও বিতর্কিত মডেলিংয়ের কারণে তাকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
২০২৩ সালে নুসরাত ফারিয়া শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে -এনসিপি : চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চলতি মাসেই কোনোরকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদী ও এর সমর্থকরা এখনো জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে। জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোক দেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেফতার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এনসিপি মনে করে, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এ ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। অথচ এখন পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচারে আমরা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। বিচার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত এর বাস্তবায়নকল্পে আমরা কোনো প্রজ্ঞাপন দেখতে পাইনি। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায় এনসিপি।
